আক্রমণের ধার আরও বাড়াবে ইংল্যান্ড
দুটি ভিন্ন কৌশলের লড়াই। একদল খেলছে প্রথাগত টেস্ট ক্রিকেট আর অন্যদল ‘বাজবল’। দুই কৌশলের লড়াইয়ের অ্যাশেজে প্রথম জয়টা এসেছে প্রথাগত টেস্ট ক্রিকেট খেলা অস্ট্রেলিয়ার। আর পুরো টেস্টে দাপট দেখিয়েও ২ উইকেটের হারের স্বাদ পেয়েছে ইংল্যান্ড।
এক হারেই যে ইংল্যান্ড তাদের খেলার ধরন পাল্টে ফেলবে, এমন ধারণা কেউই করেনি। অ্যাশেজের আগে থেকেই তাদের বার্তা স্পষ্ট ছিল, অর্থাৎ অ্যাশেজ বলে খেলার ধরনে কোনো পরিবর্তন আসবে না। ‘বাজবল’ যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত, সেই ইংল্যান্ড টেস্ট দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দ্বিতীয় টেস্টে দল আরও আক্রমণাত্মকও খেলতে পারে।
ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টে প্রতি ওভারে রান তুলেছে ৪.৬১। শুধু বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলাতেই নয়, ৭৮ ওভারে ৩৯৩ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে অনেককে চমকে দিয়েছিলেন বেন স্টোকস, যা নিয়ে আলোচনা চলেছে পরের চার দিন।
ইংল্যান্ড কোচ ম্যাককালামের কথা শুনে মনে হলো এমন চমক আসতে পারে আরও, ‘আমরা আমাদের ধরনেই খেলেছি, চেষ্টা করেছি খেলাটাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমার মনে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াও তাদের কৌশলে খেলে খুশি, যেটা তাদের সাফল্য এনে দিয়েছে। আমি নিশ্চিত, তারা তাদের কৌশলেই খেলবে। ব্যাপারটা দারুণ হবে। কারণ, আমরা আরেকটু আক্রমণাত্মক খেলব।’
প্রথম টেস্টের বেশির ভাগ সময়ই নিয়ন্ত্রণ ছিল ইংল্যান্ডের কাছে। প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়নের অবিশ্বাস্য সেই জুটির আগপর্যন্ত ফেবারিট ছিলেন স্টোকসরা। ম্যাককালাম মনে করেন, প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের এমন দাপটই বাজবলের ন্যায্যতা দিয়েছে, ‘আমরা যেভাবে খেলেছি, সেটাই আমাদের এভাবে খেলার ন্যায্যতা দিয়েছে। ভাগ্য আমাদের সঙ্গে থাকলে আমরা জয়ী দলও হতে পারতাম। ক্রিকেটাররা মাঠে তাদের যতটুকু দিয়েছে, তা নিয়ে তারা গর্বিত। আমি নিশ্চিত তারা আত্মবিশ্বাস নিয়েই লর্ডসে যাবে।’
চোটের কারণে ৯ মাস মাঠের বাইরে থাকা বেয়ারস্টো আয়ারল্যান্ড টেস্ট দিয়ে মাঠে ফেরেন। তবে অনেক দিন মাঠের বাইরে থাকা এই উইকেটকিপার অ্যাশেজের প্রথম টেস্টেই আসল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। গ্লাভস হাতে বেশ কয়েকটি সুযোগ মিস করেন।
ম্যাককালাম নিজেও একজন উইকেটকিপার ছিলেন, সে কারণে বেয়ারস্টোর সমস্যা আরও ভালো বুঝতে পারার কথা তার। ম্যাককালাম বেয়ারস্টোর কিপিংয়ে সমস্যা অবশ্য খুঁজেও পাননি, ‘সুযোগগুলো কঠিন ছিল। আমি নিজেও এজবাস্টনে কিপিং করেছি, এখানে কিপিং করা সহজ নয়। আপনি লক্ষ করলে দেখবেন, ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে সে উন্নতি করেছে, সহজাত ছন্দটা খুঁজে পেয়েছে।’