‘ধোনির কথা বলে সবাই, কোহলি ধোনির চেয়ে ভালো ফিনিশার’
এবারের বিশ্বকাপটা কি তবে বিরাট কোহলি নিজের করে নিতে যাচ্ছেন? পরপর দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ভারতকে জিতিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশংসায় ভাসছেন কোহলি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোহলিকে নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। পুনেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শতরান করে দলকে জিতিয়েছেন। কাল ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য অল্পের জন্য শতরান পাননি। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে আউট হয়েছেন ৯৫ রানে। তবে কোহলির এই ইনিংসও দারুণ প্রশংসা পাচ্ছে। আলোচনা শুরু হয়েছে কোহলির ম্যাচ জিতিয়ে ফেরার সামর্থ্য নিয়ে। সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান গৌতম গম্ভীর তো বলেই দিয়েছেন, সবাই ধোনির ম্যাচ জিতিয়ে ফেরার সামর্থ্য নিয়ে বেশি আলোচনা করলেও কোহলি এই কাজে ধোনির চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানোর পর স্টার স্পোর্টসের আলোচনায় গম্ভীর এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ‘ফিনিশার’ শব্দের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘ম্যাচ জিতিয়ে ফেরার সামর্থ্যে কোহলির ধারেকাছেও কেউ নেই। “ফিনিশার” কাকে বলে আসলে! যে ব্যাটসম্যান পাঁচ কিংবা সাতে ব্যাটিং করে, সে–ই? নয়! ফিনিশার তাকেই বলে, যে ব্যাটসম্যান রানতাড়ায় দুর্দান্ত। ধোনিকে সবাই ফিনিশার বলে। কিন্তু কোহলি ধোনির চেয়েও ভালো।’
নিউজিল্যান্ডের ২৭৩ রান তাড়া করতে গিয়ে ভারত যে খুব সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল, এটা বলা যাবে না। বরং ৫ উইকেট চলে যাওয়ার পর কিছুটা চাপেই ছিল। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে কোহলি সতর্কতা আর আগ্রাসনের মিশেলে খেললেন তাঁর ৯৫ রানের ইনিংসটি। শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে তিনি যে জুটি গড়লেন, সেটি অনবদ্যই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় কোহলির এমন যে কত ইনিংস আছে, তার হিসেব নেই। রানতাড়ার সময়ই যেন কোহলি নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরেন। ভেতর থেকে বের করে নিয়ে আসেন নিজের সামর্থ্যের সবটুকু।
মহেন্দ্র সিং ধোনিরও এমন ম্যাচ জিতিয়ে ফেরার অনেক উদাহরণ আছে। ৬ কি ৭ নম্বরে ব্যাট করে ধোনি ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতেন। তবে গম্ভীরের অনুযোগ, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কেন যেন ‘ফিনিশার’ হিসেবে ধরা হয় না, যেটি ঠিক নয়। বিরাট কোহলি যেভাবে ভারতকে বারবার ম্যাচ জিতিয়ে ফিরেছেন, তাতে ফিনিশারের তকমাটা তাঁর সঙ্গে খুব ভালোভাবেই যায়। তা ছাড়া রান তাড়া করার ক্ষমতাটাই কোহলির অসাধারণ।