শাহরুখ-সালমানের কারণেই তারকা হয়েছেন শোয়েব
শোয়েব আখতারের ক্যারিয়ারটা বর্ণিল, তা নিয়ে সংশয় নেই। নিজ দেশ পাকিস্তান ছাড়িয়ে ভারতেও এই ফাস্ট বোলার যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাঁর ‘তারকা’ হয়ে ওঠার পেছনে বলিউড তারকা শাহরুখ খান ও সালমান খানেরও অবদান আছে, সম্প্রতি শোয়েব বলেছেন এমনটা।
বলিউড তারকাদের পাকিস্তানেও জনপ্রিয়তা নতুন কিছু নয়। এর আগে ওয়াসিম আকরাম বলেছিলেন, তাঁদের ছেলেবেলায় একটা বড় অংশজুড়ে ছিল বলিউডের সিনেমা, গান। এবার নিজের জীবনে এর সরাসরি প্রভাবের কথা বললেন শোয়েব। এ জন্য তাঁদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের জনপ্রিয় দুই অভিনেতার স্টাইল অনুকরণ করতেন, শোয়েব জানিয়েছেন এমন। ‘ওয়েক আপ উইথ সোরাভ’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেলে ৪৮ বছর বয়সী শোয়েব বলেন, ‘সালমান খান সব সময়ই আমার প্রিয় ছিল, শাহরুখকেও পছন্দ করি। আমার আসলে দুজনকেই ধন্যবাদ দিতে হবে। তারা যদি আমার জীবনে না আসত, তাহলে আমি তারকা হতাম না। সব সময়ই আমি সালমান ও শাহরুখকে অনুকরণ করতাম।’
ক্যারিয়ারে আইপিএলে এক মৌসুম খেলেছিলেন শোয়েব। ২০০৮ সালে তিনি ছিলেন শাহরুখের মালিকানাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্সেই। সে সময় স্বাভাবিকভাবেই শাহরুখের সঙ্গে দেখা হয়েছে শোয়েবের। আইপিএল অভিষেকেই ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন শোয়েব। শাহরুখের পাশাপাশি সালমানের সঙ্গেও শোয়েবের দেখা হয়েছে।
তারকা হয়ে ওঠার পেছনে বলিউডের দুজনের প্রভাব তো আছেই, ক্রিকেটীয় জীবনে কাদের অনুসরণ করতেন, শোয়েব জানিয়েছেন সেটিও। নামগুলো অনুমিতই, ‘আমি সব সময় ওয়াকার ইউনিসের রানআপ অনুসরণ করতাম, ওয়াসিম আকরামেরও।’
ছেলেবেলায় দুর্ঘটনায় বাঁ হাতের একটি আঙুল হারিয়েছিলেন ওয়াকার। অঙ্গভঙ্গির সময় শোয়েবও বাঁ হাতে চারটি আঙুল দেখিয়ে অমন করতেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও জানিয়েছেন শোয়েব, ‘শচীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়াতে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবি। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক বেশ ভালো। লোকে ভাবে আমাদের বৈরিতা আছে, আদতে তা নয়। আমি আসলে সবারই বন্ধু। বিশেষ করে (শহীদ) আফ্রিদি, সাকলাইন (মুশতাক), আজ্জু (আজহার মেহমুদ)। তবে আমি ফিল্ডিং সেশনে সবচেয়ে দুষ্টু ছিলাম। না বাজে অর্থে দুষ্টু নয়, ভালো অর্থেই। সবাইকে নকল করতাম, ভেংচাতাম। তেমন ঝামেলা হয়নি কারও সঙ্গে।’
ভারতের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে শোয়েব বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই চেয়েছিলাম, পাকিস্তানের মতো ভারতও আমাকে সমান ভালোবাসুক। সব সময়ই এটি আমার মনে কাজ করত। আমি এ অঞ্চল নিয়ে সব সময়ই মমত্ব দেখিয়েছি। আমি চাই দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাজার চালু হোক। আমি চাই সব স্বাভাবিক হোক।’