গিল ৯২, কোহলি ৮৮, আইয়ার ৮২—ভারতের ৩৫৭
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে শচীন টেন্ডুলকারের মাঠ। এ মাঠেই ৪৯তম ওয়ানডে শতকে তাঁকে ছুঁয়ে ফেলার সম্ভাবনা ছিল বিরাট কোহলির। আর শুবমান গিল ও শ্রেয়াস আইয়ারদের সামনে ছিল বিশ্বকাপে প্রথম শতকের হাতছানি।
কিন্তু সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত তিনজনের একজনও তিন অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। গিল আউট হয়েছেন ৯২ রানে, কোহলি ৮৮ আর আইয়ার ৮২-তে।
তবে তিনটি শতক মিসের আক্ষেপের দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় সংগ্রহই গড়েছে ভারত। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৫৭ রান তুলেছে রোহিত শর্মার দল। বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত শতকবিহীন সর্বোচ্চ ইনিংস এটি।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৮০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন দিলশান মাদুশঙ্কা। কোহলি, গিল ও আইয়ার—তিনজনকেই আউট করেছেন বাঁহাতি এ পেসার।
মাদুশঙ্কার পাঁচ শিকারের প্রথমটি ছিল রোহিতের। ইনিংসের প্রথম বলে বাউন্ডারি পেলেও দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হন ভারতীয় অধিনায়ক। দ্রুত ফিরতে পারতেন কোহলি আর গিলও। মাদুশঙ্কার তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে কাভার-পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছিলেন গিল, কিন্তু চারিত আসালঙ্কা সেটি নিতে পারেননি। দুই বল পর দুশমন্ত চামিরার বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দেন কোহলি। বল তালুতে নিলেও শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারায় ফেলে দেন চামিরা।
৮ ও ১০ রানে ‘নতুন জীবন’ পাওয়া গিল আর কোহলিই ভারতের ইনিংসকে বড় সংগ্রহের দিকে টেনে নিয়ে যান। কাছাকাছি সময়ে দুজনই অর্ধশতক পূর্ণ করে এগিয়ে যান তিন অঙ্কের দিকেও। কিন্তু ওয়াংখেড়ে গ্যালারিকে স্তব্ধ করে দুজনই ফিরে যান ১০ বলের ব্যবধানে।
৯২ বলে ৯২ রান করা গিল ফেরেন মাদুশঙ্কার বল থার্ডম্যানে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। একই বোলারের পরের ওভারে কোহলি ড্রাইভ করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন কাভারে পাতুম নিশাঙ্কার হাতে। ৪৮ শতক নিয়ে টেন্ডুলকারকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকা কোহলি এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কাছাকাছি গিয়ে আউট হলেন। এর আগে ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হয়েছিলেন ৯৫ রানে।
গিল, কোহলি দুজনই আউট হওয়ার পর ভারতের ইনিংসকে তিন শ পার করান আইয়ার। চারে নামা এই ব্যাটসম্যান ৪৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫৬ বলে তুলে যান ৮২ রান। ১৪৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিতে ছিল ৬টি ছয় ও ৩টি চার। লোকেশ রাহুল (১৯ বলে ২১), সূর্যকুমার যাদবরা (৯ বলে ১২) ভালো সঙ্গ দিতে না পারলেও রবীন্দ্র জাদেজা খেলেন ২৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস।