‘বেতন কম নাও, নইলে বাড়ি যাও’

পিসিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নাজাম শেঠিছবি: টুইটার

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান পদে ফিরে সবকিছু যেন ওলট–পালট করে দিচ্ছেন নাজাম শেঠি।

নির্বাচক প্যানেল ও বোর্ডের বেশ কয়েকটি পদে পরিবর্তন আনার পর এবার তাঁর দৃষ্টি খরচ কমানোর খাতে। বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বেতন কম নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কম বেতন নিয়ে কাজ করতে রাজি না হলে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছেন।

পাকিস্তানের উর্দু দৈনিক ডেইলি এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, পিসিবি কর্মকর্তাদের উচ্চ বেতন দেখে নাজাম শেঠি ও তাঁর ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের ‘মাথা খারাপ’ হয়ে গেছে। তারা মনে করছেন, কর্মকর্তাদের বেতন না কমালে পিসিবির কোষাগার খালি হয়ে যাবে।

পিসিবির প্রধান নির্বাহী ফয়সাল হাসনাইন প্রায় ২৬ লাখ পাকিস্তানি রুপি বেতন পান। তাঁকে ৪০ শতাংশ বেতন কম নিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

শুধু প্রধান নির্বাহীই নন, বেতন নিয়ে আল্টিমেটাম পেয়েছেন পিসিবির আরও কয়েক কর্মকর্তা। বেশি বেতন পাওয়া ওই সব কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেতন কম নেন। নইলে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে সময় দেওয়া হয়েছে এক সপ্তাহ। চাকরি ছেড়ে দিলে তিন মাসের বেতন দেওয়া হবে।

২০১৪ সালের গঠনতন্ত্র অনুসারে পিসিবিতে কোনো প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ নেই। আইসিসিতে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) পদে চাকরি করা হাসনাইনকে গত বছর পিসিবির সিইও করা হয়। প্রতি মাসে তাঁকে বেতন দেওয়া হয় ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫০ পাকিস্তানি রুপি।

আরও পড়ুন

অন্য যাঁদের বেতন কাটা হতে পারে বা চাকরি খোয়ানোর ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের মধ্যে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জাভেদ মুরতাজা (মাসিক বেতন ১৪ লাখ ১২ হাজার ৯৮০), হাই-পারফরম্যান্স ডিরেক্টর নাদিম খান (১৪ লাখ ৭২ হাজার ৫০০), ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট অপারেশনস ডিরেক্টর জাকির খান (৯ লাখ ৬১ হাজার ৬৬৩), অবকাঠামো ও রিয়েল এস্টেট ডিরেক্টর নাসির হামিদ (৯ লাখ), মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর সামি উল হাসান (১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৯) এবং প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজিবুল্লাহ সুমরু (১১ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০)।

আরও পড়ুন

আল্টিমেটাম থাকায় আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পিসিবিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিচালনা পরিচালক ৫৯ বছর বয়সী জাকির খানের অবশ্য চাকরি থেকে অবসরে চলে যাওয়ার কথা।

কিছুদিন আগে মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক সেরেনা আগা চাকরি ছেড়েছেন। তাঁকে বেতন দেওয়া হতো ৯ লাখ ৮৫ হাজার রুপি।