- বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ১
- পিচ বিতর্ক
- টস
- একাদশ
- ভোট দিন/মত জানান/আপনি কী মনে করেন?
- আক্রমণাত্মক শুরু
- শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে ওয়াংখেড়েতে ডেভিড বেকহাম
- আগ্রাসী রোহিত
- ৪৭/০, ৫ ওভার
- স্যান্টনারকেও পাত্তা দিলেন না রোহিত
- উইলিয়ামসনের দারুণ ক্যাচে থামলেন রোহিত
- রিভিউ হারাল নিউজিল্যান্ড
- ৮৪/১, ১০ ওভার
- শর্ট বল এবং বাউন্ডারি
- গিলের ৫০
- আরেকটি ৫০ রানের জুটি
- ভারতের ১৫০
- ‘নিস্ক্রিয়’ ফিলিপস
- উঠে গেলেন গিল
- ইনিংসের মাঝপথে…
- কোহলির ৫০
- ২০৩/১, ২৯ ওভার
- আরেকটি ৫০ রানের জুটি
- টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে কোহলি
- মেডেনের পর ১৭
- এবার শ্রেয়াসের ৫০
- ভোট দিন
- শেষ করলেন স্যান্টনার
- রিভিউ শেষ নিউজিল্যান্ডের
- ১০০ নম্বর ৫০!
- জীবন পাওয়ার পর আউট কোহলি
- রেকর্ড সংগ্রহ ভারতের
- এবার শ্রেয়াসের সেঞ্চুরি
- থামলেন শ্রেয়াস
- ভারত ৩৯৭/৪, ৫০ ওভার
- কিংবদন্তির প্রশংসায় কিংবদন্তি
- পারবে নিউজিল্যান্ড?
- দুই চারে শুরু রান তাড়া
- ইতিবাচক শুরু নিউজিল্যান্ডের
- ৫ ওভারে ৩০
- এসেই সফল শামি, থামলেন কনওয়ে
- শামির শিকার দুই ওপেনার
- ১০ ওভারে ৪৬/১
- জাদেজার প্রথম ওভার...
- ছক্কা, চার
- ৫০ রানের জুটি
- বাঁচলেন উইলিয়ামসন
- বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল আপনি দেখছেন কীভাবে?
- ২০ ওভার শেষে…
- মিচেলের ৫০, উইলিয়ামসনের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি
- ‘ফ্রি’ ৪ রান
- ইনিংসের মাঝপথে
- উইলিয়ামসনের ফিফটি
- ১০৭ মিটার মিচেল
- অবিশ্বাস্য মিস শামির
- নিউজিল্যান্ডের ২০০
- লড়াই
- মিচেলের সেঞ্চুরির পর উইলিয়ামসন আউট
- ৩ বল, ২ উইকেট!
- চাপ
- কাটল বাউন্ডারি-খরা
- সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা
- আবার চেষ্টা মিচেলের
- ৬০ বলে দরকার ১৩২ রান
- ২০ রানের ওভার
- কোনদিকে যাচ্ছে ম্যাচ?
- ফিলিপস আউট
- চ্যাপম্যানও আউট
- ৩০ বল। ৯২ রান।
- শামির ৫ম
- ম্যান অব দ্য ম্যাচ কার হওয়া উচিত?
- সিরাজের সান্ত্বনা পুরস্কার
- উইকেট নম্বর ৬
- শামির ৭, ৭০ রানে জিতে সেমিফাইনালে ভারত
- ম্যাচসেরা শামি
- বলছেন কেইন উইলিয়ামসন
- ম্যাচজয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মা
বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ১
প্রথম পর্বের পালা শেষ আগেই। এবার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের পালা। চারটি দল ও বিশ্বকাপ শিরোপার মধ্যে এখন দুটি করে ম্যাচ। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে স্বাগতিক ও টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ভারতের সামনে নিউজিল্যান্ড।
২০১৯ সালে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল, যেখানে বৃষ্টিবিঘ্নিত দুদিনের ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এখন থেকে ৮-৯ ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে, ওল্ড ট্রাফোর্ডের সেই ফলের পুনরাবৃত্তি হবে নাকি বদলাবে সেটি।
সেমিফাইনালে প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
পিচ বিতর্ক
সেমিফাইনালকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক, সেটির মূলে ওয়াংখেড়ের পিচ। ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ দাবি করেছে, ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়ায় মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ সম্ভবত মন্থর উইকেট দেখা যেতে পারে। বিসিসিআইয়ের কিউরেটররা এরই মধ্যে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচের ঘাস ছেঁটে ফেলেছেন।
এদিকে ইএসপিএনক্রিকইনফো ও ডেইলি মেইল জানিয়েছে, নতুন একটি উইকেটে সেমিফাইনালে হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে ব্যবহৃত উইকেটে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহৃত উইকেট তুলনামূলক মন্থর হওয়ার কথা।
নিচের টুইটটি উইজডেনের সম্পাদক লরেন্স বুথের।
টস
টসে জিতেছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ‘ভালো একটি উইকেট, একটু ধীরগতির’, মনে করেন তিনি। ভালো একটি ম্যাচের আশা তাঁর। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনও বলেছেন, ব্যবহৃত উইকেটে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন তিনিও। দুই দলই অপরিবর্তিত আছে আগের ম্যাচ থেকে।
একাদশ
ভারত
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল (উইকেটকিপার), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, যশপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি ও মোহাম্মদ সিরাজ।
নিউজিল্যান্ড
ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেইন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ড্যারিল মিচেল, টম ল্যাথাম (উইকেটকিপার), গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন ও ট্রেন্ট বোল্ট।
ভোট দিন/মত জানান/আপনি কী মনে করেন?
আক্রমণাত্মক শুরু
সেমিফাইনাল, চাপ। তাতে কিছু যায় আসে না রোহিত শর্মার। প্রথম ওভারেই ভারত অধিনায়ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি কীভাবে খেলতে চান। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারে রোহিত মেরেছেন দুটি চার, পরপর ২ বলে। প্রথমটি শর্ট মিডউইকেটের নাগালের বাইরে দিয়ে গেছে অল্পর জন্য, পরেরটিতে কাভারের তেমন কোনো সুযোগ ছিল না। ১০/০, ১ ওভারশেষে।
শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে ওয়াংখেড়েতে ডেভিড বেকহাম
আগ্রাসী রোহিত
পেসারদের জন্য দৃশ্যমান কোনো মুভমেন্ট নেই ওয়াংখেড়ের এ ধীরগতির উইকেটে। বোল্টের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন রোহিত। প্রথম ১২ ওভারে ভারত অধিনায়ক তুলেছেন ১৬ রান, প্রথম ৩ ওভারে ভারত তুলেছে ২৫ রান।
৪৭/০, ৫ ওভার
রোহিত শর্মাকে শর্ট বল, তাও আবার এমন ধীরগতির উইকেটে। দীনেশ কার্তিকের ভাষায়, নিজের স্ত্রীর পর রোহিত হয়তো সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন পুল শটকে। সেটিই খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন সাউদির পর বোল্টও, রোহিতও দুবার ভাবেননি। ইনিংসের প্রথম ৫ ওভারের মধ্যে রোহিত মেরেছেন ৩টি ছক্কা, ভারত তুলে ফেলেছে ৪৭ রান। ওয়াংখেড়েতে উড়ন্ত শুরু ভারতের, শুরুতেই চাপে নিউজিল্যান্ড।
স্যান্টনারকেও পাত্তা দিলেন না রোহিত
ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবারের মতো এসেছেন মিচেল স্যান্টনার। তাঁর বিপক্ষে কীভাবে এগোন রোহিত, সেটি ছিল দেখার বিষয়। তবে গিয়ার বদলাননি ভারত অধিনায়ক। প্রথমে সুইপ করে চার মেরেছেন, যদিও তাতে ক্যাচের মতো উঠেছিল। স্যান্টনার লেংথ কমিয়ে এনেছেন, রোহিত সেটিকে পাঠিয়েছেন ওয়াংখেড়ের গ্যালারিতে। ষষ্ঠ ওভারেই ৫০ পেরিয়ে গেছে ভারত, ৬ ওভারে ৫৮/০।
উইলিয়ামসনের দারুণ ক্যাচে থামলেন রোহিত
২৮ বলে ৪৭, এরপর সাউদির স্লোয়ার। রোহিত শর্মা সেটি তুললেন আকাশে। লং অফে কেউ ছিলেন না, রোহিত খেলেছিলেন সেদিকেই। তবে বল এত ওপরে উঠেছে, উইলিয়ামসন পেয়েছেন সময়। পেছনের দিকে ছুটেছেন তিনি, বল থেকে চোখ সরাননি। শেষ পর্যন্ত নিয়েছেন দারুণ এক ক্যাচ। ভারত অধিনায়ক থামলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের হাতে ক্যাচ দিয়ে, ৭১ রানে ভাঙল ভারতের উদ্বোধনী জুটি।
রিভিউ হারাল নিউজিল্যান্ড
সাউদির বলে এলবিডব্লুর আবেদন হয়েছিল কোহলির বিপক্ষে। সেটি আবার হয়েছে চার। নিউজিল্যান্ড রিভিউ নেয়, কিন্তু সফল হয়নি সেটি—আল্ট্রা এজে দেখা গেছে স্পাইক। কোহলি পেয়েছেন তাঁর প্রথম চার। ৯ ওভারে ৭৫/১।
৮৪/১, ১০ ওভার
রোহিত থেমেছেন, কিন্তু ভারত পেয়েছে দুর্দান্ত এক শুরু। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে তারা তুলে ফেলেছে ৮৪ রান। রোহিতের উইকেটের আগে-পরে নিউজিল্যান্ড পেসাররা ঠিক যুতসই বোলিং করতে পারেননি এমন উইকেটে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও এখন পর্যন্ত এলোমেলো মনে হয়েছে তাদের।
শর্ট বল এবং বাউন্ডারি
শর্ট বলে সাফল্য খুঁজে ফিরছেন লকি ফার্গুসন, তবে তাঁর সে কৌশল এখন পর্যন্ত বুমেরাং-ই। গিলকে শর্ট বল করে চারের পর ছক্কা খেয়েছেন নিউজিল্যান্ড ফাস্ট বোলার, এমন উইকেটে নিশ্চিতভাবেই বোলিংটা উপভোগ করছেন না তিনি। ১৩তম ওভারেই ১০০ পেরিয়ে গেছে ভারত।
গিলের ৫০
রোহিতের সঙ্গে জুটির সময় সঙ্গ দেওয়ার কাজটিই করে গেছেন। অধিনায়ক ফেরার পর আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্বটা নিজের ব্যাটে তুলে নিয়েছেন শুবমান গিল। ৪১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করলেন ভারতীয় ওপেনার।
আরেকটি ৫০ রানের জুটি
প্রথম উইকেটের মতো দ্বিতীয় উইকেটেও ৫০ রানের জুটি হয়ে গেল। গিলের সঙ্গী এবার কোহলি।
সর্বশেষ স্যান্টনারের ওপর চড়াও হয়েছেন গিল। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে সাইটস্ক্রিন বরাবর মেরেছেন ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় ছক্কাটি। পরের বলে মেরেছেন কাট করে চার। নিউজিল্যান্ডের প্রধান স্পিনারের প্রথম ৪ বলে এসেছে ২৯ রান।
ভারতের ১৫০
আনা হয়েছে গ্লেন ফিলিপসকে, ইনিংসে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায়নি নিউজিল্যান্ড। প্রথম ১০ ওভারে উঠেছিল ৮৪ রান। পরের ১০ ওভারে এসেছে ৬৬ রান।
‘নিস্ক্রিয়’ ফিলিপস
এবারের বিশ্বকাপে ‘পার্ট টাইমার’ ফিলিপস নিয়েছেন ৬টি উইকেট। এর মধ্যে ৪টিই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের উইকেট। তবে ভারতের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের সবাই ডানহাতি। পঞ্চম বোলারের ক্ষেত্রে রবীন্দ্র ও ফিলিপসের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল নিউজিল্যান্ড, ফিলিপস আবার এনে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তবে ভারতের বিপক্ষে কাজটি বেশ কঠিন, এখন পর্যন্ত হয়েছে সেটিই। রবীন্দ্র ও ফিলিপসের প্রথম ৫ ওভারে এসেছে ৩১ রান।
উঠে গেলেন গিল
সিঙ্গেল নিতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। শুবমান গিল এরপর উঠেই গেলেন। হেঁটেই মাঠ ছেড়েছেন, ক্র্যাম্প নাকি হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট জাতীয় কিছু, সেটি বোঝা যায়নি। ৬৫ বলে ৭৯ রান করে আপাতত থেমেছেন গিল। কোহলির সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার।
একটু আগে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল রোহিতকে, কোনো বার্তা পাঠিয়েছেন ক্রিজে গিল ও কোহলিকে। গিলের চোটের সময় ভারত অধিনায়ক নেমে এসেছেন ডাগআউটে।
ইনিংসের মাঝপথে…
যে ইনিংস এখন পর্যন্ত ভারতের। গিলের চোট নিয়ে উঠে যাওয়া অবশ্যই কিছুটা হলেও ছন্দপতন, তবে ক্রিজে কোহলির সঙ্গে এসেছেন আগের ম্যাচে ১০০ করা শ্রেয়াস। ২৫ ওভারে ১৭৮/১।
কোহলির ৫০
২৭তম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল। বিরাট কোহলি পূর্ণ করলেন ৫০। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে এ ভেন্যুতে কোহলি করেছিলেন ৩৫ রান। এর আগে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে কোহলির সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল সেটিই, এটি নকআউট পর্বে তাঁর সপ্তম ম্যাচ।
রবীন্দ্রর এ ওভারে ডাউন এ গ্রাউন্ডে এসে ছক্কা, এরপর স্ল্যাশ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছিলেন শ্রেয়াস। তবে সেটির নাগাল পাননি টিম সাউদি। আগের ওভারে ৩ রান এসেছিল, একটু চাপ তৈরি হলেও সেটি মিলিয়ে গেছে আবার। আপাতত কিছুতেই কিছু হচ্ছে না সেভাবে নিউজিল্যান্ডের।
২০৩/১, ২৯ ওভার
১৩তম ওভারে ১০০ পেরিয়েছিল ভারত। ২৯তম ওভারে পেরিয়ে গেল ২০০। ওয়াংখেড়েতে বড় স্কোরের শক্ত ভিত পেয়ে গেছে স্বাগতিকেরা।
আরেকটি ৫০ রানের জুটি
রোহিত-গিল।
গিল-কোহলি।
কোহলি-শ্রেয়াস।
প্রথম ৩ উইকেটেই কমপক্ষে ৫০ রানের জুটি হলো। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে এটি ঘটল মাত্র দ্বিতীয়বার। এর আগের একমাত্র ‘কীর্তি’ও ছিল ভারতেরই—২০০৩ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে।
টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে কোহলি
শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯তম শতকের রেকর্ড ছুঁয়েছেন এ বিশ্বকাপেই। এবার এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানে টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে দিলেন কোহলি, সেটিও টেন্ডুলকারের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে। ২০০৩ সালে ফাইনাল খেলেছিল ভারত, টেন্ডুলকার সে টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৬৭৩ রান। ১টি শতকের সঙ্গে ৬টি অর্ধশতক ছিল টেন্ডুলকারের। কোহলি ২টি শতকের সঙ্গে এখন পর্যন্ত করেছেন ৬টি অর্ধশতক। তৃতীয় শতকটি পাবেন আজ? সেক্ষেত্রে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০টি শতক হবে তাঁর।
ভারত ৩৪ ওভারে ২৪৮/১।
মেডেনের পর ১৭
ইনিংসের প্রথম মেডেনটি করেছেন মিচেল স্যান্টনার, ব্যাটসম্যান ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। এবং আবারও ঠিক পরের ওভারেই মিলিয়ে গেছে সে চাপ। বোল্টের সপ্তম ওভারে এসেছে ১৭ রান, কোহলির সঙ্গে শ্রেয়াসের জুটিতে উঠেছে ১০০ রান।
২৬৫/১, ৩৬ ওভার।
এবার শ্রেয়াসের ৫০
তাঁর লাগল ৩৫ বল। চোট পেয়ে গিল উঠে যাওয়ার পর ভারতের একটু ছন্দপতন হয় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু দারুণ ফর্মে থাকা শ্রেয়াস সেটি টেরই পেতে দেননি। আগের ম্যাচে শতকের পর এবার অর্ধশতক তাঁর, এ নিয়ে টানা ৪ ইনিংসে কমপক্ষে ৫০ করলেন তিনি।
ভোট দিন
শেষ করলেন স্যান্টনার
নিজের শেষ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২ রান, একটু অস্বস্তিতেই ফেলেন কোহলিকে। এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ উঠলেও সেটি পড়েছে ফিল্ডারের সামনেই। সর্বশেষ ৩ ওভারে উঠেছে ১১ রান। ২৭৭/১, ৩৯ ওভার।
রিভিউ শেষ নিউজিল্যান্ডের
রবীন্দ্রর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে মিস করেন শ্রেয়াস আইয়ার, নিউজিল্যান্ড নিয়েছিল কট বিহাইন্ডের রিভিউ। সফল হয়নি সেটি। এর আগে কোহলির বিপক্ষে প্রথম রিভিউটি হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড, দ্বিতীয়টিও হারাল তারা।
১০০ নম্বর ৫০!
৪২তম ওভারের চতুর্থ বল। লকি ফার্গুসনকে স্কয়ার লেগের দিকে খেলে ডাবলস। ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫০টি সেঞ্চুরি হয়ে গেল তাতে বিরাট কোহলির।
ডাবলস পূর্ণ করার পর লাফ দিয়েছেন। ব্যাটটা রেখে খুলেছেন গ্লাভস, এরপর হেলমেট। এরপর নুইয়েছেন মাথা। নিজের আদর্শ শচীন টেন্ডুলকারের সামনে, তাঁর মাঠে, তাঁকে ছাড়িয়ে গেলেন কোহলি। সেটিও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। স্ত্রী আনুশকা শর্মার উল্লাস আর কোহলির চোখ-মুখের ভাষায় বলে দেয় সব!
এর আগে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে কোহলির সর্বোচ্চ ছিল ৩৫ রান। সেটি ছাড়িয়ে আজ প্রথম ফিফটি পেয়েছেন। এবার প্রথম সেঞ্চুরিও।
(ছবি- রয়টার্স)
জীবন পাওয়ার পর আউট কোহলি
অবশেষে এসেছিল কোহলিকে আউট করার সুযোগ! সাউদির বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলেছিলেন কোহলি, ১০৭ রানে দাঁড়িয়ে। ছুটে এসে ভালোভাবেই নাগাল পেয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপস, কিন্তু রাখতে পারেননি। ফিলিপস যে মানের ফিল্ডার, তাতে এ ক্যাচ বেশ সহজই হওয়ার কথা ছিল!
তবে এ ওভারেরই শেষ বলে অবশেষে থেমেছেন কোহলি। ডিপ স্কয়ার লেগে এবার ধরে পড়েছেন কনওয়ের হাতে, ১১৭ বলে ১১৭ রান করে। শ্রেয়াসের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ১৬৩ রান।
রেকর্ড সংগ্রহ ভারতের
রবীন্দ্রকে শ্রেয়াসের বড় ছক্কা লং অনের ওপর দিয়ে। ৩২৭ থেকে ভারত সে শটে পৌঁছে গেছে ৩৩৩ রানে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কোনো দলের এটিই এখন সর্বোচ্চ স্কোর। আগের সর্বোচ্চ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৫ সালে সিডনিতে ভারতের বিপক্ষে তারা তুলেছিল ৭ উইকেটে ৩২৮ রান।
রবীন্দ্রর ওভার শুরু হয়েছিল ছক্কায়, শেষও হয়েছে একইভাবে। এবারও ব্যাটসম্যান শ্রেয়াসই, যিনি পৌঁছে গেছেন ৯০ রানে। ৫ ওভার বাকি থাকতে ভারতের সংগ্রহ ৩৪১ রান।
এবার শ্রেয়াসের সেঞ্চুরি
সাউদির বলে লং অনে ঠেলে সিঙ্গেল, শ্রেয়াস আইয়ারের সেঞ্চুরি। তাঁর লাগল ৬৭ বল। গ্রুপপর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন, এবার করলেন সেমিফাইনালে। টানা চারটি ৫০-পেরোনো ইনিংস, টানা দুটি শতক শ্রেয়াসের। কোহলির রেকর্ড সেঞ্চুরিতে হয়তো একটু ম্লান, তবে ওয়াংখেড়ে আরেকবার উঠে দাঁড়িয়েছে ভারতের ‘বিশেষ’ চার নম্বরের জন্যও।
ভারত ৪৮ ওভারে ৩৬৬/২।
থামলেন শ্রেয়াস
৭০ বলে ১০৫ রান করে থামলেন শ্রেয়াস। বোল্টের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে। ইনিংসে ১১ বল বাকি থাকতে ভারত ৩৮১/৩।
ভারত ৩৯৭/৪, ৫০ ওভার
শেষ ওভারে এসে সূর্যকুমার ফেরার পর আবার নেমেছিলেন গিল। সাউদির করা ৫০তম ওভারে উঠেছে ১৫ রান। ভারত ৫০ ওভারে তুলেছে রেকর্ড ৩৯৭ রান।
টস থেকে শুরু করে প্রথম ইনিংসের শেষ পর্যন্ত—ওয়াংখেড়েতে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের পক্ষে গেছে সবকিছুই।
রোহিত শর্মা শুরুটা করেছিলেন। বিশ্বকাপে নকআউট পর্বেও ভারত অধিনায়ক দেখিয়েছেন, আসলেই ভয়ডরহীন ব্যাটিং করতে চায় তাঁর দল। তিনি ফেরার পর সে ব্যাটন নিয়েছেন শুবমান গিল। তিনি সেঞ্চুরির দেখা পাননি, চোট নিয়ে উঠে যেতে হয়েছিল বলে। কোহলি পেয়েছেন, এরপর সেঞ্চুরি পেয়েছেন শ্রেয়াসও।
ওয়াংখেড়ের এ উইকেটে নিউজিল্যান্ড বোলাররা লাইন, লেংথ—খুঁজে পাননি কিছুই। ভারত গড়েছে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ইতিহাসে রেকর্ড স্কোর। টানা তৃতীয় ফাইনালে যেতে নিউজিল্যান্ডকে এখন ভাঙতে হবে ওয়ানডেতে তাদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। এখন পর্যন্ত সেটি ৩৪৮ রানের, ২০২০ সালে ভারতের বিপক্ষেই ছিল সেটি।
এবার অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৮৯ রানের লক্ষ্যে ৩৮৩ পর্যন্ত গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আজ করতে হবে তার চেয়েও বেশি। এবং সেটি বিশ্বকাপের সেরা বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ড জানে, এমন রান তাড়ায় শুরু থেকে সব কিছুই পক্ষে আসতে হবে তাদের, যেমন এসেছে ভারতের!
কিংবদন্তির প্রশংসায় কিংবদন্তি
পারবে নিউজিল্যান্ড?
দুই চারে শুরু রান তাড়া
৩৯৮ রানের লক্ষ্য। যশপ্রীত বুমরার প্রথম বল। ডেভন কনওয়ের চার পয়েন্ট দিয়ে! এক বল পর আরেকটি চার। পরের ৩টি বল ডট দিয়ে অবশ্য ফিরে এসেছেন বুমরা। তবে নিউজিল্যান্ড আভাস দিয়েছে, সহজেই ছেড়ে কথা বলবে না তারা। যদিও সামনে এখনো দীর্ঘ পথ কিউইদের!
ইতিবাচক শুরু নিউজিল্যান্ডের
৪ ওভারে ৫ চার। সঙ্গে তিনটি ওয়াইড। ৫টি চারই এসেছে দুর্দান্ত টাইমিংয়ে। মুভমেন্ট পাচ্ছেন বুমরা-সিরাজরা, তবে বল ব্যাটে আসছে ভালোভাবেই।
৫ ওভারে ৩০
দুটি চার মেরেছেন রবীন্দ্র, তবে বাকি ১৪টি বল দিয়েছেন ডট। ৫ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৩০ রান। বুমরা প্যাড তাক করছেন, তবে লাইনে একটু এলোমেলোও তিনি, দিয়েছেন ৫টি ওয়াইড। ভারতের এ সময়ে ছিল ৪৭ রান।
এসেই সফল শামি, থামলেন কনওয়ে
ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবারের মতো এসেছেন মোহাম্মদ শামি, উইকেট নিয়েছেন প্রথম বলেই! অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন কনওয়ে। এর আগেও এমন করেছেন, তবে বল বেরিয়ে গেছে বলে বিপদ ঘটেনি। এবার শামির বলটি ধরে রেখেছে লাইন, পা না নড়িয়ে খেলার মাশুল দিতে হয়েছে কনওয়েকে। উইকেটের পেছনে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন লোকেশ রাহুল। নিউজিল্যান্ড প্রথম উইকেট হারিয়েছে ৩০ রানে।
শামির শিকার দুই ওপেনার
মোহাম্মদ শামির স্বপ্নযাত্রা চলছেই! বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে এসে নিজের প্রথম ২ ওভারেই ২ উইকেট! কনওয়ের পর এবার তাঁর শিকার রাচিন রবীন্দ্র। প্রথম ২১ বলে ১৩ রান করেছিলেন রবীন্দ্র, ২২তম বলে ফিরে যেতে হলো তাঁকে। আবারও দারুণ সিম পজিশনের বল, রবীন্দ্র খোঁচা দেন তাতে। বাকি কাজটি সেরেছেন রাহুল। ৩৯/২!
১০ ওভারে ৪৬/১
ভারত ইনিংসে মেডেন ছিল একটি, ৩৫তম ওভারে গিয়ে। নিউজিল্যান্ড ইনিংসে প্রথম মেডেন দেখা গেল নবম ওভারেই। ওয়াংখেড়েতে ফ্লাডলাইটের আলোয় শুরুর সময়টা কাটাতে পারলে ব্যাটিং বেশ সহজ হয়ে আসার কথা। কিন্তু নিউজিল্যান্ড টপ অর্ডারের রানের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, সেখানে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার। মাঝের ওভারগুলোতে আবার মুখোমুখি হতে হবে রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদবের, এ উইকেটে আছে টার্ন। জলে-ডাঙা—সবখানেই সমস্যা নিউজিল্যান্ডের!
প্রথম ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ড ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৪৬ রান। ভারত তুলেছিল ৮৪ রান।
জাদেজার প্রথম ওভার...
...ঘটনাবহুল। ড্যারিল মিচেল রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন, ভারত আবেদন করেছিল ক্যাচের। রিপ্লে দেখিয়েছে, বল লেগেছিল মিচেলের গ্লাভসের ওপরে, হাতে। পরের বলে লেগ সাইডে ঘুরিয়ে চার মারেন মিচেল, যেটি ছিল আবার নো। ফ্রি হিটে অবশ্য ১ রানের বেশি আসেনি। জাদেজার প্রথম ওভারে এসেছে ৮ রান, ১২ ওভারে নিউজিল্যান্ড ৬২/২।
ছক্কা, চার
টপ এজে ছক্কা, উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে। নিউজিল্যান্ড ইনিংসে প্রথম ছক্কা সেটি। ২ বল পর ইনসাইড-এজে চার। সিরাজের এ ওভারে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন উইলিয়ামসন। সর্বশেষ ২ ওভারেই ১৫ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৮৭ রান। মিচেল ও উইলিয়ামসনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানে।
৫০ রানের জুটি
ক্ষুদ্র একটা ধাপ বলা যায় এটিকে। মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ডের সামনে এখনো সু-দী-র্ঘ পথ!
কুলদীপ যাদব এসেছেন প্রথমবারের মতো, এরপর শামিকে ফেরানো হয়েছে ফিরতি স্পেলে। দ্বিতীয় বলে দারুণ লফটেড শটে ছক্কা মেরেছেন মিচেল। এক বল পর টেনে এক্সট্রা কাভার দিয়ে মেরেছেন চার। নিউজিল্যান্ড ওই চারে পেরিয়েছে ১০০। ১৭ ওভারে ১০৪/২।
বাঁচলেন উইলিয়ামসন
ক্রিজে ফিরতে একটু সময়ই নিয়েছিলেন উইলিয়ামসন। অবশ্য থ্রো চলে আসার লাগেই লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে উঠে গেছে একটি বেল। তবে আরেকটি ছিল, রাহুল থ্রো ধরে সেটি ভাঙার আগেই ঢুকে গেছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।
এ ওভারে এলবিডব্লুর রিভিউও নিয়েছিল ভারত। কিন্তু বল ট্র্যাকিংয়ে উইকেটে আম্পায়ার্স কল হওয়াতে সে দফাও অক্ষত থেকে গিয়েছিলেন উইলিয়ামসন।
১৮ ওভারে ১১৪/২।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল আপনি দেখছেন কীভাবে?
কলকাতায় আগামীকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে এভাবে প্রথম সেমিফাইনাল দেখছেন সমর্থকরা।
২০ ওভার শেষে…
ভারত ১৫০/১
নিউজিল্যান্ড ১২৪/২
অফিশিয়াল ব্রডকাস্টিংয়ে জয়ের সম্ভাবনা ভারতের এখনও ৯২ শতাংশ, নিউজিল্যান্ডের ৮ শতাংশ। উইলিয়ামসন ও মিচেলের তৃতীয় উইকেট জুটি অবিচ্ছিন্ন ৭৫ বলে ৮৫ রানে।
মিচেলের ৫০, উইলিয়ামসনের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি
এলবিডব্লুর আবেদন। ফিরতি ক্যাচ জাদেজার নাগালের বাইরে দিয়ে যাওয়া। এরপর ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় ছক্কা ড্যারিল মিচেলের। পরের ওভারের শেষ বলে কুলদীপকে সুইপ করে চার মেরেছেন উইলিয়ামসন, মিচেলের সঙ্গে তাঁর জুটিতে পূর্ণ হয়েছে ১০০ রান।
জাদেজার পরের ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেছেন মিচেল। প্রথম পর্বে ধর্মশালায় ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন, এবারও তাঁর কাছ থেকে তেমন কিছুই দরকার নিউজিল্যান্ডের।
‘ফ্রি’ ৪ রান
উইলিয়ামসন ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে খেলেছিলেন, নিজের বলে নিজেই ফিল্ডিং করেছিলেন জাদেজা। তবে এরপরই থ্রো করে বসলেন স্ট্রাইক প্রান্তে, যেটি ধরার কোনো সাধ্য ছিল না লোকেশ রাহুলের। ব্যাকআপও ছিলেন না কেউ। উইলিয়ামসন ও নিউজিল্যান্ড এমনি এমনি পেয়ে গেছেন ৪ রান। নিশ্চিতভাবেই এ জুটি হতাশ করছে ভারতকে!
ইনিংসের মাঝপথে
আবার মিচেলের ছক্কা, আবার জাদেজাকে। এবার সাইটস্ক্রিন বরাবর। ইনিংসের অর্ধেক শেষ, নিউজিল্যান্ড তুলেছে ১৬১ রান, ভারতের এ সময়ে স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১৭৮ রান।
উইলিয়ামসনের ফিফটি
৫৮ বলে ৫০। কেইন উইলিয়ামসন জানেন, উইকেট ধরে রাখাই আপাতত দায়িত্ব তাঁর। সেটিই করছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। তবে একটা সময় গিয়ে গিয়ার বদলাতে হবে, সেটিও জানেন তিনি। মিচেল অবশ্য ক্যাচ তুলেছিলেন, তবে লং অন ও মিডউইকেটের মাঝে পড়েছে সেটি।
১০৭ মিটার মিচেল
এখন পর্যন্ত চারটি ছক্কা মেরেছেন মিচেল, এর মধ্যে তিনটিই জাদেজাকে। সর্বশেষ ছক্কাটি এসেছে ২৭তম ওভারে। লং অনের গ্যালারিতে গেছে ১০৭ মিটার লম্বা ছক্কাটি। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে লম্বা ছক্কা এটিই।
অবিশ্বাস্য মিস শামির
কেইন উইলিয়ামসনকে আউট করেই দিয়েছিলেন প্রায় যশপ্রীত বুমরা। উইকেটের খোঁজে তাঁকে ফেরান রোহিত, স্লোয়ার দিয়ে সফল হয়েই গিয়েছিলেন প্রায়! কিন্তু মিড অনে সহজতম ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন মোহাম্মদ শামি। হাতে এসে পড়েছিল বল, এরপর বেরিয়ে গেছে সেটি। ৫২ রানে জীবন পেয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।
নিউজিল্যান্ডের ২০০
বোলারের নাম যশপ্রীত বুমরা। ড্যারিল মিচেল তাঁকে তুলে মেরেছেন লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা! ওই শটে ২০০ পেরিয়েছে নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসন এরপর স্কেলমাপা শটে মেরেছেন চার, বুমরার সপ্তম ওভারে এসেছে ১৪ রান, মিচেল অপরাজিত ৯৮ রানে, দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ১৭৪ রানে।
লড়াই
পানি পানের বিরতির পর প্রথম ৫ বলে মাত্র দুটি সিঙ্গেল দিয়েছেন জাদেজা। মিচেলকে বাধ্য করেছিলেন লেগ স্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে জায়গা বানিয়ে খেলতে। কিন্তু শেষ বলে শর্ট লেংথে পেয়ে ওয়াইড লং অনের গ্যাপে চার মেরেছেন উইলিয়ামসন। ৩২ ওভারে ২১৯/২।
মিচেলের সেঞ্চুরির পর উইলিয়ামসন আউট
মিডউইকেটে সিঙ্গেল। ৮৫ বলে সেঞ্চুরি ড্যারিল মিচেলের। ৩৯৮ রানের লক্ষ্য, নেমেছিলেন ৩৯ রানে ২ উইকেট পরে যাওয়ার পর। কিন্তু মিচেল খেলছেন পাল্টা আক্রমণের দুর্দান্ত এক ইনিংস! এবারের বিশ্বকাপে মিচেলের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, প্রথমটিও এসেছিল ভারতের বিপক্ষেই!
কিন্তু শামির এ ওভারেই ভেঙেছে জুটি! তুলে মেরেছিলেন উইলিয়ামসন, ডিপ স্কয়ার লেগে ভুল করেননি সূর্যকুমার যাদব। উইলিয়ামসনের ক্যাচ ফেলেছিলেন শামি, পেলেন তাঁরই উইকেট। উইলিয়ামসন থেমেছেন ৭৩ বলে ৬৯ রানে, মিচেলের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ১৮১ রান! বিশ্বকাপে এটি শামির ৫০তম উইকেট।
৩ বল, ২ উইকেট!
শামির বল আছড়ে পড়েছে ল্যাথামের প্যাডে। আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ সময় নেননি আউট দিতে, ল্যাথামও রিভিউ করার প্রয়োজন বোধ করেননি। ওয়াংখেড়ে নিশ্চুপ ছিল বেশ কিছুক্ষণ, তাদের জাগিয়ে তুললেন শামি। ৩ বলের ব্যবধানে ফেরালেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ককে।
চাপ
৯০ বলে নিউজিল্যান্ডের দরকার ১৭৪ রান!
কাটল বাউন্ডারি-খরা
প্রথম ১১ বলে ২ রান করা গ্লেন ফিলিপস কাট করে সেটি মেরেছেন রবীন্দ্র জাদেজাকে। যিনি শেষ করেছেন তাঁর ১০ ওভার। ৬৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন জাদেজা। এ উইকেটে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন, এমন ভাবা হলেও তেমন বড় ক্ষতি আজ কিউইদের করতে পারেননি এ বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু শামি যা করেছেন, সেটি কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না নিউজিল্যান্ড, প্রশ্ন সেটিই!
সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা
ওয়াইড ইয়র্কার। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে ফুললেংথ। সেটির পুনরাবৃত্তি। আবার ওয়াইড ইয়র্কার। ৪ বলে ১ রান।
ড্যারিল মিচেলের বিপক্ষে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলেন সিরাজ। এমনিতেই ক্র্যাম্পে ভুগছেন মিচেল। রান তাড়ায় ক্র্যাম্পে পড়া ব্যাটসম্যান মুম্বাইয়ে—মনে পড়ে? আফগানিস্তান সে দিন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে এমন বোলিং করেনি/করতে পারেনি, সিরাজ সেটি করছেন আজ। এ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের অনেক বড় আশা মিচেল, সেটি না বললেও চলে। তবে শরীর তাঁকে কতদূর সমর্থন দেবে, সেটিও প্রশ্ন।
সিরাজ ওভার শেষ করেছেন ৫ রান দিয়ে।
৭৮ বলে নিউজিল্যান্ডের দরকার ১৬২ রান।
আবার চেষ্টা মিচেলের
পুরো ইনিংসে ঠিক এ কাজটিই করেছেন মিচেল—পাল্টা-আক্রমণ। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া শামিকে এবার লফটেড ড্রাইভে ছক্কা মেরেছেন। শামির সপ্তম ওভারে এসেছে ৯ রান, ৭২ বলে দরকার ১৫৩ রান।
৬০ বলে দরকার ১৩২ রান
২০ রানের ওভার
স্ল্যাশ করে পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা। ফুলটসে লং অফ দিয়ে ছক্কা। লেংথ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার। এরপর ইনসাইড এজে বেঁচে গেছেন অল্পর জন্য। শেষ বলেও চার পেতেন গ্লেন ফিলিপস, কিন্তু দারুণভাবে ডাইভ দিয়ে ডিপ পয়েন্টে সেটি আটকেছেন গিল। সিরাজের করা ৪১তম ওভারে এসেছে ইনিংস-সর্বোচ্চ ২০ রান।
৪১ ওভারে ২৮৬/৪, ভারতের ছিল ২৯২/১।
কোনদিকে যাচ্ছে ম্যাচ?
সিরাজের ২০ রানের ওভারের পর কুলদীপ এসে দিয়েছেন মাত্র ২ রান! ৮ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ১১০ রান। কুলদীপের বাকি ১ ওভার, বুমরার ৩টি, সিরাজ ও শামির ২টি করে।
ফিলিপস আউট
ঠিক আগের বলে ফুলটস মিস করে সুযোগ হারিয়েছিলেন ফিলিপস। পরের বলে তুলে মারতে গিয়ে তুললেন ক্যাচ। কিন্তু বুমরার স্লোয়ারটি আকাশে অনেকখানি তুলতে পারলেও বাউন্ডারি পার করাতে পারেননি। ওয়াইড লং অফে অনেক্ষণ অপেক্ষা করে ক্যাচ নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৪৩ বলে দরকার ১০৩ রান, ফিলিপস ফিরে গেলেন মিচেলকে রেখে।
চ্যাপম্যানও আউট
শেষ কয়েক ওভারের চাপ নিউজিল্যান্ডের কফিনে ঠুকছে শেষ পেরেক! এবার কুলদীপের শিকার মার্ক চ্যাপম্যান। সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে জাদেজার হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
৩০ বল। ৯২ রান।
নিউজিল্যান্ডের দরকার মিরাকল।
শামির ৫ম
এটি মোহাম্মদ শামির বিশ্বকাপ। বাকিরা খেলছেন!
তৃতীয়বার ৫ উইকেট পেলেন ভারত পেসার। তাঁর সর্বশেষ শিকার ড্যারিল মিচেল। ৩৯৮ রানের লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডকে অসম্ভব এক আশা দিয়েছিলেন মিচেল। কিন্তু দৌড় থেকে কিছুটা আগেই ছিটকে গেছে নিউজিল্যান্ড। শামিকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেতে ধরা পড়েছেন ১১৯ বলে ১৩৪ রান করে। ১৯ নভেম্বরের ফাইনালে ভারতের ‘এন্ট্রি’ এখন আনুষ্ঠানিকতা, বলাই যায়!
ম্যান অব দ্য ম্যাচ কার হওয়া উচিত?
সিরাজের সান্ত্বনা পুরস্কার
দিনটি ভালো যায়নি তাঁর। ৮.৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৭৭ রান। অবশেষ একটি উইকেটের দেখা পেলেন তিনি। তাঁর স্লো বাউন্সারে রোহিতের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার।
উইকেট নম্বর ৬
স্লোয়ার। উইকেটের পেছনে আবারও নির্ভুল রাহুল। শামির ষষ্ঠ উইকেট। সর্বশেষ শিকার সাউদি।
শামির ৭, ৭০ রানে জিতে সেমিফাইনালে ভারত
ফার্গুসন কট বিহাইন্ড। রাহুলের চতুর্থ ক্যাচ। শামির সপ্তম উইকেট। দেশের মাটিতে ফাইনালে ভারত!
স্বপ্নের মতো বিশ্বকাপে শামির আরেকটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। বিশ্বকাপে ভারতের আরেকটি ‘পূর্ণাঙ্গ’ পারফরম্যান্স। টানা ১০ ম্যাচ জয়, শিরোপার জন্য দরকার আর একটি! ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ঠিক হবে আগামীকাল। কলকাতায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে যেখানে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া।
৩৯৮ রানের লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডকে করতে হতো দুর্দান্ত কিছু। ড্যারিল মিচেলের ইনিংস আশা জুগিয়েছিল তাদের। উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটিতে ভালো একটা ভিতও পেয়েছিল কিউইরা। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়ে ভারতকে দারুণভাবে এগিয়ে দিয়েছেন শামি। উইলিয়ামসনের ক্যাচ ফেলেছিলেন, ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো মুহূর্ত ছিল সেটি। কিন্তু শামির বোলিংয়ে আসলে ম্লান হয়ে যাওয়ার কথা সবই!
২০১৯ সালের সেমিফাইনালে ভারতকেই হারিয়ে ফাইনালে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এবার ফলটা ভিন্নই হলো। বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারের সেঞ্চুরি, শামির ৭ উইকেট—ভারত এখনো অপরাজিত। ১২ বছর পর ঘরের মাটিতে আরেকটি শিরোপা পেতে সেই অপরাজিত থাকার ধারাটি ধরে রাখতে হবে আর এক ম্যাচ!
অন্যদিকে টানা দুটি ফাইনাল খেলার পর এবার সেমিফাইনালেই থামল নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টের ইতিহাসের নকআউট পর্বে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের স্কোরও যথেষ্ট হয়নি তাদের। নিউজিল্যান্ডের সোনালী প্রজন্মের বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না এবারও।
ম্যাচসেরা শামি
কোহলি ও শ্রেয়াস প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। কিন্তু এমন রাতে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অনুমিতভাবেই উঠেছে শামির হাতে।
বলছেন কেইন উইলিয়ামসন
আমাদের দিকে আসেনি (এ ম্যাচের ফল), কিন্তু দিনশেষে দল হিসেবে সামনে এগোতে আমরা বেশ ভালো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি সঠিক পথে।
ম্যাচজয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মা
এ মাঠে অনেক খেলেছি, যে স্কোরই হোক না কেন নির্ভার থাকার সুযোগ নেই। আমরা জানতাম আমাদের ওপর চাপ থাকবে।