- বাংলাদেশের বোলারদের সেশন
- সামনে কঠিন কাজ বাংলাদেশের
- স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বাঁচলেন জাকির
- ভালো শুরু বাংলাদেশের
- শ্রীলঙ্কার রিভিউ হারানোর পর জাকিরের ফিফটি
- জাকির বোল্ড
- ২ ওভারে ২ উইকেট
- মধ্যাহ্নবিরতি, তৃতীয় দিন
- সাকিব এলবিডব্লু
- চারের পর আউট লিটন
- বাঁচলেন শাহাদাত
- ফিরলেন শাহাদাতও
- ক্যাচ পড়ল আরেকটি
- মিরাজও ফিরলেন
- আসিতার তৃতীয় শিকার মুমিনুল
- ১৭৮ রানে শেষ বাংলাদেশ
- চা-বিরতি, তৃতীয় দিন
- আবার ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা
- করুনারত্নে বোল্ড
- বোল্ড কুশল মেন্ডিসও
- স্লিপে ম্যাথুসের ক্যাচ ফেললেন শাহাদাত
- ৪০০ ছাড়াল শ্রীলঙ্কার লিড
- হাসানের দ্বিতীয়, শ্রীলঙ্কার তৃতীয়
- হাসানের তৃতীয়, শ্রীলঙ্কার চতুর্থ
- হাসানের চতুর্থ, শ্রীলঙ্কার পঞ্চম
- রিভিউতে ফিরলেন কামিন্দু
- অবশেষে কামিন্দু ...
তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কা: দ্বিতীয় ইনিংসে ১০২/৬
বাংলাদেশের বোলারদের সেশন
তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে খেলা হলো ২৫ ওভার। এর মধ্যেই শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। দিনের খেলা শেষে শ্রীলঙ্কার রান ৬ উইকেটে ১০২। প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে শ্রীলঙ্কার লিড দাঁড়িয়েছে ৪৫৫ রানে।
মাত্র ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে দিনের শেষ সেশনে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। ইনিংসের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান দিমুথ করুনারত্নেকে। পরের ওভারে কুশল মেন্ডিস বোল্ড হন খালেদ আহমেদের বলে।
১৫ রানে দুই উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার হয়ে এরপর আর কেউই থিতু হতে পারেননি। হাসান–খালেদরা একে একে তুলে নিয়েছেন মাদুশকা, চান্ডিমাল, ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দুদের। ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে এক প্রান্ত ধরে রেখেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, যিনি ৭ রানে থাকতে প্রথম স্লিপে শাহাদাতকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন।
হাসান ১১ ওভার বল করে ৫১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট, ৯ ওভারে ২৯ রান দিয়ে খালেদের শিকার ২টি।
সামনে কঠিন কাজ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৫৩১
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৫ ওভারে ৫৫/১
বাংলাদেশ ৪৭৬ রানে পিছিয়ে
দ্বিতীয় দিন শেষের এ স্কোরকার্ডই বলে দেয়, তৃতীয় দিন কাজটি সহজ হবে না বাংলাদেশের। নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দিন শুরু করবেন জাকির হাসান। ২৮ রানে অপরাজিত জাকির, তাইজুল ৯ বল খেলে রান করেননি গতকাল।
দিনের খেলা শুরু হবে একটু পরই। প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত।
স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বাঁচলেন জাকির
লাহিরু কুমারার লেন্থ বল জাকির হাসানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গিয়েছিল স্লিপে। ক্যাচ নিয়েছিলেন কামিন্দু। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেননি। তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্যের জন্য আবেদন করে শ্রীলঙ্কা। মাঠের দুই আম্পায়ার কথা বলে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য চান। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায়, বল কামিন্দুর হাতে যাওয়ার আগে মাটিতে লেগেছে। বেঁচে গেলেন জাকির।
ভালো শুরু বাংলাদেশের
তৃতীয় দিন সকালে শুরুটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার স্পিন দিয়ে শুরু হয়েছিল দিন, অন্যপ্রান্তে করছিলেন লাহিরু কুমারা। তাঁকে সরিয়ে আনা হয়েছে বিশ্ব ফার্নান্ডোকে। আউটসাইড-এজড হয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। তবে পিচ এমন ধীরগতির, সে ক্যাচ যায়নি প্রথম স্লিপ পর্যন্ত।
২৫ ওভারে ৭৮/১, বাংলাদেশ ৪৫৩ রানে পিছিয়ে
শ্রীলঙ্কার রিভিউ হারানোর পর জাকিরের ফিফটি
স্পষ্ট শব্দ ছিল। তবে বল ব্যাটে লাগার কারণে সেটি এসেছে নাকি ব্যাট মাটিতে লাগার ফলে—সেটি স্পষ্ট ছিল না। আম্পায়ার রড টাকার আউট দেননি, শ্রীলঙ্কা নেয় রিভিউ। তবে আল্ট্রা-এজ দেখিয়েছে, টাকারের নটআউটের সিদ্ধান্তই সঠিক। শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে রিভিউ।
জাকির তখন ৪৮ রানে দাঁড়িয়ে। ফিফটিতে যেতে অবশ্য একটু সময় নিলেন এ বাঁহাতি। অবশেষে পেলেন মাইলফলকের দেখা। বিশ্ব ফার্নান্ডোকে চার মেরে ৯৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন জাকির। যে মাঠে অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেখানে পেলেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি।
বাংলাদেশ ৯০/১, ৪৪১ রানে পিছিয়ে
জাকির বোল্ড
বিশ্ব ফার্নান্ডো বেশ ভালো বোলিং করছিলেন। সেটিরই পুরস্কার পেলেন। ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে বেরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, এবার ভেতরের দিকে ঢোকালেন বল। সেটি ঢুকেছে জাকিরের রক্ষণ ভেদ করে। উপড়ে গেছে লেগ স্টাম্প। ফিফটির পরপরই (৫৪ রানে) থামলেন জাকির। দিনে প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছে শ্রীলঙ্কা, যাতে ভেঙেছে তাইজুলের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি।
৯৬/২, বাংলাদেশ ৪৩৫ রানে পিছিয়ে
২ ওভারে ২ উইকেট
প্রথমে নাজমুল। প্রবাত জয়াসুরিয়া ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন স্টাম্পের ওপর। ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে দিমুত করুনারত্নের হাতে ক্যাচ তুলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পরের ওভারে বিশ্ব ফার্নান্ডোর শিকার তাইজুলও। বাংলাদেশের নাইটওয়াচম্যানও হয়েছেন জাকিরের মতো বোল্ড। আবার ভেতরের দিকে ঢোকা বল ছিল, সেটি ভেদ করেছে তাইজুলের রক্ষণ।
৩৭ ওভারে ১০৬/৪, বাংলাদেশ ৪২৫ রানে পিছিয়ে
মধ্যাহ্নবিরতি, তৃতীয় দিন
বাংলাদেশ ১১৫/৪, ১ম ইনিংসে ৪১৬ রানে পিছিয়ে
দিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা ছিল প্রথম ঘণ্টায়। বল ১৫ ওভারের পুরোনো। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ওপরের আকাশও মেঘলা। কিছুটা পুরোনো হওয়া বলের সুবিধা কাজে লাগিয়ে যদি দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের দুই-একটি উইকেট নেওয়া যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই। কিন্তু জাকির হাসান ও তাইজুল ইসলাম তা হতে দেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ঘণ্টাটা পার করেন দুজন। বাংলাদেশের রানও বাড়তে থাকে। কিন্তু মধ্যাহ্নবিরতির কিছুক্ষণ আগে ছোট খাট একটা ধস নেমে এল বাংলাদেশ টপ অর্ডারে। ৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ১১৫ রানে প্রথম সেশন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ক্রিজে আছেন সাকিব আল হাসান (৬) ও মুমিনুল হক (২)। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে এগিয়ে আছে ৪১৬ রানে।
ধসের শুরু হয় জাকিরের আউটে। ৯৬ বলে অর্ধশতক করে ভালোই খেলছিলেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার। ভালো করছিলেন বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্ডোও। ৩৩তম ওভারে ওয়াইড অব দ্য ক্রিজ থেকে এসে ভেতরের দিকে ঢোকানো বলে জাকিরের লেগ স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। ১০৪ বলে ৫৪ রান করা জাকিরের বিদায়ে তাইজুলের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি ভাঙে। সদ্য ক্রিজে আসা অধিনায়ক নাজমুল হোসেনকে দ্রুত আউট করেছেন প্রবাত জয়সুরিয়া। ৩৬তম ওভারে স্টাম্পের ওপর ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে দিমুত করুনারত্নের ক্যাচ তোলেন নাজমুল (১)। পরের ওভারে জাকিরের মতো একই অ্যাঙ্গেল কাজে লাগিয়ে তাইজুলকেও থামিয়েছেন বিশ্ব। ৬১ বল খেলে ২২ রান করেন তাইজুল। সাকিব ও মুমিনুলের জুটি অবিচ্ছিন্ন ১০ রানে।
সাকিব এলবিডব্লু
সাকিবের শরীরী ভাষায় বলছিল, তিনিও জানেন কী ঘটেছে। নিতে হয় বলেই যেন রিভিউটি নিলেন। তবে রড টাকারের সিদ্ধান্ত বদলাল না। সাকিব এলবিডব্লু, পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
আরেকটি ভেতরের দিকে ঢোকা বল। বোলার আসিতা ফার্নান্ডো। লাইন মিস করে যান সাকিব। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, উইকেটে আম্পায়ার্স কল হতো। রিভিউটি বাঁচল। তবে সাকিবকে ফিরতে হলো।
বাংলাদেশ ১২৬/৫, পিছিয়ে ৪০৫ রানে।
চারের পর আউট লিটন
না, প্রথম বলে নয়। প্রথম বল ডিফেন্ড করেছিলেন লিটন। এর পরের বলে দারুণ ড্রাইভে চার। পরের বলে লেংথ কমিয়ে আনলেন আসিতা ফার্নান্ডো। যে লেংথে খেলা উচিৎ নয়, লিটন অমন বলে খেলতে গিয়ে খোঁচা দিলেন। উইকেটের পেছনে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। ৪ বলের মধ্যে সাকিব ও লিটনকে হারাল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে অশনী সঙ্কেত বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে!
বাঁচলেন শাহাদাত
সকালে জাকির ও তাইজুল বেঁচে গিয়েছিলেন ক্যাচ তুলেও, তবে সেগুলো ঠিক ফিল্ডার পর্যন্ত পৌঁছায়নি। এবার ব্যতিক্রম। তবে বেঁচে গেলেন শাহাদাতও। প্রবাত জয়াসুরিয়াকে ড্রাইভ করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ তুলেছিলেন। জয়াসুরিয়ার নাগালের মধ্যে ছিল, হাতও বাড়িয়েছিলেন। তবে ক্যাচটি রাখতে পারেননি। ৭ রানে জীবন পেলেন শাহাদাত।
৫০ ওভারে ১৪১/৬, বাংলাদেশ ৩৯০ রানে পিছিয়ে
ফিরলেন শাহাদাতও
৭ রানে বেঁচে গিয়েছিলেন। ৮ রানে আউট হলেন শাহাদাত। লাহিরু কুমারার বলে স্কয়ারড আপ হয়ে গিয়েছিলেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে গেছে স্লিপে। নিচু হয়ে সেটি নিয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস। অবশ্য ক্যাচ ঠিকঠাক হয়েছে কি না, তা দেখতে টেলিভিশন আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন দুই অন ফিল্ড আম্পায়ার। কয়েকবার রিপ্লে দেখার পর ক্রিস গ্যাফানি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, ক্যাচ নেওয়ার সময় বলের নিচে আঙুল ছিল মেন্ডিসের। ফলে বাংলাদেশ হারাল আরেকটি উইকেট—ইনিংসে সপ্তম। দলের স্কোর ১৪৮, প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে ৩৮৩ রানে। ফলো অন এড়াতেই দরকার আরও ১৮৩ রান।
ক্যাচ পড়ল আরেকটি
১৪ বলে ২ রান করার ধৈর্য আর ধরে রাখতে পারলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রবাত জয়াসুরিয়াকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে তুলে মারতে গিয়ে তুলেছিলেন ক্যাচ। কিন্তু শর্ট কাভার অনেকটা সময় পেয়েও সহজতম ক্যাচটি ফেলে দিয়েছেন বদলি ফিল্ডার সাদিরা সামারাবিক্রমা।
বাংলাদেশ ১৫৫/৭, ৩৭৬ রানে পিছিয়ে
মিরাজও ফিরলেন
মিরাজের রিভিউ ব্যর্থ। খোলা চোখেও মনে হয়েছিল অমনই। জয়াসুরিয়ার বলে ক্যাচ তুলে বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁর বলেই এলবিডব্লু হলেন তিনি। শাহাদাতের মতো তিনিও কাজে লাগাতে পারলেন না সুযোগ।
১৬৫/৮, বাংলাদেশ পিছিয়ে ৩৬৬ রানে পিছিয়ে
আসিতার তৃতীয় শিকার মুমিনুল
একদিকে টিকে ছিলেন মুমিনুল হক। থামতে হলো এবার তাঁকে। আসিতা ফার্নান্ডোর ফুললেংথের বলে এলবিডব্লু তিনি ৮৪ বলে ৩৩ রান করে। রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু উইকেটে আম্পায়ার্স কল হওয়াতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। বাংলাদেশের বাকি মাত্র ১ উইকেট, উঠেছে ১৭৫ রান।
১৭৮ রানে শেষ বাংলাদেশ
আসিতার বলে বোল্ড খালেদ। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ ১৭৮ রানে। ফলে প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে এগিয়ে থাকল শ্রীলঙ্কা। চাইলে এখন বাংলাদেশকে ফলো-অন করাতে পারবে সফরকারীরা।
চা-বিরতি, তৃতীয় দিন
ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
ধসের শুরুটা হয় প্রথম সেশনের শেষের দিকে। তৃতীয় দিনের শুরুতে দারুণ ব্যাটিং করলেও ৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে পা হড়কায় বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়ার মতো কেউ ছিলেন না আর। মুমিনুল হক ও সাকিব আল হাসান ৪৭ বল খেলে ২১ রানের ছোট জুটিতে কিছুটা আশা জাগালেও তা ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। সেখান থেকেই আরেক ধসের শুরু। দ্বিতীয় সেশনে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এ নিয়ে টানা পাঁচ ইনিংস দুই শ রানের নিচে অলআউট হলো বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে আসিতা ফার্নান্ডো ৪ উইকেট নিয়েছেন।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের আউট করার একটা উপায় বের করেন আরেক লঙ্কান পেসার বিশ্ব ফার্নান্ডো। ওয়াইড অব দ্য ক্রিজ থেকে অ্যাঙ্গেলে বল ভেতরে এনে দুই বাঁহাতি জাকির ও তাইজুলকে আউট করেন এই বাঁহাতি। একই কৌশল কাজে লাগিয়েছেন অন্য দুই লঙ্কান পেসার লাহিরু কুমারা ও আসিতা ফার্নান্ডোও। সাকিবকে একই অ্যাঙ্গেলে বল করে দমিয়ে রাখেন এই দুজন। সাফল্য আসে ৪৫তম ওভারে। ফার্নান্ডোর ভেতরে আসা বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সাকিব। ২৩ বলে ১৫ রানে থামে তাঁর ইনিংস।
একই ওভারে আউট হন লিটন দাসও (৪)। ফার্নান্ডোর অফ স্টাম্পের বাইরের নিরীহ একটি বলে কট বিহাইন্ড হন তিনি। দীর্ঘ হয়নি শাহাদাত হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের ইনিংসও। কুমারার বলে স্লিপে কামিন্দু মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ তোলেন শাহাদাত (৮), মিরাজ ২ রানে জীবন পেলেও ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। প্রবাত জয়াসুরিয়ার বলে থামে তাঁর ইনিংস। ওদিকে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের রানটাকে দেড় শ’র ওপারে নেন মুমিনুল। এ ইনিংসের পথে টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে চার হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। ফার্নান্ডোর বলেই থামে তাঁর ইনিংস। ৬৯তম ওভারে খালেদকে বোল্ড করে বাংলাদেশ ইনিংসের ইতি টানেন ফার্নান্ডো।
আবার ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা
৩৫৩ রানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। চাইলে বাংলাদেশকে ফলো-অনে পাঠাতে পারত তারা। তবে আবার ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। চা-বিরতির পর নেমেছেন দুই ওপেনার নিশান মাদুশঙ্কা ও দিমুত করুনারত্নে।
করুনারত্নে বোল্ড
যেভাবে চেয়েছিলেন করুনারত্নে, বল সেভাবে ওঠেনি। ব্যাটের নিচের দিকের অংশে লেগে ঢুকেছে স্টাম্পে। হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড তিনি। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা।
বোল্ড কুশল মেন্ডিসও
দিমুথ করুনারত্নে আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নেমেছিলেন কুশল মেন্ডিস। তবে বোল্ড হয়ে ফিরলেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানও। খালেদ আহমেদের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে কুশল ফিরলেন ২ রানে।
শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ১৫।
স্লিপে ম্যাথুসের ক্যাচ ফেললেন শাহাদাত
আবারও স্লিপে ক্যাচ মিস! প্রথম স্লিপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ক্যাচ হাতে নিয়েও জমিয়ে রাখতে পারলেন না শাহাদাত হোসেন। সিরিজজুড়ে স্লিপে ক্যাচ মিসের ধারাবাহিকতায় যা সর্বশেষ।
হাসান মাহমুদের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল ম্যাথুসের ব্যাটের বাইরের অংশ লেগে স্লিপে যায়। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বল হাতেও নেন শাহাদাত, কিন্তু মুঠোবন্দি আর করতে পারেননি। ম্যাথুস জীবন পেলেন ৭ রানে।
শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের রান ২ উইকেটে ৩৪।
৪০০ ছাড়াল শ্রীলঙ্কার লিড
তৃতীয় দিনের খেলা বাকি আরও অন্তত ২৫ ওভার। এর মধ্যেই লিড ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। বাংলাদেশকে ১৭৮ রানে অলআউট করে প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে এগিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। নাজমুলদের ফলো–অনে না পাঠিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দল। ইনিংসের ১১ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের রান ২ উইকেটে ৫২।
দুই ইনিংস মিলিয়ে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ৪০৫ রানে।
হাসানের দ্বিতীয়, শ্রীলঙ্কার তৃতীয়
হাসান মাহমুদের শর্ট লেংথের বলে লাফিয়ে উঠে অফ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন মাদুশকা। ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়েছেন। ৩৪ রান করেছেন, শ্রীলঙ্কা তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ৬০ রানে।
হাসানের তৃতীয়, শ্রীলঙ্কার চতুর্থ
হাসান মাহমুদের আরেকটি উইকেট, স্লিপে অবশেষে একটি ক্যাচ বাংলাদেশের। দিনেশ চান্ডিমাল অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাচ চালিয়ে ক্যাচ তুলেছেন। প্রথম স্লিপে শাহাদাত হোসেন সেটি নিয়েছেন দ্বিতীয় দফায়।
শ্রীলঙ্কা ৭২/৪, দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়ে ৪২৫ রানে
হাসানের চতুর্থ, শ্রীলঙ্কার পঞ্চম
অফ স্টাম্পের বাইরের চ্যানেল। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা খোঁচা দিয়েছেন। হাসান মাহমুদ পেয়েছেন চতুর্থ উইকেট, ৭৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা!
রিভিউতে ফিরলেন কামিন্দু
খালেদের ফুল লেন্থের বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। বল ব্যাটে ছুঁয়ে গেছে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে। শ্রীলঙ্কা হারাল ষষ্ঠ উইকেট।
উইকেটটা পেতে অবশ্য রিভিউ নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। খালেদ নিশ্চিত থাকলেও আম্পায়ার আউট দেননি। পরে নাজমুল রিভিউ নেন একেবারে শেষ মুহূর্তে।
শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের রান ৬ উইকেট ৮৯। লিড ৪৪২ রানের।
অবশেষে কামিন্দু ...
১৭ বলে ৯ রানে শেষ কামিন্দুর ইনিংস। তিন টেস্টের ক্যারিয়ারে এই প্রথম ফিফটির আগে আউট হলেন এই বাঁহাতি। সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা কামিন্দু চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৯২ রানে।