ডিএলএস পদ্ধতিতে টাই ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ, ইতিহাসে দ্বিতীয়বার
ডিএলএস পদ্ধতিতে ‘পার’ স্কোর থাকার সময় বৃষ্টি এসে ভারতের ব্যাটিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর টাই হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের তৃতীয় ও সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি। নেপিয়ারে ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা ভারত ৯ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৭৫ রান। ওই সময় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ভারতের ‘পার’ স্কোরই ছিল ৭৫, মানে জিততে গেলে তখন স্কোর থাকতে হতো ৭৫ রানের বেশি।
এরপর বৃষ্টি কমে এলেও খেলা শুরু হতে পারেনি, এর ফলে ম্যাচ হয়েছে টাই। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয়টি জিতেছিল ভারত, এর ফলে হার্দিক পান্ডিয়ার দল সিরিজ জিতেছে ১-০ ব্যবধানে।
ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো এভাবে খেলা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ডিএলএস পদ্ধতিতে কোনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি টাই হলো। প্রথম এমন হয়েছিল জিব্রাল্টার ও মাল্টার ম্যাচে, গত বছর। অবশ্য ওয়ানডেতে এমন ঘটনা আছে তিনটি।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে অর্শদীপ সিংয়ের বলে এলবিডব্লু হন ফিন অ্যালেন। পাওয়ারপ্লেতে নিউজিল্যান্ড হারায় মার্ক চাপম্যানকেও, যদিও ওঠে ৪৬ রান। নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটি এরপর করেন ডেভন কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপসের তৃতীয় উইকেট জুটি, দুজন মিলে ৬৩ বলে যোগ করেন ৮৬ রান। দুজন অবশ্য ফেরেন ৬ বলের ব্যবধানে।
৩৩ বলে ৫৪ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে ফাইন লেগে ভুবনেশ্বর কুমারের ভালো ক্যাচে পরিণত হন ফিলিপস। পরের ওভারে অর্শদীপের বলে ডিপ মিডউইকেটে ঈশান কিষানের হাতে ধরা পড়েন ৪৯ বলে ৫৯ রান করা কনওয়ে।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে এরপর নামে ধস। ৩০ রান তুলতেই শেষ ৮ উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। ১৮তম ওভারে সিরাজ করেন জোড়া আঘাত—জেমস নিশামের পর ফেরেন মিচেল স্যান্টনার। অর্শদীপের করা পরের ওভারে পরপর দুই বলে ফেরেন ড্যারিল মিচেল ও ইশ সোধি, হ্যাটট্রিক বলে রানআউট হন অ্যাডাম মিলনে।
হার্শাল প্যাটেলের বলে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি বোল্ড হলে ২ বল আগেই শেষ হয় নিউজিল্যান্ড ইনিংস। শেষ ১৬ বলে আসে মাত্র একটি চার, ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড তোলে মাত্র ১৩ রান।
রানতাড়ায় ভারত অবশ্য চাপে পড়ে শুরুতেই। মিলনেকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দেন কিষান। তৃতীয় ওভারে পরপর দুই বলে ঋষভ পন্ত ও শ্রেয়াস আইয়ারকে ফেরান সাউদি, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দাঁড়িয়ে যান হ্যাটট্রিকের সামনে। হার্দিক পান্ডিয়ার সামনে অবশ্য হ্যাটট্রিক বলটি ওয়াইড করেন সাউদি।
সেই পান্ডিয়াই এরপর করেন প্রতি–আক্রমণ। চতুর্থ ওভারে মিলনেকে চার মেরে শুরুটা অবশ্য করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব, ওই ওভারে পান্ডিয়া মারেন আরও দুটি চার।
পরের ওভারে ভারত অধিনায়ক চড়াও হন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক সাউদির ওপর, চারের পর আসে ছক্কা। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে কবজির দারুণ ব্যবহারে লকি ফার্গুসনকে ছক্কা মারেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা সূর্যকুমার, ৬ ওভারে ভারত তোলে ৫৮ রান।
সূর্যকুমারকে ফিরিয়ে পরের ওভারেই ২২ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো জুটি ভাঙেন সোধি। সূর্যকুমারের টাইমিং ছিল দারুণ, তবে বল সোজা যায় ডিপ মিডউইকেটে। ওই উইকেটের পর সোধির সঙ্গে অন্য প্রান্তে আসা মিচেল স্যান্টনার ভারতের রানের গতি একটু কমিয়ে আনেন, পাওয়ারপ্লের পরের ৩ ওভারে আসে ১৭ রান। নবম ওভার শেষে নামে বৃষ্টি, যেটির কারণে খেলা শুরু হতে পারেনি আর।