পাকিস্তানি উসমানের সেঞ্চুরিতে মিরপুরে রানের রেকর্ড
মিরপুরের উইকেটে টি-টোয়েন্টি মানেই ১৩০-১৪০ রানের খেলা! চলতি বিপিএল শুরুর আগপর্যন্ত দেশের ক্রিকেটে এমন কথাই প্রচলিত ছিল। তবে এবারের বিপিএল প্রচলিত সেই বয়ানকে ভুল প্রমাণ করে চলেছে।
৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া বিপিএলে মিরপুরে প্রায় প্রতি ম্যাচেই হচ্ছে বড় রান। আজ তো দেখা গেল বিপিএল ইতিহাসে মিরপুরে রেকর্ড সংগ্রহ। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে চট্টগ্রাম কিংসের করা ২১৯ রানই বিপিএলে মিরপুরের সর্বোচ্চ।
রেকর্ড রান তুলে সহজ জয়ও পেয়েছে চট্টগ্রাম। রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে রাজশাহী গুটিয়ে গেছে ১১৪ রানে। ১০৫ রানে পাওয়া জয়টি এবারের বিপিএলে চট্টগ্রামের প্রথম।
মিরপুরে ২১৯ রান চট্টগ্রাম তুলেছে উসমান খানের ক্যারিয়ার–সেরা ১২৩ রানের ইনিংসে। পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কা। শুরুতেই আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন আউট হলেও এক প্রান্তে ঝড় অব্যাহত রাখেন উসমান। পান ২১ বলে ফিফটি।
তাতে ৮.৫ ওভারেই ১০০ রান তুলে ফেলে চট্টগ্রাম। ৩ নম্বরে নামা গ্রাহাম ক্লার্কেরও তাতে অবদান ছিল, তাঁর সঙ্গে উসমান গড়েন ১২০ রানের জুটি। ক্লার্ক আউট হন ৪০ রান করে, যা ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। উসমান সেঞ্চুরি পান ৪৮ বলে, যেটি এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি।
উসমানকে যোগ্য সঙ্গে দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন (১৫ বলে ২৮), হায়দার আলী (৮ বলে ১৯)। উসমান বিপিএলে আগেও সেঞ্চুরি করেছেন। সেটি ২০২৩ সালে, চট্টগ্রামের হয়েই। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সব মিলিয়ে এটি তাঁর সপ্তম সেঞ্চুরি। গত ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া তাসকিন আজও দারুণ বোলিং করেছেন, ২২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
রাজশাহী দলে এমনিতেই ব্যাটিং বিভাগে গভীরতা নেই। এই রান তাড়া করতে হলে মোহাম্মদ হারিস কিংবা এনামুল হককে উসমান হয়ে উঠতে হতো। রাজশাহীর কেউই সেটা হতে পারেননি। হারিস অবশ্য দারুণ শুরু পেয়েছিলেন, তবে স্বদেশি মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন ১৫ বলে ৩২ রান করে। ম্যাচটা কার্যত সেখানেই শেষ! টানা দুই ম্যাচে ফিফটির পর এনামুল আজ আউট হন ৮ রানে।
আকবর আলী করেছেন ১২ বলে ১৮ রান। চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন আলিস আল ইসলাম ও আরাফাত সানি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। বিপিএলে ৩ ম্যাচে রাজশাহী হারল ২ ম্যাচে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং কিংস: ২১৯ /৫ (উসমান ১২৩, ক্লার্ক ৪০; তাসকিন ২/২২, সোহাগ ১/২৮)।
দুর্বার রাজশাহী: ১১৪/১০ (হারিস ৩২, আকবর ১৮; আলিস ৩/১৭, আরাফাত ৩/২৩)।
ফল: চিটাগং কিংস ১০৫ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: উসমান খান।