বিশ্বকাপের শুরুতে নাসিমকে না–ও পেতে পারে পাকিস্তান
এশিয়া কাপে কাল রাতে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর শঙ্কার কথাটা জানান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। পেসার নাসিম শাহকে বিশ্বকাপের শুরুতে না–ও পাওয়া যেতে পারে, এমন ইঙ্গিত দেন বাবর। ডান কাঁধের চোট থেকে নাসিম শাহ কত দিনের মধ্যে সেরে উঠবেন, তা নিয়ে এখনো পরিষ্কার করে কিছু বলেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
এদিকে আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু হবে বিশ্বকাপ। পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ৬ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে নাসিম ফিট থাকবেন কি না, বাবর সে বিষয়ে নিশ্চিত নন।
এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন নাসিম। আরেক পেসার হারিস রউফও চোট পান। হারিসকে বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ফিট হিসেবে পাওয়ায় আশাবাদী পাকিস্তান। এশিয়া কাপে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে নাসিমের বদলি খেলোয়াড় নিলেও হারিসের ক্ষেত্রে তা করেনি। স্কোয়াড থেকে হারিসকে অফিশিয়ালি বাদ দেওয়া হয়নি।
কিন্তু নাসিমের বদলি হিসেবে কাল রাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছেন পেসার জামান খান। এ ম্যাচে ২ উইকেটের হারে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে পড়ার পর দুই পেসারের চোট নিয়ে কথা বলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর।
বিশ্বকাপে নাসিম ও হারিস রউফকে না পেলে বিকল্প পরিকল্পনা কী, ম্যাচ শেষে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাবরের কাছে। পাকিস্তান অধিনায়ক শুরুতে একটু মজা করলেন, ‘পরে বলব (বিকল্প পরিকল্পনা)। এখন বিকল্প পরিকল্পনা বলা যাবে না।’ এরপর আসল কথায় এলেন, ‘হারিস রউফের অবস্থা ভালো। তার একটু টান লেগেছে। কিন্তু সে বিশ্বকাপের আগেই সুস্থ হয়ে উঠবে। নাসিম শাহও তাই...তাদের (চোটে) পার্থক্য আছে। সুস্থ হয়ে উঠতে কত দিন লাগবে, জানি না। তবে আমার মতে, নাসিমকেও বিশ্বকাপের শেষ দিকে পাওয়া যাবে। দেখা যাক কী হয়।’
নাসিমের চোট কতটা গুরুতর সে বিষয়ে পিসিবি এখনো কিছুই জানায়নি। ডান কাঁধের নিচের মাংসপেশির এই চোটের স্ক্যান করাতে এখন দুবাইয়ে আছেন নাসিম। ভারতের বিপক্ষে রিজার্ভ ডেতে বোলিং করার সময় চোট পেয়েছিলেন। হারিস রউফ সেদিন চোটের কারণে আর বোলিং করেননি।
নাসিমের চোটের প্রবণতা নতুন নয়। ২০ বছর বয়সী এই পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার পর পিঠের চোটের কারণে প্রায় ১৪ মাস মাঠের বাইরে ছিলেন। ফেরার ছয় সপ্তাহ পর কাঁধের চোটের কারণে আবারও এক মাসের জন্য বাইরে ছিটকে পড়েন। তবে এই নাসিমই আবার তিন সংস্করণ মিলিয়ে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা বোলার। ওয়ানডের কথাই ধরুন, গত বছর এই সংস্করণে অভিষেকের পর পাকিস্তানের হয়ে আর কেউ তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট পাননি। ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৩২ উইকেট। গড় ১৬.৯৬!