সিলেট টেস্টে দুজনের অভিষেকের আভাস দিলেন হাথুরুসিংহে
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢুকলেই চোখে পড়বে সবুজ ঘাসে মোড়ানো বাইশ গজ। গতকাল থেকে সিলেটের আকাশেও মেঘের আনাগোনা। উইকেট ও কন্ডিশন যখন এমন, তখন যেকোনো দলই চাইবে পেস-সমৃদ্ধ দল সাজাতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া সিলেট টেস্টেও বাংলাদেশ দলের ভাবনা এমনই।
চোট, অতিরিক্ত ক্রিকেটের ক্লান্তির পরও বাংলাদেশ দল টেস্ট দলটা সাজাতে চায় পেসারদের দিয়ে। সে ক্ষেত্রে টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে দুই তরুণ ফাস্ট বোলার মুশফিক হাসান এবং নাহিদ রানার। সঙ্গে অভিজ্ঞ খালেদ আহমেদ তো আছেনই। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সে আভাসই দিলেন।
টেস্ট দলে আছেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলামও। কিন্তু টানা ক্রিকেটে ক্লান্ত শরীফুলকে ওয়ানডে সিরিজের পর ছুটি দেওয়া হয়েছে। তিনি আজ সন্ধ্যার ফ্লাইটে সিলেটে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। প্রথম টেস্টের আগে কোনো অনুশীলন করেননি শরীফুল। বোঝাই যাচ্ছে, আগামীকালের একাদশে তাঁর থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
হাথুরুসিংহেকে শরীফুলের অবস্থা জানতে চেয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য সরাসরি কিছু বলেননি, ‘শরীফুল ঠিক আছে। সে অনেক বেশি সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছে। তাই আমরা তাকে ছুটি দিয়েছি। তার বোলিং করার দরকার নেই। কারণ, সে অনেক বোলিং করেছে। সে খেলার জন্য প্রস্তুত।’ একাদশে কয়জন পেসার থাকতে পারেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি যোগ করেন, ‘যারা আছে তাদের মধ্যে হয়তো ৩ জন বা ২ জন খেলতে পারে।’
অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা নাহিদ ও মুশফিকের ব্যাপারে কোচের মন্তব্য, ‘দুজনই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়। দুজনই ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারে। আমরা দেখেছি ওরা কত জোরে বল করতে পারে। দুজনই তরুণ ও শক্তিশালী। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দুজনেরই শুরুটা ভালো হয়েছে। হ্যাঁ, আমি খুবই রোমাঞ্চিত। দুজনের একজনের এই ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা দেখছি, হতে পারে দুজনই খেলবে।’
সিলেটের কন্ডিশনেরও তেমনই চাহিদা। হাথুরুসিংহের ভাষায়, ‘(গত নভেম্বরের) নিউজিল্যান্ড টেস্টের তুলনায় উইকেট কিছুটা ভিন্ন। নিউজিল্যান্ড টেস্টে এত ঘাস ছিল না। এই টেস্টে আছে। আবহাওয়ারও একটা ভূমিকা থাকবে। প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশনের এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে এই টেস্টের চ্যালেঞ্জটাকে বড় মনে হবে। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজও চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাদের ওদের হারাতে হলে সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত নভেম্বরের সেই স্মরণীয় টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দলে ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আঙুলে চোটে তিনি টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েছেন। ফর্মে থাকা মুশফিকের না থাকা নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও তারুণ্যে আস্থা রাখছেন হাথুরুসিংহে, ‘মুশির অভিজ্ঞতা আমরা মিস করব। এই ধরনের অভিজ্ঞতার বিকল্প খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। একই সঙ্গে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের সমর্থন দিতে হবে। হৃদয় দলে যোগ দিয়েছে। দুজন তরুণ ব্যাটসম্যান আছে দলে, দিপু এবং সাদমান। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য রোমাঞ্চকর সময়। আমি তাদের বলব, এই সুযোগগুলো যেন তারা দুহাতে লুফে নেয়।’