বিশ্বকাপে তামিমই অধিনায়ক, বললেন বোর্ড সভাপতি
হুট করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। পরের দিনই আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেই অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ঘোষণাও দিয়েছেন তামিম ইকবাল। আপাতত কাটাচ্ছেন দেড় মাসের ছুটি। পরিবার নিয়ে গেছেন দুবাই, সেখান থেকে চিকিৎসা করাতে যাবেন লন্ডনে।
তবে ফেরার পর আবার তামিমই ওয়ানডে দলের অধিনায়ক থাকবেন কি না, এ নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। দুবাই যাওয়ার আগে দেশের দুটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম নিজেও বলে গেছেন, দেশে ফিরে তিনি বোর্ডের সঙ্গে বসবেন। সেই বসার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
তবে তামিমই যে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক থাকছেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের। আজ বাংলাদেশ নারী দলের সঙ্গে টিম হোটেলে দেখা করতে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন নাজমুল।
তামিমের অধিনায়ক থাকা না থাকার প্রশ্নে তাঁর উত্তর, ‘আমি একটা সিম্পল জিনিস বলে দিই। বিশ্বকাপে আমাদের অধিনায়ক তামিম। এটা নিয়ে তো কোনো সন্দেহ নেই। তামিম যেহেতু দুইটা ম্যাচ খেলেনি, তখন লিটন অধিনায়ক ছিল। এখন যদি তামিম ফিরে আসে, তাহলে সেই অধিনায়ক হবে। ও না আসলে আরেকজন হবে। আমরা তো শিওর না, ও কোন ম্যাচটা খেলতে পারবে, কখন থেকে খেলতে পারবে।’
শুধু তামিমের অধিনায়কত্ব নয়, এসেছে তাঁর চোটের প্রসঙ্গও। দীর্ঘদিন ধরেই পিঠের চোটে ভুগছেন তামিম। আর চোটের সঙ্গে যেহেতু তাঁর খেলতে পারা না পারার ব্যাপারটা জড়িত, খুব স্বাভাবিকভাবেই সেটা নিয়ে আলোচনাও চলতে থাকে। দুবাই যাওয়ার আগে দুটি সংবাদমাধ্যম দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম তাঁর পুরোনো পিঠের চোট ফিরে আসার জন্য জাতীয় দলের ট্রেনার, ফিজিও ও মেডিকেল বিভাগের দিকে আঙুল তুলেছেন।
বোর্ড সভাপতি অবশ্য এ নিয়ে প্রথমে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। পরে বলেছেন, ‘এটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ, এই কথা কেন বলেছে, কোন পরিস্থিতিতে বলেছে, তা তো আমি জানি না। তার মানে যারা ওকে ব্যায়াম দিয়েছে, তারা কি ওর ক্ষতি চায়? আমি জানি না, এই কথা বলার অবজেক্টিভটা কী। দুই বছর ধরে তো ও যখন যা চাচ্ছে, চিকিৎসার জন্য দেশে-বিদেশে, যা যা বলেছে, আমরা সবই করছি। আমরা তো এর আগে শুনিনি ওর অন্য কিছু আছে।’
তবে তামিমকে সুস্থ করতে তুলতে বোর্ডের পক্ষ থেকে সব চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডপ্রধান, ‘এখন ও বলছে, একটা ডাক্তার দেখিয়েছে, সেই ডাক্তার বলেছে ইনজেকশন দিতে হবে অথবা সার্জারি করতে হবে। যেটা লাগবে, করব আমরা। মানে, আমরা এক পায়ে খাড়া। ওকে সুস্থ করার জন্য যা যা দরকার, আমরা করতে রাজি। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে এসেছে মাহমুদউল্লাহর প্রসঙ্গও। ওয়ানডে দলে কি তাঁকে আর দেখা যাবে? বোর্ডপ্রধান বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন এভাবে, ‘আমার জন্য বলা খুব কঠিন। এখন আমি বলতে পারব না। নির্বাচকদের সঙ্গে কথা না বলতে পারলে বলা কঠিন, সে কী অবস্থায় আছে।’
পরে অবশ্য যোগ করেছেন, ‘এই (আফগানিস্তান বিপক্ষে) সিরিজটা যদি খেলত, খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারতাম। ও যেহেতু ছিল না, সে জন্য সে আসবে নাকি আসবে না, এ নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা আমার নেই। পারফরম্যান্স না দেখে বলে দেওয়া যে ‘‘হ্যাঁ ও খেলবে’’, এটাও সম্ভব নয়। আমার পক্ষে বলাটা কঠিন।’