সমস্যাটা ধরতে পেরেছেন তাওহিদ

বাংলাদেশের ইনিংসে একমাত্র ফিফটি তাওহিদ হৃদয়েরপ্রথম আলো

তাওহিদ হৃদয় যেন কথাটা বলতে গিয়েও বলছিলেন না। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে তিনি একবার বললেন উইকেটের দুই রকম আচরণের কথা। আরেকবার প্রশংসায় ভাসালেন আফগানিস্তান দলের বোলারদের। তবে সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে এল আসল কারণটা।

কী করলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ—এমন প্রশ্নে হৃদয়ের উত্তর, ‘অবশ্যই আমরা এখান থেকে খুব ভালোভাবে ফিরে আসব। আমি মনে করি, আমরা যে ছোটখাটো ভুলগুলো করেছি, সেগুলো কমাতে পারলে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েও সিরিজ জেতা সম্ভব। আজকে আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি। দু-তিনজন অবদান রাখলেই এখান থেকে ফিরে আসব।’

আমাদের আজও মনে হচ্ছিল কেউ না কেউ খেলে দেবে। লোয়ার অর্ডার থেকে একটা ভালো জুটি হবে। সেটা আজ হয়নি।
তাওহিদ হৃদয়, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান

প্রথম ওয়ানডেতেও দলের প্রত্যাশা এটাই ছিল। ব্যাটিং অর্ডারের কেউ না কেউ তো বড় ইনিংস খেলবেনই। এই মাঠেই গত বছর ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়েও আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের সৌজন্যে ২১৫ রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। তাওহিদরা এবারও তেমন অবিশ্বাস্য কিছুরই অপেক্ষায় ছিলেন, ‘এর আগেও তো ওদের বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলেছি। তখন কেউ না কেউ খেলে দিয়েছিল। শেষ সিরিজে যেমন মিরাজ ভাই এবং আফিফ খেলেছিল। আমাদের আজও মনে হচ্ছিল কেউ না কেউ খেলে দেবে। লোয়ার অর্ডার থেকে একটা ভালো জুটি হবে। সেটা আজ হয়নি।’

তবে বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞতায় আস্থা রাখাই যায়। ভুলগুলো দ্রুত শুধরে নিতে কী করতে হবে, সেটা কারও অজানা থাকার কথা নয়। তাওহিদও বলেছেন, ‘এখানে সবাই পরিণত। জাতীয় দলে অনেকেই অনেক দিন ধরে সার্ভিস দিচ্ছে। সবাই অনেক অভিজ্ঞ। সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে এখান থেকে বেরিয়ে আসবে। আমরা ড্রেসিংরুমে কথা বলি, সবাই সবাইকে সমর্থন দিই। আমাদের বিশ্বাস, এই জায়গা থেকে ফিরে আসব।’

আরও পড়ুন
৬৯ বলে ৫১ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়
প্রথম আলো

উইকেটের প্রসঙ্গও এসেছে। এ নিয়ে তাওহিদের মন্তব্য, ‘উইকেট কঠিন ছিল না। কিন্তু শুরুর দিকে বল নিচু হয়ে আসায় সমস্যা হচ্ছিল। বাউন্স দুই রকম ছিল। আমরা যদি আরও ভালো করতাম, তাহলে খেলার চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত। সব মিলিয়ে আমাদের ব্যাটিং ভালো হয়নি।’

সেখানে অবশ্য ব্যতিক্রম তাওহিদের ব্যাটিং। বাকি ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতার ভিড়ে তাঁর ৬৯ বল ৫১ রানের ইনিংসটি ছিল চোখে পড়ার মতো। আফগান স্পিনারদের ভালো সামলেছেন বলেই ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবির দিনেও তাঁর নামটা অন্যভাবে উচ্চারিত হয়েছে। আফগান বোলারদের নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন তাওহিদ, ‘রশিদকে আজকেই প্রথম খেলেছি। মুজিবের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে খেলেছি। বিপিএলে একই দলে ছিলাম। নবী ভাইকে বিপিএলে খেলেছি। তারা বিশ্বের সেরা বোলিং দল। ওদের বিপক্ষে যদি ভালো করা যায়, তাহলে অন্য স্পিনারদের খেলা অনেক সহজ হবে। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা হচ্ছিল।’

আরও পড়ুন