বর্ষসেরা পুরস্কারে সাকিবের ছক্কা
২০০৬ সালে ছিলেন উদীয়মান, এর পর শুধু আলোই ছড়িয়ে চলেছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশকে সাফল্যের ভেলায় যেমন ভাসিয়েছেন, নিজেও পেয়েছেন অবদানের স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টির এক নাম্বার অলরাউন্ডারের অর্জনের মুকুটে যোগ হল আরেকটি পালক। আজ হাতে তুলেছেন ২০২১ সালের তীর–প্রথম আলো বর্ষসেরা ক্রীড়া পুরস্কার। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বর্ষসেরার পুরস্কার জিতলেন সাকিব।
পুরস্কারের জন্য বিবেচ্য বছরে ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে রান করেছেন ৭৭১, উইকেট পেয়েছেন ৪৭টি। এর মধ্যে ৯ ওয়ানডেতে ১৭ উইকেট, ১৮ টি–টোয়েন্টিতে ২৫ উইকেট। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট এবং টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও করেছেন ২০২১ সালেই।
এ বছর বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বেশি ছয়বার ম্যাচসেরা ও তিনবার সিরিজসেরা হয়েছেন তিনি। সিরিজসেরা হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে (১১৩ রান ও ৬ উইকেট, এক ম্যাচে ৮ রানে ৪ উইকেট), জিম্বাবুয়ে সফরে ওয়ানডে সিরিজে (১৪৫ রান, সর্বোচ্চ ৯৬* ও ৮ উইকেট, সেরা ৫/৩০) ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি–টোয়েন্টি সিরিজে (১১৪ রান ও ৭ উইকেট, সেরা ৪/৯)।
এর আগে ২০০৮,২০০৯, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৭ সালেও বর্ষসেরা হয়েছিলেন সাকিব। পাঁচ বছর পর আবার পুরস্কার হাতে নিয়ে হাসতে হাসতে বললেন, ২০১৯ সালেও পুরস্কারটি পাওয়ার আশা করেছিলেন তিনি, ‘আমি তো আশা করেছিলাম ২০১৯ সালেও পুরস্কারটা পাব। ওই বছর ভালো খেলেছিলাম। তবে এ বছর পাব বলে খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। বসে থাকার সময় সুমন ভাইকে (সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার) বলছিলাম এবার বোধহয় হবে না। সৌভাগ্যবশত পেয়ে গেলাম। ‘১৯ সালে পেয়ে গেলে তো সাতবার হয়ে যেত।’
সঞ্চালক উৎপল শুভ্র সাকিবকে জানান, করোনার কারণে ২০১৯ ও ২০২০ সালের প্রথম আলো বর্ষসেরা পুরস্কার দেওয়া সম্ভব হয়নি।
সাকিব পরে দর্শকদের ভোটে বর্ষসেরার পুরস্কারও জেতেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসানের কাছ থেকে পুরস্কার নিয়ে হাসতে হাসতে সাকিব বলেন, আমি আগেই বুঝে গিয়েছিলাম। দর্শক ভোট হলে আমাকে কেউ হারাতে পারবে না।’