রোহিতের জন্য বিস্ময় অপেক্ষা করছিল তাঁর বাড়িতেও
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরার দিনটি ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই কাটিয়েছেন। অবশ্যই আনন্দদায়ক ব্যস্ততা।
গত শনিবার বার্বাডোজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা জেতার পর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে দেশে ফিরতে ১০৫ ঘণ্টা দেরি হয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের।
গতকাল ভোরে দিল্লি পৌঁছে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরা, রবীন্দ্র জাদেজারা ছিলেন উৎসব-আনন্দের মাঝে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ, সেখান থেকে মুম্বাই উড়ে গিয়ে মেরিন ড্রাইভে ছাদ খোলা বাসে উঠে লাখ লাখ জনতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা। কী হয়নি তাঁদের!
কিন্তু রোহিত শর্মার জন্য আরও বড় আশ্চর্য অপেক্ষা করছিল। সেটি তিনি উপভোগ করলেন মুম্বাইয়ে নিজ বাড়িতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই।
বাড়ি ফিরতে ফিরতে বেশ রাতই হয়ে গিয়েছিল রোহিত শর্মার। হয়তো মনে মনে ভেবে রেখেছিলেন, বাড়ি ফিরে একটা ঘুম দেবেন আরাম করে। কিন্তু তাঁর ছোটবেলার বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে করে রেখেছিলেন অন্য পরিকল্পনা।
ভারতীয় ক্রিকেটার তিলক ভার্মার সঙ্গে রোহিতের বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। রোহিত গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাঁকে স্যালুট জানান। একই সঙ্গে বাড়ির মূল ফটকে লাইন করে দাঁড়িয়ে অন্য বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়জন তাঁকে স্যালুট জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। আত্মীয়স্বজন তাঁকে ঘাড়ে তুলেও নিয়েছেন। কাঁধে করেই রোহিতকে নিয়ে গেছেন বাড়ির ভেতরে।
সম্প্রতি ২০০৭ সালে ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতিচারণা করেছেন রোহিত। তিনি তখন ২০ বছর বয়সী উঠতি ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবে পথচলা শুরু করেছেন। সেটি ছিল তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ। তিনি সেবার দেখেছিলেন মুম্বাইয়ে কীভাবে হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিশ্বকাপ জিতে আসার পর খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়েছিল। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোনো সাফল্য কীভাবে ভারতের সাধারণ মানুষকে ছুঁয়ে যায়, সেটি নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা বলেছেন রোহিত।
এবারের ব্যাপারটি অনেকটাই অন্য রকম। তিনি এবার দলের সিনিয়র সদস্য, অধিনায়কও। ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম স্থায়ীভাবে খোদাই করে রাখলেন রোহিত—ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হিসেবে।