নিজের নামে ড্রেসিংরুমে ঢুকতে কেমন লাগে রাহুল দ্রাবিড়ের
ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে কাল নিউজিল্যান্ডকে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৯০ রানে হারিয়েছে ভারত। এই মাঠে এলেই হয়তো অন্য রকম এক অনুভূতি হয় ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের। কারণ আর কিছুই না, ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমটা যে তাঁরই নামে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে তাঁর শিষ্য শুভমান গিল কাল ম্যাচ শেষে সেই ‘অনুভূতির’ কথাই জানতে চেয়েছিলেন দ্রাবিড়ের কাছে। উত্তর দিতে গিয়ে রাহুল দ্রাবিড় কিছুটা বিব্রতই বোধ করলেন।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) টুইটারে গতকাল ম্যাচ শেষে কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও শুভমান গিলের আলাপচারিতার একটা ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য কোচের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন গিল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি দ্বিশতক হাঁকান, কাল করেছেন শতরান। সিরিজের সেরা খেলোয়াড় বাছতে খুব কষ্ট করতে হয়নি কাউকে। বিভিন্ন আলাপের ফাঁকে গিল দ্রাবিড়কে জিজ্ঞাসা করেন, নিজের নাম লেখা ড্রেসিংরুমে ঢোকার অনুভূতিটা কেমন! দ্রাবিড় উত্তরে তিনি বলেছেন, তিনি কৃতজ্ঞ, সেই সঙ্গে কিছুটা বিব্রতও।
ভারতের ক্রিকেট–ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান দ্রাবিড়। ব্যাকরণসিদ্ধ ব্যাটিং তাঁকে দিয়েছিল ‘দ্য ওয়াল’ তকমা। ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বও করেছেন। ১৬৪ টেস্ট খেলেছেন, করেছেন ১৩ হাজার ২৮৮ রান। ৩৩৪ ওয়ানডেতে রান ১০ হাজার ৮৮৯ রান। যেকোনো বিচারেই কিংবদন্তি। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমের নাম তাঁর নামে দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর অবদানের ছোট্ট একটা স্বীকৃতিই দেওয়া হয়েছে। তবে দ্রাবিড় নিজে মনে করেন, এট তাঁর প্রতি একধরনের ভালোবাসা, ‘দেখো, এমন কিছু তো দেখতে ভালো লাগেই। এত বছর ধরে মানুষের এত এত ভালোবাসা পেয়েছি দেখে আমি দারুণ কৃতজ্ঞ। ভারতে ক্রিকেটার হওয়াটা বিশাল একটা প্রাপ্তি। নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে হয় যে ক্রিকেটের কিছুটা প্রতিভা নিয়ে আমি জন্মেছিলাম বলেই খেলাটা খেলতে পেরেছি। সেই সঙ্গে দারুণ লাগে, যখন ভাবি, ক্রিকেটটা আমি দীর্ঘ দিন ধরেই খেলেছি। ড্রেসিংরুমে নিজের নাম দেখে সত্যি কথা বলতে কি, আমার একটু বিব্রতই লাগে। সেই সঙ্গে দারুণ কৃতজ্ঞও।’
কাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের দুই শতকে ৩৮৫ রানের পাহাড় গড়েছিল ভারত। রোহিত শতরান পেয়েছিলেন তিন বছর পর। জবাবে নিউজিল্যান্ড ২৯৫ রানের বেশি করতে পারেনি। ডেভন কনওয়ে শতরান করে লড়েছেন একাই।