বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ভেন্যু নিয়ে আইসিসির সতর্কতা
১০টি ম্যাচ শেষ হয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১১তম ম্যাচটিও শেষ হওয়ার পথে। এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ-অভিযান। সাকিব আল হাসান-নাজমুল হোসেনরা তাঁদের বিশ্বকাপ শুরু করবেন বাংলাদেশ সময় আগামী পরশু সকালে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি হবে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে। এ ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ শেষ হয়েছে এবং আজকের পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটি চলছে। বাংলাদেশের পরের ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, বাংলাদেশ সময় ১০ জুন রাত সাড়ে ৮টায়।
নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত হয়েছে দুটি ম্যাচ। দুটি ম্যাচেই উইকেটের আচরণ খুব একটা ভালো ছিল না, হয়েছে লো-স্কোরিং ম্যাচ। ৩ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা ১৯.১ ওভারে অলআউট হয়েছে ৭৭ রানে। ৬ উইকেটে জয়ের পথে এই রান তুলতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলতে হয়েছে ১৬.২ ওভার।
এরপর থেকেই শুরু হয় নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে সমালোচনা। এর মধ্যেই গতকাল ভারত-আয়ারল্যান্ড ম্যাচেও ঘটে একই ঘটনা। ১৬ ওভারে ৯৬ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। এই রান ভারত তুলেছে ১২.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে। উইকেটের অসম বাউন্সে চোট পেয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা
এ ঘটনার পর নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে সংবাদবিজ্ঞপ্তি দিতে বাধ্য হয়েছে আইসিসি। আজ সেই সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আইসিসি বুঝতে পেরেছে আমরা সবাই যেরকম আশা করেছিলাম, নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটগুলো সেরকম আচরণ করেনি।’
সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এরপর তারা যোগ করে, ‘গতকালের ম্যাচের পর থেকে বিশ্বমানের মাঠকর্মীরা কঠিন পরিশ্রম করে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে, (এ ভেন্যুতে) পরের ম্যাচগুলোর জন্য যাতে সম্ভাব্য সেরা উইকেট দেওয়া যায়।
যদি সেটা সম্ভব না হয়, তখন কী হবে, তা অবশ্য বলেনি আইসিসি।