বাবরদের খামখেয়ালি ব্যাটিংয়ের যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না রমিজ
২ উইকেটে ১৫৫ থেকে ১৯১ রানে অলআউট—মাত্র ৩৬ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছে বাবর আজমের দল। বিশ্বকাপে আর কখনোই এত কম রানে এত বেশি উইকেট হারায়নি পাকিস্তান। আর এই বাজে ব্যাটিং-বিপর্যয় হয়েছে এমন ম্যাচে, যেটি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বলে বিবেচিত।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের এই ব্যাটিং-বিপর্যয়ের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না রমিজ রাজা। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটারের কাছে বাবরদের ব্যাটিংকে মনে হয়েছে খামখেয়ালি (কেয়ারলেস)। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটে এমন কিছুই ছিল না যার কারণে এমন বাজেভাবে গুটিয়ে যেতে হবে।
বাবরের আউট পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ভালোই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে অধিনায়কের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ৫০ পেরিয়ে দলকে আশা দেখাচ্ছিল বড়সড় দলগত সংগ্রহের। কিন্তু মোহাম্মদ সিরাজের ক্রস সিমের লেংথ বলে থার্ডম্যানে অতি-আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন বাবর। যেভাবে চেয়েছিলেন, বল ততটা ওঠেনি। বোল্ড হন ৫০ রানে।
অধিনায়কের এই আউটে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের বাঁধ যেন হুড়মুড় করে ভেঙে যেতে থাকে। কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লু হন সৌদ শাকিল। একই ওভারে সুইপ করতে গিয়ে বল স্টাম্পে ডেকে নিয়ে বোল্ড ইফতিখার আহমেদ। পরের ওভারে যশপ্রীত বুমরার ভেতরের দিকে ঢোকা বল রিজওয়ানের ব্যাট ও প্যাডের বড় গ্যাপ দিয়ে ঢুকে স্টাম্প ভাঙে। প্রায় একইভাবে আউট হন শাদাব খানও।
এরপর উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে মোহাম্মদ নেওয়াজ আর হাসান আলীরা আউট হলে ২০০–এর আগেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল লাইভে রমিজ রাজা লিখেছেন, ‘এই ব্যাটিংয়ের কোনো যুক্তি হয় না। কারণ, এটা স্রেফ খামখেয়ালি ব্যাটিং, কারণ ছাড়া ব্যাটিং। কোনো মনোযোগ ছিল না।’ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের পিচ এত কম রানে অলআউট হওয়ার মতো নয় উল্লেখ করে রমিজ লিখেছেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য এটা ভালো উইকেট। এখানে ১৯১ রানে অলআউট এবং ৩৬ রানে আউট হয়ে যেতে পারে খুব কম দল। পাকিস্তানকে এখানে নিজেদেরই দুষতে হবে।’
শেষ দিকে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের এলোপাতাড়ি খেলার চেষ্টাকে এক শব্দে ‘পাগলামি’ বলেও উল্লেখ করেন রমিজ।