পন্তের মানসিক আঘাত সারাতে যা চান ভারতের অলিম্পিকজয়ী

ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্তছবি: এএফপি

শুক্রবার এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত। মহাসড়কের সিসিক্যামেরার ফুটেজে দুর্ঘটনাটির যে ভিডিও দেখা গেছে, তাতে পন্তের বেঁচে থাকাটাই বড় ব্যাপার। গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিল, কোনোমতে জানালার কাচ ভেঙে বের করা হয় পন্তকে।

বিপদমুক্ত হলেও মারাত্মক এই দুর্ঘটনার মানসিক ট্রমা খুবই বাজে ধরনের। আর সেটি থেকে বের হয়ে আসতে অনেক দিনই লেগে যাওয়ার কথা ভারতের অন্যতম সম্ভাবনাময় এই তারকার। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে ভারতের হয়ে প্রথম ব্যক্তিগত সোনার পদক জেতা শুটার অভিনব বিন্দ্রা মনে করেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরই (বিসিসিআই) উচিত এই মানসিক ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে পন্তকে সহায়তা দেওয়া।

আরও পড়ুন

বিসিসিআই বুধবার জানিয়েছেন, পন্তের শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত লিগামেন্ট ঠিক করতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। সেটি শিগগিরই করা হবে। তিনি যে অনির্ধারিত সময়ের জন্য ক্রিকেট থেকে দূরে সরে গেছেন, সেটি না বললেও চলছে। কাল তাঁকে এই অস্ত্রোপচারের জন্য দেরাদুন হাসপাতাল থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে মুম্বাইতে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

পন্তকে শারীরিক চোট থেকে বের করে নিয়ে আসতে বিসিসিআই পূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে, অভিনব বিন্দ্রা প্রশংসা করেছেন পুরো প্রক্রিয়াটির। তবে তিনি শারীরিক চোটের পাশাপাশি মানসিক দিকটিতেও জোর দিতে চান। আর সেটি বিসিসিআই খুব কার্যকরভাবে করতে পারে বলে অভিমত বিন্দ্রার।

ঋষভ পন্ত
ছবি: এএফপি

২০০৮ অলিম্পিকের শুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে ব্যক্তিগত সোনার পদক জিতেছিলেন বিন্দ্রা। সেটি ছিল অলিম্পিকে ভারতের প্রথম ব্যক্তিগত সোনার পদক। শুটিং থেকে অবসর নিয়ে বিন্দ্রা এখন ভুবনেশ্বরে নিজের নামে একটি স্পোর্টস মেডিসিনের ওপর গবেষণাকেন্দ্র দিয়েছেন। ‘অভিনব বিন্দ্রা স্পোর্টস মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ নামের এই প্রতিষ্ঠানে সর্বাধুনিক বায়োমেকানিক ও ফিজিওথেরাপি ল্যাবরেটরি আছে।

পিটিআইয়ের এক খবরে বলা হয়েছে, ভারতের বিখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন দিনশ পার্দিওয়ালা পন্তের চিকিৎসা করছেন। বিসিসিআই জানিয়েছে, ঋষভ পন্তের চিকিৎসা ও সুস্থ হয়ে ওঠা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটির দেখভাল করবে তারা।

শুক্রবার খুব ভোরে দিল্লি থেকে গাড়ি চালিয়ে নিজের শহর রুয়ার্কিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন পন্ত। গাড়ি চালানোর সময় তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় গাড়িটি রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে পন্তের কপাল কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক চোট লাগে। তাঁর হাঁটু ও গোঁড়ালির লিগামেন্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।