২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

আকরামের স্বপ্নের ভারত-পাকিস্তান ওয়ানডে একাদশে যাঁরা

পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামছবি : আইসিসি

৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ লড়াই ওয়ানডে বিশ্বকাপ। গতবারের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হলেও রোমাঞ্চের অনেকটা জুড়ে থাকবে ১৪ অক্টোবরের ম্যাচের দিকে। আহমেদাবাদে সেদিন মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ভারত-পাকিস্তান। আর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই তো রোমাঞ্চ ও উত্তেজনা।

ম্যাচ মাঠে গড়াতে এখনো কিছুদিন বাকি থাকলেও আলোচনা কিন্তু থেমে নেই। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে কথার লড়াইও। কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম অবশ্য একটু অন্যভাবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনায় শামিল হলেন। তিনি ভারত-পাকিস্তান মিলিয়ে সর্বকালের সেরা ওয়ানডে একাদশটাই দিয়ে দিলেন। এই একাদশে ইতিহাসের অন্যতম সফল পেসার আকরাম অবশ্য নিজেকে রাখেননি।

আরও পড়ুন

‘সুলতান অব সুইং’ খ্যাত আকরাম নিজের পছন্দের একাদশে ওপেনার হিসেবে রেখেছেন সাঈদ আনোয়ার ও বীরেন্দর শেবাগকে। ১৯৯০ দশকে স্টাইলিস্ট ওপেনার হিসেবে পাকিস্তানের আনোয়ারের খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া। সে সময় সেঞ্চুরির দিক থেকে শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গেও পাল্লা দিয়েছেন এ বাঁহাতি। নিজের দিনে একাই শেষ করে দিতে পারতেন যেকোনো বিশ্বসেরা বোলিং লাইনআপকে।

ভারতের বিরুদ্ধেই চেন্নাইয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে খেলেছিলেন সে সময়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৯৪ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। আনোয়ারের সঙ্গে আকরাম অন্য ওপেনার হিসেবে রেখেছেন আগ্রাসী শেবাগকে। ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ে ঝড় তুলতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন শেবাগ। ওপেনিংয়ে আনোয়ার-শেবাগ জুটি যেকোনো বোলারের শিরদাঁড়ায় বয়ে দিতে পারে আতঙ্ক, সেটি না বললেও চলছে।

পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার সাঈদ আনোয়ার
ছবি: টুইটার

আনোয়ার-শেবাগের কাছ থেকে ছাড় পেলে তিন নম্বরে মুখোমুখি হতে হবে আরও বড় আতঙ্কের। আকরাম তিনে রেখেছেন লিটল মাস্টার টেন্ডুলকারকে। অনেকের চোখে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান শচীন ৪৬৩ ওয়ানডেতে ৪৪.৮০ গড়ে করেছেন ১৮ হাজার ৪২৬ রান। যেখানে ৪৯টি সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৯৬টি ফিফটি।

চার নম্বরে আকরাম রাখেন পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘বড়ে মিঁয়া’ খ্যাত জাভেদ মিঁয়াদাদকে। পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাঁকে। অস্ট্রেলএশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েও অমর হয়ে আছেন মিঁয়াদাদ। সঙ্গে স্লেজিংয়েও প্রতিপক্ষকে অস্বস্তিতে ফেলতেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।

আরও পড়ুন

মিঁয়াদাদের পর ৫ নম্বরে আকরামের পছন্দ এ যুগের কিংবদন্তি বিরাট কোহলিকে। এ সময়ের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান মাঝের কিছু সময় বাদ দিলে অনেক দিন থেকেই রানমেশিন। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা দলের সদস্য খেলবেন এবারও। অলরাউন্ডার হিসেবে আকরাম রেখেছেন নিজের সাবেক অধিনায়ক এবং কিংবদন্তি ইমরান খানকে।

ইমরানকে ছাড়া আকরাম কোনো দল করবেন, সেটি অবশ্য ভাবাও যায় না। ইমরানের নেতৃত্বেই ১৯৯২ সালের সবাইকে চমকে দিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। সাত নম্বরেও আকরাম রেখেছেন আরেক বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার কপিল দেবকে। আশির দশকে একে অপরের সঙ্গে লড়তেন ইমরান-কপিল। নিজের একাদশে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড অবশ্য ইমরানকে দিয়েছেন আকরাম।

শচীন টেন্ডুলকার
ছবি: রয়টার্স

উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে আকরামের পছন্দ আরেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক—ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর নেতৃত্বে ২০১১ বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছিল ভারত। অনেকের কাছে ধোনি ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। আকরামের স্বপ্নের দলে একমাত্র স্পিনার সাকলায়েন মুশতাক। নিজের সময়ের অন্যতম সেরা স্পিনার ছিলেন ‘দুসরা’র জনক সাকলায়েন। আকরামের একাদশে পেস জুটি হিসেবে আছেন যশপ্রীত বুমরা ও ওয়াকার ইউনিস। বুমরা বর্তমান সময়ের বিধ্বংসী ফাস্ট বোলারদের একজন। আর ওয়াকার ছিলেন তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা। আকরামের সঙ্গে তাঁর বোলিং জুটি ছিল পরিচিত ছিল ‘টু ডব্লিউস’ নামে।

আকরামের ভারত ও পাকিস্তানের সম্মিলিত একাদশ

সাঈদ আনোয়ার, বীরেন্দর শেবাগ, শচীন টেন্ডুলকার, জাভেদ মিঁয়াদাদ, বিরাট কোহলি, ইমরান খান (অধিনায়ক), কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, সাকলায়েন মুশতাক, যশপ্রীত বুমরা, ওয়াকার ইউনিস।