অভিষেকের ১২ বলের ইনিংসের কাছেই হারল চেন্নাই
উইকেট ছিল ধীরগতির। বল ঠিকভাবে ব্যাটে আসছিল না। এমন উইকেট আগে ব্যাট করে চেন্নাই সুপার কিংস তুলেছিল ১৬৫ রান। অনেক সময় এই ধরনের উইকেটে এই রান যথেষ্ট হয়ে যায়। তবে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ১৬৬ রানের জবাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যেভাবে শুরু করেছে, তাতেই মূলত খেলা শেষ হয়ে যায়।
হায়দরাবাদের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও ট্রাভিস হেড ১৬ বলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৪৬ রান। পাওয়ারপ্লেতে হায়দরাবাদ রান তোলে ৭৮। শেষদিকে চেন্নাই বোলাররা ভালো করলেও হায়দরাবাদ ৬ উইকেটের সহজ জয় পায়। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে হারল চেন্নাই।
৪ ম্যাচে তাদের জয় দুটিতে। হায়দরাবাদও ৪ ম্যাচে জিতেছে দুটিতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় আসায় এই ম্যাচে খেলতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। চোটের কারণে ছিলেন না মাতিশা পাতিরানাও।
ব্যাট হাতে হায়দরাবাদের এমন দুর্দান্ত শুরুর কৃতিত্বটা অভিষেকের। হায়দরাবাদের এই ওপেনার ১২ বলে খেলেছেন ৩৭ রানের ইনিংস। ১২ বলের মধ্যে ৪টি ছক্কা ও ৩টি চার মারেন অভিষেক। এরপর ২৪ বলে ৩১ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার হেড। তিনে নেমে ফিফটি করেন এইডেন মার্করাম। এরপরও স্পিনারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চেন্নাই হায়দরাবাদের রানের চাকা আটকে ধরেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা জিততে পারেনি। হায়দরাবাদ ম্যাচ জেতে ১১ বল হাতে রেখে।
এর আগে চেন্নাইয়ের শিবম দুবে ছাড়া কেউই খুনে মেজাজে ব্যাটিং করতে পারেননি। পাওয়ারপ্লেতে চেন্নাই ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৪৮ রান। তবে দুবের ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে রানের গতি বাড়ে চেন্নাইয়ের। তবে ডেথ ওভারে চেন্নাইয়ের কেউ ঝোড়ো ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষ ৫ ওভারে চেন্নাই রান তোলে মাত্র ৩৮।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (দুবে ৪৫, রাহানে ৩৫, জাদেজা ৩১; ভুবনেশ্বর ১/২৮, কামিন্স ১/২৯)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৮.১ ওভারে ১৬৬/৪ (মার্করাম ৫০, অভিষেক ৩৭, হেড ৩১; মঈন ২/২৩, থিকশানা ১/২৭)
ফল: হায়দরাবাদ ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: অভিষেক শর্মা