টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে সেশেলসের বিপক্ষে নতুন রেকর্ড জিম্বাবুয়ের
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। লক্ষ্য এখন ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই লক্ষ্যে তারা এখন আফ্রিকার উপ–আঞ্চলিক বাছাইপর্বে খেলছে। সেখানে কাল জিম্বাবুয়ে খেলেছে সেশেলসের বিপক্ষে। নাইরোবিতে হওয়া ম্যাচে নতুন এক রেকর্ডও গড়েছে দলটি।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সেশেলসের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে করেছে ৫ উইকেটে ২৮৬ রান। ২০ ওভারে ২৮৬ রান তুললেও জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যানই তিন অঙ্কে যেতে পারেননি। ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেছেন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট।
আরেক ওপেনার তাদিওয়ানাশি মারুমানি করেন ৩৭ বলে ৮৬ রান। অধিনায়ক সিকান্দার রাজা করেছেন ১৩ বলে ৩৬। কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ২৬০ রান করেছিল তারা।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও সেঞ্চুরি ছাড়া দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর জিম্বাবুয়ের ১৮৬ রান। এই তালিকায় থাকা পরের দুটি ম্যাচ হয়েছে গত বছরের আইপিএলে। সেঞ্চুরি ছাড়াই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তুলেছিল। কলকাতা নাইট রাইডার্স ৭ উইকেটে ২৭২ করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে।
জিম্বাবুয়ের ২৮৬ রান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সর্বোচ্চ স্কোর নেপালের, মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩১৪ রান করেছিল তারা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ ভারতের। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান করে ভারত।
সেশেলসের বিপক্ষে এত রান করেও খুব বড় জয় পায়নি জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ–লুইস পদ্ধতিতে জিতেছে ৭৬ রানে।
জয়ে শুরু হয়েছে বাছাইপর্ব। তবে আফ্রিকার উপ–আঞ্চলিক বাছাইপর্ব খেলতে হওয়ায় খুব খুশি থাকার কথা নয় জিম্বাবুয়ের। কারণ, জিম্বাবুয়েই এখন একমাত্র পূর্ণ সদস্য দল, যারা বিশ্বকাপে খেলার জন্য দ্বিতীয় বা এর চেয়ে নিজের কোনো বিভাগের বাছাইপর্বে খেলছে। এই উপ–আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট থেকে দুটি দল পরের রাউন্ডে যাবে। সেখানে তাদের আরও একটি বাছাইপর্ব খেলতে হবে। সেই পর্ব থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলবে দুটি দল।