শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট জয়াসুরিয়ার কাছে ‘মিস্টার বিন’
প্রবল গণ–আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। কলম্বোয় তাঁর প্রাসাদ এখন সাধারণ লঙ্কানদের দখলে। পদত্যাগ করতে চাওয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এখন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট। আজ তাঁর নেতৃত্বেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাপারটি ভালো লাগেনি সনাৎ জয়াসুরিয়ার। শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মনে করেন ব্যাপারটি পর্দার বিখ্যাত কমেডি চরিত্র ‘মিস্টার বিন’-এর ক্রিকেট খেলার মতো!
অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার গণ–আন্দোলনে দারুণ উচ্চকিত দেশটির তারকা ক্রিকেটাররা। কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে থেকে শুরু করে অনেকেই আন্দোলনের সমর্থক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিকেটাররা প্রায়ই আন্দোলনকে সমর্থন করে পোস্ট দিচ্ছেন। জয়াসুরিয়া তো গোতাবায়ার প্রাসাদ বিক্ষোভকারীদের দখলে যাওয়ার দিন সেখানে উপস্থিত হয়েই আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন।
প্রথম দিনই তিনি টুইট করে গোতাবায়ার পতনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। রনিল বিক্রমাসিংহের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দিনে ’৯৬ বিশ্বকাপজয়ী তারকার টুইট, ‘একবার ভাবুন তো মিস্টার বিনকে একটা ক্রিকেট দলে ঢোকানো হয়েছে। অথচ নির্বাচকেরা “সে ক্রিকেট খেলতে পারে না” বলে তার অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করছেন। শুধু তা–ই নয়, আম্পায়াররাও তাকে খেলার অযোগ্য ঘোষণা করার পর সে ক্রিজ ছাড়তে অস্বীকার করছে।’
তিনি বিক্রমাসিংহেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, ‘দয়া করে আর খেলবেন না। ক্রিকেটে শেষ ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। মানসম্মান নিয়ে বিদায় নিন।’
বিখ্যাত ব্রিটিশ অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসনের কিংবদন্তিতুল্য এই কৌতুক চরিত্র ‘মিস্টার বিন’। নানা রকম অদ্ভুতুড়ে ঘটনা ঘটিয়ে যিনি পর্দায় মানুষকে হাসান। জয়াসুরিয়া এর আগেও শ্রীলঙ্কান ক্ষমতাসীনদের ‘মিস্টার বিন’–এর সঙ্গে তুলনা করে টুইট করেছিলেন।
জয়াসুরিয়া এর আগে টুইটারে লিখেছিলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ। মিস্টার প্রেসিডেন্ট ও মিস্টার প্রধানমন্ত্রী, আপনারা কী বোঝেন না, তারা আপনাদের চলে যেতে বলছে? এটা মিস্টার বিনের সিনেমা নয়, এটা বাস্তব জীবন। মানুষের জীবন নিয়ে খেলছেন আপনারা।’