সিলেটের ভাগ্য বদলানোর আশা মাশরাফির
বিপিএলের সঙ্গে সিলেটের সম্পর্কটা অন্য রকম। ঘন ঘন মালিকানা বদল ফ্র্যাঞ্চাইজিটির জন্য নিয়মিত ঘটনা। সিলেট রয়্যালস, সিলেট সুপারস্টারস, সিলেট সিক্সার্স, সিলেট থান্ডার, সিলেট সানরাইজার্স—২০১২ সাল থেকেই বিপিএলে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এসেছে বহু নামে। কিন্তু পারফরম্যান্সে কোনো উন্নতি হয়নি সিলেটের। আটটি আসরে একবারই সেরা চারে খেলেছে সিলেট।
এবার সিলেটের ব্যর্থ অতীত মুছে দিতে বিপিএলের সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে দল সাজাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নতুন নাম, নতুন মালিকানায় নতুন আশা তাদের অনুপ্রেরণা। এবারের বিপিএলে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজিটির নাম ‘সিলেট স্ট্রাইকার্স’। দলটির মালিকানায় থাকছে ‘ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড’। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সিলেট স্ট্রাইকার্স দলের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়ে গেল।
সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিলেটের ভাগ্যবদলের প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেছেন, ‘আমি শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব। সিলেট কখনো চ্যাম্পিয়ন হয়নি বা ভালো করতে পারেনি...এ জন্য আমি টিম ম্যানেজমেন্টটা শক্ত করতে বলেছি শুরু থেকেই। যতটুকু করা সম্ভব তা করা হয়েছে। এ ছাড়া নিলামের (ড্রাফট) ওপরেও নির্ভর করে। সেখান থেকে খেলোয়াড় কারা আসবে, সেটাও দেখতে হবে। মাঠের ভেতরে শৃঙ্খলা কেমন, তা–ও গুরুত্বপূর্ণ। কেমন খেলব তখন বোঝা যাবে। তবে আমরা আশাবাদী।’
সিলেটের ম্যানেজমেন্টের নামগুলোও পরিচিত। দলটির ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করবেন নাফিস ইকবাল। সহকারী কোচ ও ব্যাটিং কোচ রাজিন সালেহ, সহকারী কোচ নাজমুল ইসলাম, ফাস্ট বোলিং কোচ সৈয়দ রাসেল, স্পিন বোলিং কোচ মুরাদ খান ও ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে থাকবেন ডলার মাহমুদ ও রাসেল আহমেদ। শুভেচ্ছাদূত হাসিবুল হোসেন।
দলটির প্রধান কোচ হিসেবে ভারতীয় ওয়াসিম জাফরের নাম শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে থাকা ওয়াসিমকে বিপিএলে কাজ করতে হলে বিসিবির অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। সিলেট ও ওয়াসিম এখন সে অপেক্ষায়।
এর মধ্যে সিলেট চারজন বিদেশি ক্রিকেটার নিশ্চিত করেছে। আজ লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানেই মোহাম্মদ আমির, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, কামিন্দু মেন্ডিস ও থিসারা পেরেরাকে দলে নেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করে সিলেট। চারজনকেই পুরো বিপিএলে পাওয়ার আশা সিলেটের।
তবে এবারের বিপিএলের অন্য দলগুলোর মতো বিদেশি ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর চ্যালেঞ্জটা নিতে হচ্ছে সিলেটকেও। বিপিএলের সময় অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ২০ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএলটি-২০ টুর্নামেন্ট বিপিএলের সময় অনুষ্ঠিত হবে।যে কারণে টি-টোয়েন্টির বড় তারকাদের পাচ্ছে না বিপিএল।
এ ব্যাপারে আজ মাশরাফি বলেছেন, ‘যেহেতু একই সময়ে বেশ কয়েকটি লিগ চলবে, সে কারণে বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে সমস্যা আছে। বাজেটেরও বিষয় থাকে এসব টুর্নামেন্টে। তবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে যদি মিলিয়ে দেখেন, আমাদের সবাই কিন্তু পারফরমার। আমি আশা করছি ওরা এসে ভালো করবে।’
তবে বিদেশি ক্রিকেটারের চেয়ে দেশি ক্রিকেটারদেরই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি, ‘এই টুর্নামেন্টে কিন্তু বিদেশি খেলোয়াড়দের চেয়ে দেশি খেলোয়াড়দের গুরুত্বই বেশি। কারণ, দেশিই খেলবে ৭ জন। তাই নিলামে (ড্রাফট) আমরা যদি মোটামুটি অবস্থানে থাকতে পারি, তাহলে খারাপ হবে না। কারণ, আমাদের চারজন বিদেশিই বোলিং পারে। তার তিনজনই আবার ব্যাটার। তাই সমন্বয় করতে কিছুটা সহজ হবে।’