বেন স্টোকসের আবেগঘন বিদায় হার দিয়েই
ক্রিকেট দুনিয়াকে হতভম্ব করে দিয়েই ওয়ানডে থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন বেন স্টোকস। এর ঠিক এক দিন পরই ডারহামের নিজ শহরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হার দিয়েই শেষ হলো তাঁর। ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ৬২ রানে। প্রথমে ব্যাটিং করে রাইলি ফন ডার ডুসেনের ১৩৪, ইয়ানেমান মালানের ৫৭ আর এইডেন মার্করামের ৭৭ রানে ভর করে প্রোটিয়ারা ৩৩৩ রানের পাহাড় গড়ে। জবাবে ইংল্যান্ড ২৭১ রানের বেশি করতে পারেনি। জেসন রয় ৪৩, জনি বেয়ারস্টো ৬৩ আর জো রুট ৮৬ করলেও স্টোকস ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। অধিনায়ক জস বাটলারও ছিলেন ব্যর্থ।
স্টোকসের জন্য ম্যাচটি ছিল আবেগঘন। ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের শিরোপাজয়ের অন্যতম নায়ক বর্তমানের ঠাসা আন্তর্জাতিক সূচির বলি। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, বর্তমান সূচিতে তাঁর পক্ষে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই সমানভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। নিজের সিদ্ধান্তেই ওয়ানডেকে বিদায় বলেছেন তাই। কাল ডারহামের চেস্টার লি স্ট্রিটে তাই স্টোকসের জন্য বিদায় সম্ভাষণ ছিল যথেষ্টই। মাঠে নামার সময় তিনিই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সবার সামনে থেকে, মাঠ ছাড়ার সময়ই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন দাঁড়ানো সম্ভাষণ।
খেলা শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে স্টোকসকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানান জস বাটলার। এর আগে ওয়ানডে থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণায় স্টোকস বলেছিলেন সিদ্ধান্তটা তাঁর জন্য কতটা কঠিন ছিল, ‘বিদায়ের সিদ্ধান্তটা নেওয়া খুবই কঠিন। আমি ইংল্যান্ড দলে আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। দুর্দান্ত ছিল এই পথচলা।’
এরপরই স্টোকস নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যাটা দিয়েছেন, ‘আমি ইংল্যান্ডের হয়ে তিন সংস্করণেই নিজের শতভাগ উজাড় করে দিয়েছি। আমার মনে হয় না ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের জার্সি এর চেয়ে কম কিছু প্রাপ্য। তবে এখন তিন সংস্করণেই খেলা চালিয়ে যাওয়াটা আমার জন্য অসহনীয় ব্যাপার হয়ে গেছে। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমার শরীর এটা সহ্য করতে পারছে না, আমি এভাবে খেলে গেলে ওয়ানডে অধিনায়ক জস বাটলার আরও একজন খেলোয়াড়ের সেবা থেকে বঞ্চিত হবে, যে আমার চেয়ে অনেক বেশি দিতে পারবে।’