২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মেসির ১৭ হাজার টাকার জার্সি পেতে অপেক্ষা করতে হবে অক্টোবর পর্যন্ত

মেসির জার্সি কেনার ধুমছবি: রয়টার্স

লিওনেল মেসি-ঝড়ে প্রতিমুহূর্তে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের খেলার জগৎ। মেসির যুক্তরাষ্ট্রে আসার ঘোষণা দিয়েই শুরু হয়েছিল সেই ঝড়ে। তবে নিজের প্রথম দুই ম্যাচে ৩ গোল করার পর আক্ষরিক অর্থেই সে ঝড় যেন টর্নেডোতে রূপ নিয়েছে। মেসি-ঝড়ে ওলটপালট হয়ে যাওয়া পরিস্থিতি বুঝতে তাকানো যেতে পারে ইন্টার মায়ামির জার্সি বিক্রির দিকে।

সম্ভবত এ মুহূর্তে সবচেয়ে কঠিন বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে মেসির ইন্টার মায়ামির আসল (অথেনটিক ভার্সন) জার্সি হাতে পাওয়া। জানা গেছে, ইন্টার মায়ামির ‘দ্য হার্টবিট কিট’ নামে পরিচিত হোম জার্সি বাজারে আসার পর মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন

একাধিক প্রতিবেদন বলছে, মেসির কারণে ইন্টার মায়ামির জার্সি বিক্রি বেড়েছে ২৫ গুণ। এ মুহূর্তে দলের অনলাইন শপে মেসির আসল জার্সিগুলো অগ্রিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ হাজার টাকায়)। তবে এই জার্সি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

চাহিদার সঙ্গে জার্সির জোগান দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের। সাধারণত জার্সি অর্ডারের পর সেটি বাজারে আনতে ছয় মাসের মতো সময় লাগে। অ্যাডিডাস চেষ্টা করছে যত দ্রুত সম্ভব জার্সি বাজারে আনার, এরপরও এটি অক্টোবরের আগে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে তারা। এর আগে গত জুনে মেসি ইন্টার মায়ামিতে আসার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির জার্সি বিক্রি ধুম পড়ে। সে সময় ইন্টার মায়ামির ছয় মাসের জার্সি বিক্রি হয়ে গিয়েছিল এক দিনে।

গোলাপি জার্সিতে মাঠ মাতাচ্ছেন মেসি
ছবি: রয়টার্স

মেসির কারণে জার্সি জোগান দিতে অ্যাডিডাসের সমস্যায় পড়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর তিন তারকার জার্সি সরবরাহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিল জার্মান ব্র্যান্ডটি।

অ্যাডিডাস সম্প্রতি এমএলএসের সব কটি দলের সঙ্গে ১০ বছরের জন্য ৮৩০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সম্পন্ন করেছে। ঊর্ধ্বগতিতে ইন্টার মায়ামির জার্সি বিক্রি নিয়ে স্পোর্টস এনডেয়াভার্সের বিপণন কর্মকর্তা বিলি লালোর ফক্স স্পোর্টসকে জানিয়েছেন, ‘ক্লাবটির জার্সি বিক্রি এখন ২৫ গুণ বেড়েছে। আর মেসির ১০ নম্বর জার্সির সব কটি মুহূর্তের মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন

এ মুহূর্তে অ্যাডিডাসের লক্ষ্য হচ্ছে চাহিদা অনুযায়ী সব সমর্থককে জার্সি সরবরাহ করা। যে কারণে এখন তারা পূর্ণ উদ্যমে জার্সি তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। অ্যাডিডাসের পরিচালক টর সাউথার্ড কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, ‘এই ব্র্যান্ডটির সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। আমি আমাদের ব্র্যান্ডকে কখনোই পণ্য বাজারে আনার জন্য এতটা মরিয়া হয়ে কাজ করতে দেখিনি। আমার লক্ষ্য খুব সরল: সব ভক্ত যাঁরা জার্সি কিনতে চান, তাঁরা যেন অন্তত একটি জার্সি পান।’ তবে এই কাজ করতে গিয়ে ব্র্যান্ডটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে বলেও জানান সাউথার্ড।

আরও পড়ুন