- স্বাগতম!
- টস
- নাজমুলের জায়গায় লিটন
- আজও ওপেনিংয়ে মিরাজ?
- পাকিস্তান একাদশ (আগেই ঘোষিত)
- মিরাজ নাকি লিটন, আপনার মত কার পক্ষে?
- হিথ স্ট্রিকের জন্য নীরবতা
- মিরাজই ওপেনিংয়ে
- ওপেনার মিরাজের এবার ‘গোল্ডেন ডাক’
- ৬ বলে ৩ চার
- নাসিমের ওভারে তিন চার
- মিরাজের প্রথম
- ভালো শুরুর পর থামলেন লিটন
- উঠে গেলেন নাসিম
- এবার গেলেন নাঈমও
- লিটনের আরেকটি আক্ষেপভরা ইনিংস
- রউফের গোলায় পরাস্ত হৃদয়
- ৪৯/৪, ১০ ওভার
- আক্রমণে শাদাব
- ফিরেছেন নাসিম
- বাঁচলেন সাকিব
- সাকিব-মুশফিকের জুটিতে ৫০, বাংলাদেশের ১০০
- ২ ওভারে ৩ চার
- সাকিবের ফিফটি
- ফিফটির পরই থামলেন সাকিব
- মুশফিকের ফিফটি
- আফ্রিদিদের ফেরাবেন বাবর?
- আফ্রিদিকে শামীমের ছক্কা
- উইকেট ছুড়ে এলেন শামীম
- রউফকে মারতে গিয়ে আউট মুশফিক
- দুইয়ে দুই রউফের
- ১৯৩ রানেই শেষ বাংলাদেশ
- রেকর্ডও পক্ষে নেই
- প্রথম ৩ ওভারে ১১
- কে সবচেয়ে বেশি হতাশ করলেন?
- সুযোগ হাতছাড়া
- ফ্লাডলাইট বন্ধ, খেলা বন্ধ
- আবার শুরু খেলা
- র্যাঙ্কিং আপডেট
- তাসকিনের ওভার তিন চার ইমামের
- তাসকিনের জায়গায় হাসান
- ফখরকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু শরীফুলের
- ক্রিজে বাবর আজম
- রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
- আবার রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
- তাসকিনের বলে বোল্ড বাবর
- ডিআরএস বশ করেছেন ইমাম?
- পাকিস্তানের ১০০
- সাকিব কই?
- ইমামের ফিফটি
- অবশেষে সাকিব!
- প্রসঙ্গ ষষ্ঠ বোলার
- গতি বাড়াবে পাকিস্তান?
- মিরাজের বলে বোল্ড ইমাম
- রান রেট নিয়ে ভাবছে না পাকিস্তান?
- ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ
- হারের যে কারণ দেখছেন সাকিব
- ব্যাটিংয়ের সময় উইকেট বিস্মিত করেছে পাকিস্তানকে
স্বাগতম!
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ এশিয়া কাপ সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচ থেকে নিজেদের একাদশে একটি পরিবর্তন এনে কালই দল জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ নওয়াজের জায়গায় দলে ঢুকেছেন মিডিয়াম পেসার ফাহিম আশরাফ।
বাংলাদেশ দল নাজমুল হোসেন অভাব টের পেতে পারে। চোটের কারণে এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের সর্বশেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নাজমুলের। তাঁর শূন্যতা পূরণে দলে দেখা যেতে পারে লিটন দাসকে। জ্বর থেকে সেরে উঠে এশিয়া কাপ থেকে খেলতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন লিটন।
টস
টসে জিতে আগে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, লাহোরের গরমের কারণে আগে ব্যাটিং করতে চান তাঁরা।
এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে টসে জিতলেন সাকিব। তিন ম্যাচেই আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নাজমুলের জায়গায় লিটন
বাংলাদেশ দলে একটিই পরিবর্তন। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়া নাজমুল হোসেনের জায়গায় খেলছেন লিটন দাস। অসুস্থতার কারণে এশিয়া কাপের শুরু থেকে ছিলেন না লিটন।
বাংলাদেশ একাদশ
মোহাম্মদ নাঈম, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, শামীম হোসেন, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
আজও ওপেনিংয়ে মিরাজ?
অফিশিয়াল যে টিম শিট, তাতে ওপেনিংয়ে রাখা হয়েছে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মিরাজকেই। লিটন দলে ফিরলেও তাঁকে রাখা হয়েছে তিন নম্বরে।
পাকিস্তান একাদশ (আগেই ঘোষিত)
গতকালই বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের একাদশ ঘোষণা করে দিয়েছে পাকিস্তান। বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজের জায়গায় দলে আনা হয়েছে অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফকে।
পাকিস্তান একাদশ
ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম (অধিনায়ক), সালমান আগা, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), ফাহিম আশরাফ, শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।
মিরাজ নাকি লিটন, আপনার মত কার পক্ষে?
সুপার ফোরের সূচি
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের সুপার ফোর। এ রাউন্ডে চারটি দলই খেলবে একে অন্যের সঙ্গে। সুপার ফোরের বিস্তারিত সূচি দেখুন এখানে।
হিথ স্ট্রিকের জন্য নীরবতা
জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ, বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে এ ম্যাচের আগে। গত ৩ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের আগে মারা যান জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের তর্কসাপেক্ষে সেরা অলরাউন্ডার। সে দিন অবশ্য স্ট্রিক স্মরণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা দেখা যায়নি বাংলাদেশ দল বা বিসিবির পক্ষ থেকে।
মিরাজই ওপেনিংয়ে
টিম শিটে যা ছিল, সে অনুযায়ীই মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ মুহূর্তে নতুন বলে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহদের বিপক্ষে মিরাজ কেমন করেন, এখন দেখার বিষয় সেটিই।
ওপেনার মিরাজের এবার ‘গোল্ডেন ডাক’
বিপক্ষ আফগানিস্তান ১১২* (১১৯)।
বিপক্ষ পাকিস্তান ০ (১)।
দুই দিনের ব্যবধানে মুদ্রার দুই পিঠ দেখে ফেললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকিস্তানের এমন পেস বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে মিরাজকে ওপেনিংয়ে পাঠানো বেশিই ঝুঁকি, সেটিই যেন প্রমাণ হলো। নাসিম শাহের শর্ট অব আ লেংথ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ফখর জামানের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন মিরাজ। হয়ত যতটা ভেবেছিলেন, বলে ততটা গতি ছিল না। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, স্কোরবোর্ডে কোনো রান ওঠার আগেই। আগের ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে কোনো রান নিতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম।
৬ বলে ৩ চার
নাসিমের বলে মোহাম্মদ নাঈম। পরের ওভারের প্রথম বলে আফ্রিদির বলে আবার নাঈম। সে ওভারেই আরেকটি চার মেরেছেন লিটন। অবশ্য এ তিনটি বাউন্ডারির বাইরে প্রথম ৩ ওভারে এসেছে একটি সিঙ্গেল।
নাসিমের ওভারে তিন চার
কাট করে নাঈম চার মেরে শুরু করেছিলেন। শেষ ৩ বলের মধ্যে দুটি ড্রাইভে চার পেলেন লিটনও। চতুর্থ ওভারে তিন চারে এসেছে ১৩ রান। ৪ ওভারে ২৬/১।
মিরাজের প্রথম
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পঞ্চমবার প্রথম বলেই আউট হলেন মিরাজ। কিন্তু ওয়ানডেতে এই প্রথম।
ভালো শুরুর পর থামলেন লিটন
ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে ভেতরের দিকে ঢোকা ডেলিভারি—আফ্রিদির সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ধরা হয়। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কিছু করতে পারেননি। ভিন্ন পথ ধরলেন, লিটনও ধরা পড়লেন তাতেই। অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব আ লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিয়েছেন লিটন। ব্যাটে কানায় লেগে ক্যাচ গেছে রিজওয়ানের কাছে। লিটন ও নাঈমের জুটি বাউন্ডারিতে সওয়ার হয়েছিল, লিটনের উইকেটে ছন্দপতন। ১৩ বলে ১৬ রান লিটনের।
উঠে গেলেন নাসিম
শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ফ্লিক করতে গিয়েও পারেননি নাঈম, সেটি গিয়েছিল বাউন্ডারিতে। ফাইন লেগ থেকে এসে ডাইভ দিয়ে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়েছেন নাসিম। কিছুক্ষণ পড়ে ছিলেন, এরপর ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছেড়ে গেছেন তিনি। পরের ওভারে নাসিমের জায়গায় এসেছেন হারিস রউফ। পাকিস্তান এ ম্যাচে দলে এনেছেন ফাহিম আশরাফকে। পেসে তাই অপশন আছে তাদের। কিন্তু নাসিমের এভাবে উঠে যাওয়া বড় একটি ধাক্কা হতে পারে তাদের জন্য।
এবার গেলেন নাঈমও
লিটন ফেরার পর থেকেই খোলসে ঢুকে গিয়েছিলেন নাঈম। সর্বশেষ ৯ বলে করেছিলেন ৫ রান। দশম বলে আউট বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। নাসিমের জায়গায় আসা হারিস রউফের শর্ট বলে পুল করতে গিয়েছিলেন। খাড়া ওপরে উঠেছে ক্যাচ। নিজেই সেটি নিয়েছেন রউফ। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যেটি চাপ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট।
লিটনের আরেকটি আক্ষেপভরা ইনিংস
রউফের গোলায় পরাস্ত হৃদয়
গতি, গতি! ফুললেংথের সোজা লাইনের বল। কিন্তু গতিতে পরাস্ত তাওহিদ হৃদয়। ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতির বলটি ব্যাট ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করে গেছেন পুরোপুরি। স্টাম্পের বল আঘাতের সেই ভয়ঙ্কর শব্দ শুনতে হয়েছে এরপর। রউফের দ্বিতীয় আঘাত। দশম ওভারে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে চতুর্থ উইকেট, স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান।
শাহিন—শিকারি
৪৯/৪, ১০ ওভার
দ্বিতীয় ওভারেই ‘মেকশিফট’ ওপেনার মিরাজ ফেরার পর লিটন ও নাঈম শট খেলা শুরু করেছিলেন। ব্যাটিং সহায়ক উইকেট উপভোগ করছিলেন দুজনই। কিন্তু লিটনের ছন্দপতন হলো, নাঈমও ফিরলেন। হৃদয় ফিরতে পারলেন না রানে। নাসিম, আফ্রিদির পর রউফ—পাকিস্তানের বিধ্বংসী পেস বোলিংয়ের তোপে ১০ ওভারের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে লাহোরে চাপে বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে এতগুলো উইকেট হারানোর পর পুনর্গঠনের দায়িত্বটা এখন দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ওপর।
প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ সর্বশেষ এতগুলো উইকেট হারিয়েছিল ২৮ ম্যাচ আগে। ২০২২ সালে চট্টগ্রামে ২১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ২৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর ষষ্ঠ উইকেট পড়ে ৪৫ রানে। আফিফ হোসেন (অপরাজিত ৯৩) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (অপরাজিত ৮১) বাংলাদেশকে টেনে তোলেন সেখান থেকে।
আক্রমণে শাদাব
১৫তম ওভারে প্রথমবারের মতো স্পিন। এসেছেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। নেওয়াজ একাদশে নেই, ফলে পাকিস্তান একাদশে একমাত্র স্বীকৃত স্পিনার শাদাব। তৃতীয় বলে সুইপ করে চার মেরে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন মুশফিক। দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর পর পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন তিনি ও সাকিব। ১৫ ওভারশেষে তাঁদের জুটি ২৫ রানের, বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭২ রান।
ফিরেছেন নাসিম
কাঁধে চোট পেয়ে উঠে যাওয়া নাসিম ফিল্ডিংয়ে ফিরেছেন আগেই। এবার বোলিংয়েও ফিরলেন। দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারে নাসিম দিয়েছেন ৩ রান। ১৮ ওভারশেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। মুশফিক-সাকিবের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানে। বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দিতে এ জুটি আরও বড় হতে হবে, সেটি বোঝাই যায়।
বাঁচলেন সাকিব
টপ-এজড, তবে সেটি গেছে উইকেটকিপার রিজওয়ানের নাগালের বাইরে দিয়ে। সেই চারের ক্ষেত্রে সাকিবকে সৌভাগ্যবান বলতে হবে। তবে পরের বলে কাট করে যে চার মেরেছেন, তাতে ভাগ্যের ছোঁয়া লাগেনি। কিন্তু এক বল পর নাসিমকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ৩২ রানে।
সাকিব-মুশফিকের জুটিতে ৫০, বাংলাদেশের ১০০
শাদাবকে সুইপ করে চার মেরে বাংলাদেশ ১০০ পূর্ণ করেছেন মুশফিক। এর আগেই সাকিবের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৫০ রান। ২১ ওভারশেষে ৪ উইকেটে ১০৫ রান।
২ ওভারে ৩ চার
নেওয়াজকে বাদ দেওয়াতে পাকিস্তান খেলছে একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে। তবে লাহোরের গরমে পেসারদের লম্বা স্পেল করা কঠিন। শাদাবের সঙ্গে আনা হয়েছে সালমান আগাকে, তবে তাঁর প্রথম ওভারে এসেছে দুটি চার। পরের ওভারে শাদাবকেও আরেকটি চার মেরেছেন মুশফিক। মাঝের ওভারগুলোতে বোলিং, বিশেষ করে স্পিন—এ জায়গায় পাকিস্তানের একটা দূর্বলতা ফুটে উঠেছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও। যদিও পরে গিয়ে পেসাররা আবার ফেরান তাদের।
২৭ ওভারে ১৪০/১।
সাকিবের ফিফটি
ফাহিম আশরাফের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করলেন সাকিব আল হাসান, ৫৩ বলে। ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন, তবে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সাকিবের এটি ৯৭তম ফিফটি, আছে ৯টি সেঞ্চুরি। ফিফটির কাছে আছেন মুশফিকুর রহিমও।
ফিফটির পরই থামলেন সাকিব
সালমান আগার পর ইফতিখার আহমেদ—বাবর আনলেন তাঁদেরকেও। কিন্তু ব্রেকথ্রু এনে দিলেন ফাহিম আশরাফ। সেই পুরোনো শর্ট বলের তত্ত্বে গেলেন ফাহিম, সে ফাঁদে পা দিলেন সাকিব। পুল করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাকিব ও মুশফিকের জুটি ভেঙেছে ঠিক ১০০ রানেই। সাকিব থেমেছেন ১০০ রানের পরপরই।
মুশফিকের ফিফটি
সাকিব ফেরার পর ফিফটি পূর্ণ করেছেন মুশফিক। ক্যারিয়ারে মুশফিকের এটি ৪৬তম ওয়ানডে ফিফটি। তাঁকে সঙ্গ দিতে এসেছেন শামীম হোসেন।
আফ্রিদিদের ফেরাবেন বাবর?
মুশফিককে সঙ্গ দিচ্ছেন শামীম হোসেন। এরপর আছেন আফিফ হোসেন। আফগানিস্তানের মতো এ ম্যাচেও বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে পার্টটাইমার ইফতিখারকে দিয়ে তৃতীয় ওভারও করালেন বাবর। ফ্রন্টলাইন তিন পেসারের বাকি ৫টি করে ওভার। তাঁদের কাউকে কি দেখা যাবে শিগগির?
৩৩ ওভারে ১৬৫/৫
আফ্রিদিকে শামীমের ছক্কা
এবং ফিরলেন আফ্রিদি। ম্যাচের পরিস্থিতিই বলছিল, উইকেটের খোঁজে যেতে পারেন বাবর। ৩৪তম ওভারে ফেরানো হয়েছে আফ্রিদিকে। তবে তাঁদের হয়ত একটু বিস্মিতই করলেন শামীম। শরীর বরাবর একটু শর্ট লেংথ করেছিলেন আফ্রিদি। পা তুলে ফ্লিক করে ছক্কা মেরেছেন শামীম। বাংলাদেশ ইনিংসে এটি প্রথম ছক্কা। আগের ম্যাচে ছিল শামীমের ওয়ানডে অভিষেক, ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন শামীম।
উইকেট ছুড়ে এলেন শামীম
আফ্রিদিকে অমন ছক্কা পর ইফতিখারকে উইকেট দেওয়া—শামীমকে হতাশ করার জন্য এ লাইনটিই যথেষ্ট। লেংথ বল ছিল, তবে শামীম যেভাবে মিড অনের ওপর দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন তেমন নয়। আগবাড়িয়ে খেলা শটে বল উঠে গেছে ওপরে, মিডউইকেটে ইমাম-উল-হক নিয়েছেন সহজ ক্যাচ। ২৩ বলে ১৬ রান শামীমের, যে ইনিংস শেষ হলো হতাশাজনক এক আউটে। অন্যপ্রান্তে মুশফিকের চাপটা বাড়ল আবার, তাঁকে সঙ্গ দিতে এসেছেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান আফিফ। এখনো বাকি ১৫.২ ওভার।
রউফকে মারতে গিয়ে আউট মুশফিক
সাকিবের পর শামীম ফেরাতে সঙ্গীহীনতায় ভোগার শঙ্কায় ছিলেন মুশফিক। কিন্তু তিনি নিজেই আউট হয়ে গেলেন। এ ওভারেই ফেরা রউফের ওপর চড়াও হতে গিয়েছিলেন, কিন্তু ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে ধড়া পড়েছেন তিনি। লাফ দিয়ে ক্যাচ নিতে গিয়ে অবশ্য পায়ে টান পড়েছে রিজওয়ানের। কিন্তু এ অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে কে টানবেন, সেটিই প্রশ্ন এখন।
মুশফিক করেছেন ৮৭ বলে ৬৪ রান। ৩৭.২ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯০ রান বাংলাদেশের।
দুইয়ে দুই রউফের
মুশফিকুর রহিম—কট বিহাইন্ড। তাসকিন আহমেদ—কট বিহাইন্ড। অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ ডেলিভারিতে পাঞ্চ করতে গিয়েছিলেন তাসকিন, রউফের মতো বোলারকে কোনো নয় নম্বর ব্যাটসম্যানের যেটি উচ্চাভিলাষী শটই বলতে হবে। পরপর ২ বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সামনে রউফ! সেটি অবশ্য হতে দেননি শরীফুল ইসলাম।
১৯৩ রানেই শেষ বাংলাদেশ
রউফের পর নাসিম শাহ! আফিফও ধরা পড়লেন শর্ট বলে। পুল করতে গিয়েছিলেন, সফল হননি। ধরা পড়েছেন মিড অন থেকে ছুটে আসা ফাহিম আশরাফের হাতে। দুই বল পর ঘণ্টায় ১৪১ কিলোমিটার গতির বল সামলাতে পারেননি শরীফুল। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। ১৯৩ রানেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।
১০ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট নেই, শুরুতেই চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ কমের মধ্যে আটকে যাওয়ার শঙ্কাতেই ছিল। কিন্তু মাঝে সাকিব ও মুশফিকের ১০০ রানের জুটি আশা জুগিয়েছিল। কিন্তু দুজনের কেউই ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, শেষ ৪ উইকেট পড়েছে ৩ রানে।
সাকিব আগেভাগেই ফেরার পর অবশ্য চাপ বাড়ে মুশফিকের, শামীম সে অর্থে তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। মাঝের ওভারগুলোতে পাকিস্তানের স্পিনার, পার্ট-টাইমার বোলারদের বিপক্ষে স্কোরিংয়ের একটা সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ফ্রন্টলাইন পেসারদের ফেরা ছিল সময়ের অপেক্ষা। তাঁরা ফিরেছেন, বাংলাদেশও গুটিয়ে গেছে দ্রুতই।
আগের ম্যাচে এ মাঠেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩০০-পেরোনো স্কোর গড়ে বড় জয় পাওয়া বাংলাদেশ দুদিন পরই দেখল ভিন্ন চিত্র। এবার ২০০-এর আগেই শেষ তারা। পাকিস্তানের পেস আক্রমণের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটা ছিল কঠিন। বাংলাদেশ সেটি নিতে পারেনি। রউফ, নাসিম ও আফ্রিদি মিলেই নিয়েছেন ৮ উইকেট।
রেকর্ডও পক্ষে নেই
১৯৩ রানের সংগ্রহ, প্রতিপক্ষ বিশ্বের এক নম্বর ওয়ানডে দল। স্বাভাবিকভাবেই জয়ের সম্ভাবনা খুব একটা থাকার কথা নয়। রেকর্ডও আশা জোগাচ্ছে না মোটেও। এক কম সংগ্রহ নিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ের ঘটনা আছে মাত্র দুটি। সর্বশেষ ঘটনাটি ২০১০ সালের, মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৭৪ রান নিয়ে। তার আগেরটি ১৯৯৯ সালের, বিশ্বকাপে এডিনবরায় স্কটল্যান্ডকে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ১৮৫ রান করেও।
গতির জবাব নেই
পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার চ্যালেঞ্জটা সবার জানা। নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর প্রথম স্পেল যে কোনো দলের টপ অর্ডারের জন্য বিশাল হুমকি। এই দুজন উইকেট নিতে ব্যর্থ হলে হারিস রউফ তো আছেনই। বাংলাদেশের বিপক্ষে পেস বোলিংটা শক্তিশালী করতে আজ একাদশে নেওয়া হয়েছে ফাহিম আশরাফকেও। শেষ পর্যন্ত সেই পেস বোলিংয়ের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং।
প্রথম ৩ ওভারে ১১
তাসকিনের প্রথম ওভারেই দুই চারে শুরু করেছিলেন ফখর জামান। তাসকিনের পরের ওভারে ইমাম-উল-হক দারুণ একটি কাভার ড্রাইভ খেললেও অবশ্য বাউন্ডারি পাননি। মাঝে শরীফুল ইসলাম করেছেন মেডেন। ৩ ওভারে পাকিস্তান তুলেছে ১১ রান। লড়াইয়ে থাকতে গেলে দ্রুত উইকেট প্রয়োজন বাংলাদেশের, সেটি কি পাবে তারা?
কে সবচেয়ে বেশি হতাশ করলেন?
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশের ইনিংস মুখ থুবড়ে পড়েছে ১৯৩ রানেই। পাকিস্তান পেসারদের চ্যালেঞ্জ থাকবে, সেটি জানা কথাই। তবে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা সেটি নিতে পারেননি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটও ছুড়ে এসেছেন কেউ কেউ। এ ম্যাচে কার ব্যাটিং সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে আপনাকে?
সুযোগ হাতছাড়া
শরীফুল ইসলামের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন ফখর। কিন্তু সেটি নিতে যেভাবে ঝুঁকতে হতো, তা করেননি নাঈম। সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি অবিচ্ছিন্ন।
ফ্লাডলাইট বন্ধ, খেলা বন্ধ
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের একটি ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বন্ধ আছে খেলা। খেলোয়াড়রা মাঠ ছেড়ে গেছেন।
হৃদয়ের চেষ্টা
আবার শুরু খেলা
প্রায় ১৮ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে খেলা। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট জ্বলেছে আবার। বাংলাদেশ বোলারদের কেউ জ্বলে উঠতে পারবেন?
র্যাঙ্কিং আপডেট
ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০০-তে উঠে এসেছেন নাজমুল হোসেন। যাঁর এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেছে এ ম্যাচের আগেই।
তাসকিনের ওভার তিন চার ইমামের
শর্ট বল চেষ্টা করলেন, ইমাম পুল করে মারলেন চার। এরপর আবার শর্ট বল, আবার পুল, আবার চার। শেষ বলে আউটসাইড-এজড হয়েছিলেন, কিন্তু একমাত্র স্লিপের নাগালের বেশ বাইরে দিয়ে হয়েছে ওভারের তৃতীয় চার। শেষ ২ ওভারে এসেছে ১৮ রান, গতি বাড়াচ্ছে পাকিস্তান।
তাসকিনের জায়গায় হাসান
তাসকিন ও শরীফুল ৪টি করে ওভার করার পর প্রথমবার বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেছেন সাকিব। তাসকিনের জায়গায় এসে হাসান মাহমুদ অফ স্টাম্প ও এর বাইরের লাইনে একটু অস্বস্তিতেও ফেলেছেন ফখর ও ইমামকে। প্রথম ওভারে দিয়েছেন ১ রান। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত উইকেটের দেখা তিনিও পাননি প্রথম ওভারে।
ফখরকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু শরীফুলের
প্রথম বলই ফুললেংথ, একটু মুভমেন্টে ভেতরের দিকে ঢুকছিল সেটি। ফ্লিকের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ফখর জামান। প্যাডে আঘাত করেছে সেটি, আম্পায়ার ল্যাংটন রুজেরে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে দিয়েছেন এলবিডব্লিউ। ফখর রিভিউ করেছিলেন, কিন্তু কাজে আসেনি সেটি। বল ট্র্যাকিং তিনটি মানদণ্ডেই দেখিয়েছে লাল। শরীফুল প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিলেন বাংলাদেশকে, প্রথম পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে।
ক্রিজে বাবর আজম
এটি তাঁর ঘরের মাঠ। বাবর লাহোরের ছেলে। ফখর জামান আউট হওয়ার পর পাকিস্তান অধিনায়ক নামার সময় দর্শকদের উল্লাসই বলে দিয়েছে বিশেষ এই সংযোগটা। নেপালের বিপক্ষে ১৫১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে এশিয়া কাপ শুরু করেছিলেন বাবর। ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাননি পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যান। এবার লক্ষ্য সে অর্থে বড় নয়, একেবারে দারুণ না হলেও ভালো একটা শুরুই পেয়েছে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ের পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় অস্ত্রকে শুরুতেই থামাতে পারবে বাংলাদেশ?
রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
এবার হাসান মাহমুদের বলে এলবিডব্লিউর আবেদন হয়েছিল ইমামের বিপক্ষে। আম্পায়ার আহমেদ শাহ পক্তিন তাতে সাড়া দেননি। খোলা চোখেই বলের পিচিং নিয়ে সংশয় ছিল। হাসানরা অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, বাংলাদেশ রিভিউও নিয়েছিল। কিন্তু বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, বল পড়েছে লেগ স্টাম্পের বাইরে। অনেক বাইরে, তা নয়, তবে রিভিউ নাকচ করার জন্য যথেষ্ট সেটি। রিভিউ হারিয়েছে বাংলাদেশ, অক্ষত ইমাম।
আবার রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
বোলার আলাদা, ব্যাটসম্যান একই। কিন্তু প্রায় একই লাইন ও লেংথে পড়া বল। ফলটাও একই—দ্বিতীয় রিভিউও হারাল বাংলাদেশ। এবার তাসকিনের বলে জোরাল এলবিডব্লিউর আবেদন হয়েছিল ইমামের বিপক্ষে। এবার অবশ্য আম্পায়ার ছিলেন ল্যাংটন রুজেরে। তিনি আউট দেননি। শেষ দিকে গিয়ে রিভিউ নেন সাকিব। কিন্তু বল ট্র্যাকিং আবারও দেখিয়েছে, বল পড়েছে লেগ স্টাম্প লাইনের বাইরেই। ইমাম এখনো অক্ষত। পাকিস্তান ৫০ পেরিয়েছে আগেই।
এমন উল্লাসের সুযোগ খুব বেশি পাননি তাঁরা
তাসকিনের বলে বোল্ড বাবর
বাবর আজম, বোল্ড! একটু ফুলার লেংথ, তবে বাবর যেমনটি ভেবেছিলেন তাসকিনের বল ততটা ওঠেনি। এ উইকেটে এ লেংথটি দারুণ কার্যকরী, যেটি ব্যাটসম্যানকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়। ব্যাটের নিচের দিকে লাগলেও বল ঢুকেছে স্টাম্পে। পাকিস্তান অধিনায়ক আউট ২২ বলে ১৭ রান করে। ১৬তম ওভারে এসে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
ডিআরএস বশ করেছেন ইমাম?
‘থার্ড টাইম লাকি’ বাংলাদেশ! আগের দুবার ইমামের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন এবং পরে রিভিউ—সফল হয়নি। এবার হলো। ১৯তম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আহমেদ শাহ পক্তিন আউট দিয়েছিলেন, কিন্তু এবার রিভিউ নেন ইমাম। বল ব্যাটে লাগেনি, মিরাজের অফ স্পিন স্বাভাবিকভাবেই পড়েছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। কিন্তু বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, বল মিস করে যেত লেগ স্টাম্প। আবারও বেঁচে গেলেন ইমাম।
পাকিস্তানের ১০০
মিরাজকে স্কুপ করে চার রিজওয়ানের। পাকিস্তানের ১০০। ২৩তম ওভারে ১০০ পেরোল স্বাগতিকেরা। বাংলাদেশ সেটি পেরিয়েছিল ২১তম ওভারে। তবে ওই সময়ের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল তারা, পাকিস্তান হারিয়েছে দুটি। ২৭ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৯২ রান।
সাকিব কই?
ইনিংসের ২৪তম ওভার চলে। তবে এখন পর্যন্ত বোলিংয়ে আসেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চোট-সংক্রান্ত কোনো সমস্যা আছে, এমন শোনা যায়নি। যদিও এ ওভারের মাঝে ওয়ার্ম-আপের মতো করতে দেখা গেছে তাঁকে। না, ২৫তম ওভার করতেও তিনি আসেননি। সে দায়িত্ব মিরাজের।
ইমামের ফিফটি
ক্যাচ মিস! না, মাঠের মধ্যে না। মাঠের বাইরে সেটি নিতে পারেনি এক বল বয়। মিরাজের শর্ট লেংথের বলে পুল করে ছক্কা মেরেছেন ইমাম। সে শটে ফিফটিও হয়ে গেছে এ বাঁহাতি ওপেনারের, লেগেছে ৬১ বল। ফখর আগেই ফিরলেও তিনি টিকে আছেন, তিনবার রিভিউ পক্ষে এসেছে তাঁর।
অবশেষে সাকিব!
২৬তম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেছেন সাকিব। প্রথম ওভারে তিনি দিয়েছেন ৬ রান। জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ৭৪ রান।
প্রসঙ্গ ষষ্ঠ বোলার
আগের ম্যাচের মতো এবারও বাংলাদেশ নেমেছে স্বীকৃত পাঁচ জন বোলার নিয়ে। বিশ্বের এক নম্বর দল পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষ সেটি ঝুঁকিপূর্ণ কি না, আগে থেকেই সে আলোচনা ছিল। অবশ্য ১৯৩ রানের সম্বল নিয়ে বোলিংয়ে নেমে ষষ্ঠ বোলারের অভাবটা আপাতদৃষ্টিতে টের পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু আট ব্যাটসম্যান নিয়েও এত কম সংগ্রহ—সে প্রশ্ন চাইলেই তুলতে পারেন আপনি।
গতি বাড়াবে পাকিস্তান?
সাকিবের ওভারে সামনে এসে ছক্কা ইমামের, সে ওভারে ৯ রান। পরের ওভারের শুরুতেই মিরাজকে চার রিজওয়ানের, এবার এসেছে ৭ রান। বাকি ৮ উইকেট, রান প্রয়োজন ৫৫। গতি বাড়িয়ে নেট রানরেট বাড়িয়ে নেওয়ার ভাবনাটি থাকার কথা পাকিস্তানের। ইমাম ও রিজওয়ানের ফিফটি জুটি হয়ে গেছে আরও আগেই।
কারণ ও ফল
মিরাজের বলে বোল্ড ইমাম
ছয়, ডট, চার…এরপর বোল্ড! মিরাজের ওপর চড়াও হয়েছিলেন ইমাম। আরেকটি বড় শটের চেষ্টায় হলেন আউট। মিরাজের ড্রিফটকে পরাস্ত করতে পারেননি পাকিস্তান ওপেনার, স্লগ সুইপ মিস করে হয়েছেন বোল্ড। ৮৪ বলে ৭৮ রান করেছেন ইমাম। বাংলাদেশ পেয়েছে তৃতীয় উইকেটের দেখা। কিন্তু জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন মাত্র ৩৫ রান।
রান রেট নিয়ে ভাবছে না পাকিস্তান?
গতকালই রান রেটের সূক্ষ্ণ ব্যবধান ডুবিয়েছে আফগানিস্তানকে। পাকিস্তানের সামনে প্রথম ম্যাচেই সেটি বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত সেটি তাদের ভাবনায় আছে বলে মনে হচ্ছে না। ইমাম ফেরার পর নতুন ব্যাটসম্যান সালমান আগা প্রথম ১৯ বলে করেছেন মাত্র ৭ রান। ফিফটি করা রিজওয়ানের ৩৯তম ওভার শেষে স্ট্রাইক রেট ৭৯.৪৮, যদিও এ ওভারের শেষ বলে ইনসাইড আউটে চার মেরেছেন তিনি।
৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ
সাকিব ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। সালমান আগা তাতে করেছেন রিভার্স সুইপ। ৬৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়েছে পাকিস্তানের। ৭৯ বলে ৬৩ রান করে অন্যপ্রান্তে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান।
গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। সুপার ফোরও হার দিয়ে শুরু হলো তাদের।
পাকিস্তানের বড় জয়ের ভিত গড়ে দেন বোলাররাই। আরও নির্দিষ্ট করে বললে পাকিস্তানের তিন পেসার। তাদের সামনে শুরুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, তখনো প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ হয়নি। শুরুতেই সেটি চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। মাঝে সাকিব ও মুশফিকের ১০০ রানের জুটি হলেও পরে আবার ধস নামে ইনিংসে।
১৯৩ রানের সম্বল নিয়ে পাকিস্তানের এই ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে বাংলাদেশ বোলারদের যে খুব বেশি কিছু করার ছিল, তা নয়। তবে প্রথম ব্রেকথ্রু পেতে বেশ খানিকটা অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। এমন উইকেটে একটা নির্দিষ্ট লেংথে ক্রমাগত বোলিং কার্যকরী, শুরুতে সেভাবে সেটি করতে পারেনি তারা। ইনিংসের পরের দিকে তাসকিন বেশ ভালো বোলিং করেছেন, হাসান মাহমুদও তাই। তবে কাজে আসেনি তা।
ফখর জামান ইনিংস বড় করতে না পারলেও টিকে ছিলেন ইমাম। বাবরকে ইনিংস বড় করতে দেননি তাসকিন। কিন্তু রিজওয়ান ও ইমামের ৮৫ রানের জুটি অনেকটাই এগিয়ে নেয় পাকিস্তানকে। ইমাম শেষ করে আসতে না পারলেও রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ঠিকই।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, কলম্বোতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
হারের যে কারণ দেখছেন সাকিব
শুরুতে দ্রুত উইকেট হারিয়েছি, গড়পড়তা কিছু শট খেলেছি।
ব্যাটিংয়ের সময় উইকেট বিস্মিত করেছে পাকিস্তানকে
আমরা ভেবেছিলাম ভালো ব্যাটিং উইকেট হবে, তবে বিস্ময়করভাবে সিম করছিল বল।