সাকিবের ঘাড়ে পান্ডিয়ার নিশ্বাস
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ম্যাচটি ছিল সিরিজ-নির্ধারক। রাঁচিতে নিউজিল্যান্ড আর লক্ষ্ণৌতে ভারত জেতার পর হার্দিক পান্ডিয়াদের সামনে ছিল সিরিজ জয়ের চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ-জয়ে ব্যাটে-বলে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন পান্ডিয়া। ব্যাট হাতে ১৭ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংসের পর বল হাতে নেন ১৬ রানে ৪ উইকেট। শুবমান গিলের সেঞ্চুরির পর পান্ডিয়ার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ভর করে কিউদের ১৬৮ রানের বড় ব্যবধানে হারায় ভারত।
ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনের ওই পারফরম্যান্সের সুবাদে টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে উঠে এসেছেন পান্ডিয়া।
আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীকে টপকে শুধু সেরা দুইয়েই ওঠেননি, রেটিং পয়েন্টে শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসানের খুব কাছেও পৌঁছে গেছেন। এক নম্বরে থাকা সাকিবের রেটিং ২৫২, পান্ডিয়ার ২৫০। তিনে থাকা নবীর রেটিং পয়েন্ট ২৩৩। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের নৈপুণ্যে মোট ৩৩ পয়েন্ট যোগ হয়েছে পান্ডিয়ার।
শুধু পান্ডিয়াই নন, আইসিসির হালনাগাদ করা টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন ভারতের আরও দুই ক্রিকেটার। বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ সিং আট ধাপ এগিয়ে অবস্থান করছেন ১৩ নম্বরে। বড় লাফ দিয়েছেন গিলও।
২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান কিউইদের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৬৩ বলে ১২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার আগে ছিলেন ১০০–র বাইরে। ব্যাটসম্যানদের নতুন র্যাঙ্কিংয়ে ১৬৮ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৩০তম স্থানে। ভারতের সূর্যকুমার ব্যাটসম্যানদের এক নম্বর স্থান ধরে রেখেছেন।
দুইয়ে অপরিবর্তিত পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ানও। নিউজিল্যান্ডের ডেভন কনওয়েকে সরিয়ে তিনে উঠে এসেছেন বাবর আজম। টি-টোয়েন্টির বোলারদের মধ্যে প্রথম তিনটি স্থানে কোনো বদল নেই (রশিদ খান, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও আদিল রশিদ)।
টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে সেরা পাঁচ অলরাউন্ডার
একই চিত্র ওয়ানডের সেরা তিনেও। শীর্ষ তিন বোলার (মোহাম্মদ সিরাজ, জশ হ্যাজলউড ও ট্রেন্ট বোল্ট) অবস্থান ধরে রেখেছেন। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কুইন্টন ডি কককে সরিয়ে তিনে উঠে এসেছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
বাংলাদেশের সাকিব টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ানডেতেও অলরাউন্ডারদের শীর্ষ স্থান টিকিয়ে রেখেছেন। আছেন ওয়ানডে বোলারদের সপ্তম স্থানে, যেখানে মোস্তাফিজুর রহমান আছেন নয়ে। ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুই ধাপ এগিয়ে তামিম ইকবাল উঠেছেন ১৫ নম্বরে।