ব্যস্ত জীবনই উপভোগ করেন সাকিব
কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে যাওয়ার পর সাকিব আল হাসান যেন আক্ষরিক অর্থেই ‘গ্লোবাল’ বা বৈশ্বিক হয়ে পড়েছেন! শুধু ভ্রমণ আর ভ্রমণের ওপরই আছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার।
কানাডায় লিগের মাঝপথে শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) খেলতে। এলপিএল শেষ করেও দেশে ফেরেননি। সেখান থেকে চলে যান দুবাইয়ে একটি সোনার দোকান উদ্বোধন করতে। দুবাই থেকে গতকাল দেশে ফিরলেও মিরপুরে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেননি।
আজ সকালে হেলিকপ্টারে উড়ে যান বরিশালে। সেখানকার একটি হাসপাতাল আয়োজিত বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ এবং রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেন। দুপুরেই ফিরে আসেন ঢাকায়। আর বিকেলে রাজধানীর রামপুরায় যান একটি কোম্পানির অতিথি হয়ে।
বোঝাই যাচ্ছে, দেশে ফিরে বাণিজ্যিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাকিব। রামপুরায় উপস্থিত সাংবাদিকেরা সাকিবকে তাই কর্মময় জীবনের ব্যস্ততা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এগুলো ম্যানেজ করেই চলতে হয়। যেহেতু সময় খুব বেশি নেই। এই অল্প সময়ে সবকিছু ম্যানেজ করার একটা উপায় বের করতে হয়। তবে এই ব্যস্ততা ভালোই লাগে।’
সামনেই এশিয়া কাপ। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ। বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেই আবার কিউইদের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ। সেটা শেষ হতে না হতে ফিরতি সফরে নিউজিল্যান্ডে যাবে বাংলাদেশ দল। সব মিলিয়ে বছরের বাকিটা সময় খেলা নিয়েই থাকতে হবে। সাকিব মনে করেন, পুরোটা সময় চোটমুক্ত থাকা খুব জরুরি, ‘যেহেতু সামনে আমাদের সিরিজ ও বড় টুর্নামেন্ট আছে, চেষ্টা করছি যতটা ফিট থাকা যায়। এখন ফিট থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর খেলা থাকলে চোটে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।’
গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ও এলপিএল অভিজ্ঞতা নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘অভিজ্ঞতা বেশ ভালো ছিল। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ আমাদের জন্য একটু গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, (এশিয়া কাপে) শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ম্যাচ আছে। ওদের সবার সঙ্গে খেললাম, মাঠ সম্পর্কে ধারণা হলো, ওদের খেলোয়াড়দের সম্পর্কেও ধারণা পেলাম। সেদিক থেকে ভালোই হলো।’
সাকিবের পরিবারের সদস্যরা থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। সুযোগ পেলেই তিনি স্ত্রী–সন্তানদের কাছে যান। তা ছাড়া বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দাপিয়ে বেড়ানোয় ও জাতীয় দলের সফর থাকায় বছরের বেশির ভাগ সময় থাকেন দেশের বাইরে। লম্বা সময় বাইরে থাকায় দেশের প্রতি টান অনুভব করেন ৩৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার, ‘যে কেউ দেশের বাইরে থাকলে মিস করে। আমার ক্ষেত্রেও নতুন কিছু নয়। তবে হ্যাঁ, দেশে ফিরতে পেরে ভালোই লাগছে।’