‘পাকিস্তানের হাত থেকে কারও মুক্তি নেই’—সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার পর এমন হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটিং পরামর্শক ম্যাথু হেইডেন। তাঁর সেই বার্তা যে ভুল ছিল না, তা প্রমাণিত হলো সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ চার নিশ্চিত করতে যে দলটির নাভিশ্বাস উঠেছিল, তারাই কিউইদের হেসেখেলে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে ফাইনাল।
এই ম্যাচের পর আরেকবার ফাইনালের প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়ে রাখলেন হেইডেন। বলেছেন, পাকিস্তানের ভয়ংকর রূপটা নাকি এখনো দেখা যায়নি, ফাইনালের জন্যই সেটা জমা আছে। এ সময় ভারতকেই ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে চান বলেও জানিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।
খাদের কিনারা থেকে সেমিফাইনালে উঠে দেখা মিলল দুর্দান্ত পাকিস্তানের। আগে বল করে শাহিন-হারিসদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং, এরপর বাবর-রিজওয়ানের শতাধিক রানের দুর্দান্ত জুটিতে ম্যাচে তেমন কোনো সুযোগই পায়নি নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৫ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে মেলবোর্নের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান। ফাইনালে উঠে এখন শিরোপা ভিন্ন আর কিছুই ভাবছে না পাকিস্তান।
সেই ম্যাচের জন্য নিজেদের সেরাটা জমিয়ে রেখেছেন জানিয়ে হেইডেন বলেছেন, ‘এই রাতটা বিশেষ কিছু। আমাদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণ দারুণ কাজ করেছে। আমি মনে করি না, আমরা নিজেদের সেরাটা এখনো দেখেছি। যেটা সম্ভবত সেই ভয়ংকর রূপ, যা ফাইনালে যারা আমাদের মুখোমুখি হবে তাদের জন্য। মেলবোর্নের উইকেট ভালো এবং ব্যাটিং সহায়ক হতে পারে। স্বপ্নটা এখন আকাশছোঁয়া। দারুণ কোনো কিছুকে কখনোই দমিয়ে রাখা যায় না। এই দুজন (বাবর-রিজওয়ান) কয়েক বছর ধরে এটা করে আসছে।’
দলের খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসিয়ে হেইডেন আরও বলেন, ‘হারিস নেটে সব বোলারকে পিটিয়েছে। বোলারদের এই উইকেটে মানিয়ে নিতে হয়েছে এবং মন্থর বোলিং করতে হয়েছে। তারা বেশ ভালো করেছে। হারিস রউফ ধারাবাহিকভাবে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করেছে। শাদাব একজন দারুণ লড়াকু খেলোয়াড়। নিজেদের দিনে তারা অপ্রতিরোধ্য।’
এ সময় ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে কাকে চান, তা–ও জানিয়ে দিলেন হেইডেন, ‘আমি ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলতে চাই। কারণ, অনেক বেশি দর্শকের উপস্থিতি। সেটা অকল্পনীয় ব্যাপার হবে।’