ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
এনামুলের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর সাতে সাত, মাহিদুলের টানা পঞ্চম ফিফটি
এনামুল হকের সেঞ্চুরিতে গাজী গ্রুপকে হারিয়ে টানা সপ্তম জয় পেয়েছে আবাহনী। মোহামেডান পেয়েছে ষষ্ঠ জয়, দলটির উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম পেয়েছেন টানা পঞ্চম ফিফটি।
আবাহনীর সাতে সাত
রান করতেই যেন ভুলে গিয়েছিলেন এনামুল হক (বিজয়)। বিপিএল, জাতীয় দল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ মিলিয়ে সর্বশেষ ৯ ইনিংসে এই ওপেনারের সর্বোচ্চ ছিল ৩৫। সেই এনামুল অবশেষে রানে ফিরলেন। আজ বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ১০৭ রান করেছেন আবাহনীর ব্যাটসম্যান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তাঁর ১৯তম সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে জিতেছে আবাহনী। এবারের লিগে সাত ম্যাচ খেলে সাতটিতেই জিতল আবাহনী। অন্যদিকে সমান ম্যাচে গাজী গ্রুপের এটি তৃতীয় হার।
গাজী গ্রুপ ৪৪.৪ ওভারে অলআউট হয় ২০৪ রানে। রানটা ৩৯.২ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় আবাহনী। ১১৮ বলের ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৭ রানে অপরাজিত ছিলেন এনামুল। সেঞ্চুরি করার পথে ৭৪ রানের মাথায় লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ২০৩ ম্যাচ খেলা ব্যাটসম্যান। আবাহনীর ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান জাকের আলীর।
গাজী গ্রুপের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬০ রান দলটির অধিনায়ক মেহেদী মারুফের। ছয়ে নেমে ২৪ বলে ৪১ রান করেন হাবিবুর রহমান। আবাহনীর চার বোলার নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী গ্রুপ: ৪৪.৪ ওভারে ২০৪ (মারুফ ৬০, হাবিবুর ৪১; সাইফউদ্দিন ২/২৪, তাসকিন ২/২৮, তানভীর ২/৪২, তানজিম ২/৫১)।
আবাহনী: ৩৯.২ ওভারে ২০৭/৩ (এনামুল ১০৭*, জাকের ৫৮, মঈন ১/২১)।
ফল: আবাহনী ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এনামুল হক বিজয়।
মাহিদুলের টানা পাঁচ ফিফটি, মোহামেডানের ষষ্ঠ জয়
৬৭, ৫, ৯৪, ৭০*, ৫৯, ৭৮, ৭০—এবারের লিগে মাহিদুল ইসলামের ইনিংস। মোহামেডানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান আজ ফতুল্লায় পেলেন টানা পঞ্চম ফিফটি। জিতেছে তাঁর দলও। ২০০ রান করেও শেখ জামাল ধানমন্ডিকে ৫ রানে হারিয়ে ষষ্ঠ জয় পেয়েছে মোহামেডান।
মোহামেডান ৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসা মাহিদুল ১০৪ বলে করেন ৭০ রান। শেষ দিকে পেসার আবু হায়দারের আরেকটি ঝোড়ো ইনিংসেই (৩৬ বলে ৪৫ রান) দুই শ ছোঁয় মোহামেডান।
রান তাড়ায় শেখ জামাল ওপেনার সাইফ হাসান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেও জেতাতে পারেননি দলকে। ১৭৯ রানে ৮ উইকেট হারানো শেখ জামালের শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৪ রান। মোহামেডান পেসার কামরুল ইসলামের ওভারের প্রথম বলে রিপন মণ্ডল ১ রান দিয়ে সাইফকে স্ট্রাইক দেন। তবে পঞ্চম বলে মারা একটি চারসহ সাইফ শেষ ৫ বলে নিতে পারেন ৭ রান। ১২০ বলে ৮৪ রান করেছেন সাইফ। এবারের লিগে সাত ম্যাচে শেখ জামালের এটি দ্বিতীয় হার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মোহামেডান: ৪৮.৪ ওভারে ২০০ (মাহিদুল ৭০, হায়দার ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ২৮; তাইবুর ৩/১৯, শফিকুল ২/৩৫, রিপন ২/৫০)।
শেখ জামাল ধানমন্ডি: ৫০ ওভারে ১৯৫/৮ (সাইফ ৮৪*, জিয়া ৩৯; আসিফ ২/২৩, নাসুম ২/২৯, কামরুল ২/৪২)।
ফল: মোহামেডান ৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মাহিদুল ইসলাম।
আবারও তিনে তামিম, প্রাইম ব্যাংকের সহজ জয়
যানজটে পড়ে মাঠে যেতে দেরি হওয়ায় ১৪ মার্চ বিকেএসপিতে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে পারেননি প্রাইম ব্যাংকের তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ১৬ দিন পর আবারও তিনে ব্যাটিং করলেন আজ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে। এবারের কারণ যানজট নয়, ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠের বাইরে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় কাটানোয় ব্যাটিং উদ্বোধন করার অনুমতি পাননি তামিম। তিনে নেমেই দলের জয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখলেন তামিম। ৪০ বলে ৩৫ রান করেছেন এই বাঁহাতি।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৪৩.৩ ওভারে অলআউট হয় ১৬৫ রানে। সর্বোচ্চ ৫৫ রান আমিনুল ইসলামের। মোহামেডানের বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম ৪৪ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ১৬৬ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ৩৪.৫ ওভার খেলা প্রাইম ব্যাংক হারায় ৫ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৩.৩ ওভারে ১৬৫ (আমিনুল ৫৫; নাজমুল ৫/৪৪, অলক ২/১১, রুবেল ২/২০)।
প্রাইম ব্যাংক: ৩৪.৫ ওভারে ১৬৭/৫ (তামিম ৩৫, সাব্বির ২৮, নাঈম ২৮*; শহীদুল ২/৪২)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাজমুল ইসলাম।