শ্রীলঙ্কার বিভীষিকার ৫৫, শামির রেকর্ড ৪৫
মাস দেড়েক পেরিয়েছে মাত্র। এ সময়ের ব্যবধানে দুবার ভারতের বিপক্ষে দুমড়েমুচড়ে গেল শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং। এশিয়া কাপের ফাইনালে ৫০ রানের পর এবার ৫৫ রানে গুটিয়ে গেছে তারা। ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কার ইনিংসেই তাই দেখা গেছে বেশ কিছু রেকর্ড—
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন স্কোর। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৯৭৫ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৬ রান। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার এ স্কোরের চেয়ে কম রানের স্কোর আছে আর তিনটি (যার মধ্যে সর্বনিম্ন কানাডার ৩৬ রান ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই)। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর, ভারতের বিপক্ষে কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ভারতের বিপক্ষে আগের সর্বনিম্ন স্কোরও তাদের—গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের ফাইনালে ৫০ রান।
বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন স্কোর
বিশ্বকাপে এর আগে এত কম রানে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম বা নবম উইকেট হারায়নি শ্রীলঙ্কা।
একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে টানা দুই ওয়ানডেতে ৬০ বা এর কম রানে এর আগে অলআউট হয়নি কোনো দলই। এশিয়া কাপ ফাইনালের পর ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের সঙ্গে সেটির শিকার শ্রীলঙ্কা।
ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কার ৫ ব্যাটসম্যান কোনো রান না করেই আউট হয়েছেন। বিশ্বকাপে একাধিকবার এক ইনিংসে কোনো দলের কমপক্ষে ৫ জনের শূন্য মারার ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয়। ২০০৩ সালে ভারতের বিপক্ষে ২৯৩ রানের লক্ষ্যে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল তারা, ৫ জন মেরেছিলেন ডাক। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের কমপক্ষে ৫ জন আউট হয়েছিলেন কোনো রান না করেই। সব মিলিয়ে এক ইনিংসে ৫ ব্যাটসম্যানের ডাক মারার ঘটনা এটি বিশ্বকাপে অষ্টম।
৫ উইকেট নেওয়ার পথে ভারতের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়ে গেছেন মোহাম্মদ শামি। মাত্র ১৪ ইনিংসেই ৪৫ উইকেট নিলেন তিনি। ছাড়িয়ে গেলেন জহির খান (২৩ ইনিংস) ও জাভাগাল শ্রীনাথের (৩৩ ইনিংস) ৪৪ উইকেটের রেকর্ড।
এ নিয়ে বিশ্বকাপে ৭ বার কমপক্ষে ৪ উইকেট নিলেন শামি। ছাড়িয়ে গেলেন মিচেল স্টার্ককে। আগের ম্যাচেই স্টার্কের ৬ বার ৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ছুঁয়েছিলেন শামি।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বার ৫ উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে মিচেল স্টার্ককে ছুঁয়েছেন শামি। দুবার করে ৫ উইকেট আছে সাত জনের।
বিশ্বকাপে এত কম রানে কমপক্ষে ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা আছে আর ৫টি। বিশ্বকাপে ভারতের এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন আশিস নেহরা।
ভারতের জয়ের ব্যবধান, বিশ্বকাপে রানের হিসাবে যেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ বিশ্বকাপেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩০৯ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে বিশ্বকাপে এর চেয়ে কম ওভারের মধ্যে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড আছে শুধু বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের।