স্বাগত!
পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়ে উজ্জীবিত জিম্বাবুয়ে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ব্রিসবেনের গ্যাবায় মুখোমুখি দুই দল।
প্রথম আলোর লাইভ আপডেটে আপনাকে স্বাগত!
টস
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
মিরাজের জায়গায় ইয়াসির
আগের ম্যাচে ইয়াসির আলীর জায়গায় খেলানো হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজকে। এবার মিরাজের জায়গাতেই ফিরলেন ইয়াসির। বাংলাদেশ দলে আছে একটিই পরিবর্তন।
বাংলাদেশ একাদশ
সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
জঙ্গুয়ের জায়গায় চাতারা
জিম্বাবুয়ে দলেও আছে একটি পরিবর্তন। টেন্ডাই চাতারাকে জায়গা করে দিয়েছেন লুক জঙ্গুয়ে।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
ওয়েসলি মাধেভেরে, ক্রেইগ আরভিন, মিল্টন শুম্বা, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, রেজিস চাকাভা, রায়ান বার্ল, টেন্ডাই চাতারা, ব্র্যাড ইভান্স, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।
অস্ট্রেলিয়ার ডায়েরি
ব্রিসবেনে এলে নাকি গোল্ডকোস্টে যেতে হয়। না গেলে ব্রিসবেনে আসাই বৃথা।
অস্ট্রেলিয়ার প্রায় প্রতিটি শহরে গেলেই একটা না একটা বিশেষ দ্রষ্টব্যের হাতছানি থাকে। হোবার্টে গিয়ে যেমন মাউন্ট ওয়েলিংটনে উঠেছি, যদিও মেঘের দিনে মেঘের রাজ্যে উঠে নিচে তাকিয়েও শুধু মেঘই দেখা গেছে। সিডনি গেলে ছবি তুলতে হয় সিডনি অপেরা আর হারবার ব্রিজ পেছনে রেখে। ব্রিসবেনের জন্যও গোল্ডকোস্ট তেমনই এক জায়গা।
পড়ুন তারেক মাহমুদের লেখা
দ্বিতীয় ওভারেই নেই সৌম্য
ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরে বলে শেষ মুহূর্তে ব্যাটের ফেস ওপেন করেছিলেন সৌম্য সরকার। ধরা পড়েছেন তাতেই। উইকেটের পেছনে ভুল করেননি টেন্ডাই চাতারা। ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে রিচার্ড এনগারাভাকে ক্লিপ করে চার মেরেছেন নাজমুল হোসেন। তবে প্রথম ওভারে ৫ রানের বেশি আসেনি।
তিনটি ম্যাচ আজ
লিটনের দুই চার
নেমেই পয়েন্ট দিয়ে মুজারাবানিকে দারুণ টাইমিংয়ে একটি চার মেরেছিলে লিটন। এক ওভার পর টেন্ডাই চাতারাকে কাভার দিয়ে মেরেছেন আরেকটি। দুটিতেই গতি ও বাউন্স কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে। ৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৪/১।
অস্বস্তিতে নাজমুল
রান নিতে গিয়ে খোঁড়াচ্ছিলেন নাজমুল। ফিজিওর দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁকে। দেখে মনে হয়েছে, হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগেছে তাঁর।
লিটনের ‘আত্মহত্যা’
টাইমিং হচ্ছিল দারুণ, ১ বল আগেই কাট করে মারা শটে পেয়েছিলেন চার। তবে লিটন অফ স্টাম্পের বাইরে সরে গিয়ে মুজারাবানিকে করতে গেলেন স্কুপ। টপ-এজড হয়েছেন তাতেই, বল আদতে লেগেছে ব্যাটের উল্টো দিকে। লিটন ধরা পড়েছেন শর্ট থার্ডম্যানে।
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, ৩২ রানে।
পাওয়ারপ্লেতে ৩২/২
২০০৬ সালে খুলনায় বাংলাদশের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান, জিম্বাবুয়ে দলে ছিলেন শন উইলিয়ামস। ১৬ বছর পরও খেলছেন দুজন। গ্যাবায় মুখোমুখি তাঁরা।
লিটন ফেরার পর ক্রিজে এসেছেন সাকিব। ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। সাকিবের সামনে বড় দায়িত্বই।
রাজার সামনে সাকিব
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপটা সাকিবের কেটেছিল স্বপ্নের মতো। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি সিকান্দার রাজার জন্যও যাচ্ছে অমনই। এখন পর্যন্ত ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনবার। জিম্বাবুয়ের সেমিফাইনাল স্বপ্ন যে এখন বেশ উজ্জ্বল, তাতে অনেক বড় অবদান এ অলরাউন্ডারের। সপ্তম ওভারে দুই বাঁহাতির সামনে এসেছেন রাজা। এমনিতে তিনি অফ স্পিনার, তবে বেশ বৈচিত্র আনতে পারেন।
রাজার ওভারের প্রথম ৫ বলে এসেছিল ৫টি সিঙ্গেল। শেষ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের দিকে খেলেছিলেন সাকিব। বলের পেছনে গিয়েছিলেন দুজন—মিল্টন শুম্বা ও রিচার্ড এনগারাভা। শুম্বা বাউন্ডারির আগে রাখার চেষ্টা করেছিলেন, তবে বল গিয়ে বাউন্ডারি কুশনে লেগেছে ঠিকই। এনগারাভার সঙ্গে সংঘর্ষটা আরেকটু হলেই হয়ে যেত তাঁর!
বাংলাদেশের ৫০
ব্র্যাড ইভান্সকে পুল করে নিজের তৃতীয় বাউন্ডারিটি মেরেছেন নাজমুল। ওই শটেই বাংলাদেশের স্কোর ছুঁয়েছে ৫০। ৮ ওভার শেষে ৫২/২, সাকিবের সঙ্গে নাজমুলের জুটিতে উঠেছে ২০ রান।
১০ ওভার শেষে…
দুই বাঁহাতির সামনে ওয়েসলি মাধেভেরেকে এনেছেন ক্রেইগ আরভিন। বিশ্বকাপে মাধেভেরের এটি দ্বিতীয় ওভার, এর আগে ১ ওভার করেছিলেন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এ অফ স্পিনারের প্রথম ওভারে এসেছে ৭ রান।
ইভান্সের করা পরের ওভারে অবশ্য ৪ রানের বেশি আসেনি।
১০ ওভারে ৬৩/২। সাকিব ও নাজমুলের জুটি অবিচ্ছিন ৩১ রানে।
সাকিবকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন উইলিয়ামস
রানিং বিটুইন দ্য উইকেট এতক্ষণ বেশ ভালোই ছিল সাকিব ও নাজমুলের, ১২তম ওভারের শেষ বলে গড়বড় হয়ে গেল তাতে। টেন্ডাই চাতারার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে খেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন। তবে সাকিব আটকে গিয়েছিলেন মাঝপথেই। রেজিস চাকাভা সরাসরি স্টাম্প ভাঙার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।
তবে সাকিব বাঁচেননি বেশিক্ষণ। পরের ওভারে বাঁহাতি স্পিনার শন উইলিয়ামসকে এনেছেন আরভিন, খানিকটা জুয়াই খেলেছেন। কাজেও লেগে গেছে তা। তুলে মারতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলেছিলেন সাকিব, মিডঅনে ধরা পড়ে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দীর্ঘতম ক্যারিয়ারের মালিক যৌথভাবে দুজন, আজ একজনের বলে ফিরলেন আরেকজ।
ফিল্ডিংয়ে এলোমেলো সময় কাটানো জিম্বাবুয়ে পেয়ে গেছে দারুণ একটি ব্রেকথ্রু, ভেঙেছে নাজমুলের সঙ্গে সাকিবের ৫৪ রানের জুটি।
নাজমুলের ফিফটি
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেন নাজমুল হোসেন। রাজার বলে মিডউইকেটে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেছেন এ বাঁহাতি, লেগেছে ৪৫ বল।
৬ ওভার বাকি থাকতে স্কোর ৯৫/৩।
ফিরলেন নাজমুল
ইনিংসের প্রথম ছক্কা, এরপর ওভারে আরও দুটি চার—ইভান্সের ওভারে নাজমুলের এমন ব্যাটিংয়ের পর উঠেছিল ১৭ রান। পরের রাজাকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি, টাইমিং করতে পারেননি ঠিকঠাক। ৫৫ বলে ৭১ রান করে ফিরেছেন, আফিফের সঙ্গে জুটিতে উঠেছে ২১ বলে ৩৬ রান।
আবার পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ
ইভান্সের করা ১৬তম ওভারে উঠেছিল ১৭ রান। তবে পরের ২ ওভারে এসেছে মাত্র ১১ রান, বাউন্ডারি হয়নি কোনো।
জীবন পাওয়া আফিফের ছক্কা
ফুলটস, তাতে ক্যাচ গেল মিডউইকেটের দিকে, এবং সহজ ক্যাচটি ফেলে দিলেন ফিল্ডার। ‘বাজে ক্রিকেট’-এর প্রদর্শনী দেখা গেল সিকান্দার রাজার করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে। ব্যাটসম্যান ছিলেন আফিফ হোসেন, ক্যাচ ফেলেছেন ব্র্যাড ইভান্স।
পঞ্চম বলে আফিফের স্লগ সুইপ বাউন্ডারি পার হয়েছে, পেয়েছেন ৬ রান। ১৯তম ওভারে উঠেছে ১২ রান। ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন আজ রাজা।
১৫০ রানে আটকে গেল বাংলাদেশ
ক্যাচ তুলেছিলেন আফিফ হোসেন, অথচ রানআউট হলেন নুরুল হাসান। শন উইলিয়ামস মিড অনে সহজ ক্যাচ ফেললেও করেছেন ভালো থ্রো। রিচার্ড এনগারাভার শেষ বলে গিয়ে এলবিডব্লু হয়েছেন আফিফ। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ।
শেষ ৪ ওভারে উঠেছে মাত্র ৩০ রান। এ সময়ে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৪টি উইকেট। যদিও ফিল্ডিংয়ে প্রায় পুরো ইনিংসেই এলোমেলো ছিল জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ নিতে পারেনি সে সুযোগও।
পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। নাজমুলের সঙ্গে সাকিবের জুটিতে ইনিংস পুনর্গঠনের কাজটি হয়েছিল ভালোই। তবে সে ভিতে দাঁড়িয়ে স্কোর সেভাবে বড় করতে পারেনি বাংলাদেশ।
বাঁহাতি উইলিয়ামসের ওপর চড়াও হতে গিয়ে ফিরেছিলেন সাকিব। এরপর ইভান্সের করা ওভারে উঠেছিল ১৭ রান। তবে বাংলাদেশের ইনিংস গতি পায়নি আর।
মাত্র ২ ওভার করেছেন ব্লেসিং মুজারাবানি।
আবার প্রথম ওভারে আঘাত তাসকিনের
নেদারল্যান্ডস। দক্ষিণ আফ্রিকা। জিম্বাবুয়ে।
তিন ম্যাচেই প্রথম ওভারে উইকেট এনে দিলেন তাসকিন আহমেদ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে করেছিলেন জোড়া আঘাত।
অফ স্টাম্পের বাইরে পেয়ে তুলে মেরেছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে, এর আগে এমন লাইনে পেয়ে মেরেছিলেন চার। তবে এবার লেংথ ছিল শর্ট, তাতেই উঠেছে ক্যাচ। ডিপ থার্ডম্যানে সেটি নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৫০ রানের শুরু নিয়ে আশাজাগানিয়া শুরু বাংলাদেশের। প্রথম ওভারে উঠেছে ৫ রান।
জয়ের সম্ভাবনা
আবার আঘাত তাসকিনের
আবার তাসকিন, আবার উইকেট। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন ক্রেইগ আরভিন। বাংলাদেশ সহঅধিনায়ক নুরুল হাসানের হাতে ধরা পড়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। আরভিন ফিরেছেন ৮ রানে, ১৭ রানে জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে দ্বিতীয় উইকেট।
সাকিবের দারুণ ক্যাচ, ফিরলেন শুম্বা
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভার। মোস্তাফিজকে সোজা ব্যাটে তুলে মেরেছিলেন মিল্টন শুম্বা। মিড অফ থেকে ছুটে গিয়ে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে তৃতীয় উইকেট।
অন্যপ্রান্তে তাসকিনকে সরিয়ে মোসাদ্দেক হোসেনকে এনেছিলেন সাকিব। শেষ ২ বলে ২টি চার মেরেছিলেন শন উইলিয়ামস।
এবং... ক্রিজে সিকান্দার রাজা। জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৫ রান।
সিকান্দার রাজা: ০
আফিফ হোসেনের উদ্যাপনই বলে দিচ্ছিল সব। শর্ট মিডউইকেটে তিনি নিয়েছেন সিকান্দার রাজার ক্যাচ!
মোস্তাফিজের শর্ট লেংথের বলে তুলে মারতে গিয়ে মিসটাইমিং হয়েছে রাজার। স্বপ্নের ফর্মে থাকা জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান ফিরলেন কোনো রান না করেই।
৪ বলের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট নিলেন মোস্তাফিজ। ৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান জিম্বাবুয়ের।
জিম্বাবুয়ের ৫০
সাকিবকে সুইপ করে চার মেরেছেন উইলিয়ামস, নবম ওভারে ৫০ পেরিয়েছে জিম্বাবুয়ে। অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়লেও ইতিবাচকই আছেন উইলিয়ামস। নিশ্চিতভাবেই জুটি প্রয়োজন তাদের। ৯ ওভারে উঠেছে ৫৫ রান, ৪ উইকেটে।
(প্রায়) উড়ন্ত সাকিব
১০ ওভার শেষে
বাংলাদেশ ১০ ওভার শেষে ৬৩/২।
জিম্বাবুয়ে ১০ ওভার শেষে ৬৪/৪।
আবার তাসকিনের আঘাত
১২তম ওভারে তাসকিন ফিরলেন। ফিরেই ভাঙলেন জুটি।
আবার অফ স্টাম্পের বাইরে বল, এবার ব্যাট ছুঁড়েছিলেন রেজিস চাকাভা। উইকেটকিপার নুরুলের হাতে ধরা পড়লেন তিনিও, ভাঙল ৩৪ রানের জুটি। গ্যাবায় বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ বাড়ল আরও।
সুপার টুয়েলভ পর্বে তাসকিনের এটি অষ্টম উইকেট।
সুযোগ হারালেন হাসান
আরেকটু ভালোভাবে পজিশনটা ঠিক করতে পারলে ক্যাচটি নিতে পারতেন হাসান মাহমুদ। মোসাদ্দেক হোসেনকে সুইপ করেছিলেন রায়ান বার্ল। ডিপ স্কয়ার লেগে ভুল করে ফেলেছেন হাসান, বল তাঁর হাতে লেগে হয়েছে ছয়। জীবন পাওয়ার সময় বার্লের রান ছিল ৪।
৩০ বলে প্রয়োজন ৫৬ রান
৩৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৬৭ রান। উইলিয়ামসের সঙ্গে বার্ল—জিম্বাবুয়ের শেষ ভরসা বলতে গেলে জুটি। দুই বাঁহাতির সামনেই নিজেকে এনেছেন সাকিব।
প্রথম বলেই সুইপ করে চার মেরেছেন বার্ল। এরপর আর চার হয়নি, তবে সাকিবের ওভারে উঠেছে ১১ রান। শেষ বলে স্টাম্পিংয়ের আবেদন হয়েছিল, উইলিয়ামসের পা অবশ্য ছিল ক্রিজের ভেতরই।
৩০ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ৫৬ রান।
তাসকিন ৩/১৯
৩ ওভার, ৯ রান, ৩ উইকেট। এমন ফিগার নিয়ে শেষ ওভার করতে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ।
প্রথম ৪ বলে উঠেছিল ৫ রান, তবে পঞ্চম বলে ফুলটসে জায়গা বানিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ও শর্ট থার্ডম্যানের গ্যাপ দিয়ে চার মেরেছেন উইলিয়ামস। তাসকিনের শেষ ওভারে উঠেছে ১০ রান।
৪-০-১৯-৩, এমন ফিগার নিয়ে শেষ করলেন তাসকিন।
২৪ বলে ৪৬ রান দরকার জিম্বাবুয়ের।
শেষ করলেন মোস্তাফিজও
১৭তম ওভারে মোস্তাফিজ। ডেথ ওভারে নিজের সবচেয়ে বড় অস্ত্রকে এ ওভারেই এনেছেন সাকিব, যেটি মোস্তাফিজের শেষ ওভার। মোস্তাফিজ প্রায় উইকেট পেয়েও যেতে পারতেন। মিড অফের ওপর দিয়ে খেলেছিলেন উইলিয়ামস, তবে বাউন্ডারি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেননি। মিড অফে থাকা মোসাদ্দেকও যেতে পারেননি বলের কাছে।
শেষ ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন ৬ রান, তিনি বোলিং শেষ করলেন ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে।
এখন পর্যন্ত পাঁচ জন বোলার ব্যবহার করেছেন সাকিব। ১টি করে ওভার বাকি হাসান মাহমুদ, সাকিব ও মোসাদ্দেকের।
১৮ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ৪০ রান।
১২ বলে ২৬ রান
১৮তম ওভারে এসেছেন হাসান মাহমুদ। ওয়াইড করেছেন, ফুলটস করেও বেঁচে গেছেন। ওই ফুলটসে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেছেন উইলিয়ামস, ৩৭ বলে। জিম্বাবুয়েকে অনেক্ষণ ধরে ম্যাচে রাখার মূল ভূমিকাটা পালন করছেন উইলিয়ামসই।
পঞ্চম বলে ব্লকহোল থেকে এক্সট্রা কাভার দিয়ে দারুণ চার মেরেছেন উইলিয়ামস। তাতেই বার্লের সঙ্গে উইলিয়ামসের জুটি ছুঁয়েছে ৫০। শেষ বল ছিল শর্ট, সেটিতে টেনে আরেকটি চার মেরেছেন উইলিয়ামস।
১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ২৬ রান। প্রশ্ন হলো, এ দুটি ওভার করবেন কে?
ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন সাকিব?
মিড অফে খেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন শন উইলিয়ামস। হয়তো পেয়েও যেতেন। তবে নিজের বলে ছুটে গিয়ে বলটা ধরলেন সাকিব, উল্টো ঘুরে পড়ে যাওয়ার আগে করলেন থ্রো। তাতেই সরাসরি ভাঙল স্টাম্প। ফিরে গেলেন উইলিয়ামস, ৪২ বলে ৬৪ রান করে।
সাকিবের ওভারে উঠেছে ১০ রান। ৬ বলে প্রয়োজন ১৬ রান।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ১৬ রান। সামনে একজন স্পিনার (মোসাদ্দেক)। এমসিজির স্মৃতি?
দ্বিতীয় বলে উইকেট
স্লগ করেছিলেন ব্র্যাড ইভান্স। তবে গ্যাবার বিশাল পকেটে আটকে গেছেন। আফিফ হোসেন ভুল করেননি। এর আগে নন স্ট্রাইক প্রান্তে ব্যাটসম্যান আগে বেরিয়ে যাওয়াতে আটকে গিয়েছিলেন মোসাদ্দেক।
৪ ওভারে প্রয়োজন ১৫ রান।
ছয়ের পর আউট
তৃতীয় বলে লেগবাইয়ে চার। পরের বলে ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে কীভাবে ছয় হলো, সেটি হয়তো নিজেও জানেন না রিচার্ড এনগারাভা! ব্যাট ঘুরিয়েছিলেন, ব্যাটে-বলে হয়েছে দারুণ! পরের বলে ক্রিজ ছেড়ে এসে খেলতে গিয়েছিলেন, তবে অফ স্টাম্পের বাইরের বল মিস করে হয়েছেন স্টাম্পিং।
শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। স্ট্রাইকে ব্লেসিং মুজারাবানি। ব্যাট চালিয়েছিলেন, তবে লাগাতে পারেননি। ৪ রানে জিতেছে বাংলাদেশ, সেমিফাইনালের স্বপ্নও তাতে টিকিয়ে রেখেছে সাকিব আল হাসানের দল।
নাটক!
শেষ বলে উইকেটের সামনে বল ধরেছিলেন নুরুল হাসান। স্টাম্পিংয়ের বদলে টেলিভিশন আম্পায়ার দিয়েছেন নো বল। করমর্দন করছিলেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। আবার মাঠে নামতে হয়েছে তাঁদের।
শেষ বলে প্রয়োজন এখন ৪ রান।
৩ রানে জিতল বাংলাদেশ
এবার আর নো বল নয়!
নুরুল হাসান অপেক্ষা করে থাকলেন কিছুক্ষণ। এরপর ভাঙলেন স্টাম্প। মোসাদ্দেকের হোসেনের বলে আবার ব্যাট চালিয়েছিলেন মুজারাবানি, তবে মিস করে গেছেন আবারও। দ্বিতীয় দফা জয়ের উদ্যাপন করেছে বাংলাদেশ।
৪ রানে নয়, বাংলাদেশ জিতল ৩ রানে।