সবাইকে ছাপিয়ে বাবর-কোহলির পরই লিটন-তামিম

লিটন দাসকে তাহলে আপাতত ছোঁয়া হচ্ছে না তামিম ইকবালের। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪৪৫ রান করেছেন লিটন। লিটনের চেয়ে ৩ রান পিছিয়ে তামিম। চোটের কারণে এশিয়া কাপে খেলতে পারবেন না বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক। এই সুযোগে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারেন লিটন।

দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেও, এ সময়ে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যান লিটন নন। ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে এমন দলগুলোর মধ্যে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের মালিক পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তারপরই ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলি। তারপর যথাক্রমে বাংলাদেশের লিটন ও তামিম। যৌথভাবে শীর্ষ পাঁচে আছেন দুই ভারতীয় শ্রেয়াস আইয়ার ও শুবমান গিল।

আরও পড়ুন

২০১৯ বিশ্বকাপের পর এই সময়ে বড় এক অংশ সেঞ্চুরি খরায় ভুগেছিলেন কোহলি। তবে এরপরও কোহলির সেঞ্চুরি ছিল ৫ টি। ২০১৯ বিশ্বকাপের পরের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দুটি সেঞ্চুরি পান কোহলি। খরা শুরু হয় তারপরই। ওয়ানডেতে কোহলি পরবর্তী সেঞ্চুরি পান গত বছরের ডিসেম্বরে, বাংলাদেশের বিপক্ষে। বাকি দুটি সেঞ্চুরি কোহলি করেছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এ সময়ে মোট ৩৭ ইনিংসে ৪৬.০৫ গড়ে কোহলির ১৬১২ রান।

২০১৯ বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪৪৫ রান করেছেন লিটন
ছবি: প্রথম আলো

লিটন এ সময়ে সেঞ্চুরি করেছেন ৪টি। তিনটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর একটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর লিটন এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৩৯টি। ৪২.৫০ গড়ে রান করেছেন ১৪৪৫ । তামিমের সেঞ্চুরি আরও একটি কম। ৪০ ইনিংসে ৪০.০৫ গড়ে তামিম রান করেছেন ১৪৪২। আইয়ার ও গিলের রান সমান ১৪২১। তবে আইয়ারের(৩৩) থেকে ৮ ম্যাচ কম খেলেছেন গিল। ৪ সেঞ্চুরি করা গিলের গড় ৬৭.৬৬। আর আইয়ার এ সময়ে রান তুলেছেন ৪৭.৩৬ গড়ে।

আরও পড়ুন

তবে সবাইকে ছাপিয়ে এ সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর। পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাট থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে রান এসেছে ১৮৭৬। সেঞ্চুরিও সবচেয়ে বেশি—৮টি। গিল ছাড়া শীর্ষ পাঁচে থাকা সবার চেয়ে কম ইনিংস খেলেছেন বাবর। মাত্র ২৮ ইনিংসেই ১৮৭৬ রান করেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান।

ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার মাস দুয়েক আগে এই পরিসংখ্যান দেখে কিছুটা চিন্তিত হতেই পারে উপমহাদেশের বাইরের দলগুলো। কারণ, শীর্ষে পাঁচে এশিয়ার বাইরের কোনো ব্যাটসম্যান নেই। অবশ্য এ সময়ে বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন একজন অস্ট্রেলিয়ান— অ্যাডাম জাম্পা। এই লেগ স্পিনার ৩১ ইনিংসে নিয়েছেন ৬৬ উইকেট। এরপরে যিনি সেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও লেগ স্পিনার। ৩৮ ইনিংসে ৫৮ উইকেট নিয়েছেন।

২০১৯ বিশ্বকাপের পর ৪০ ইনিংসে মিরাজের উইকেট ৫৩ টি
ছবি: শামসুল হক

এরপরই বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪০ ইনিংসে মিরাজের উইকেট ৫৩ টি। উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা একমাত্র পেসার ভারতের শার্দুল ঠাকুর। তিনি নিয়েছেন ৩৩ ইনিংসে ৫২ উইকেট। তালিকার পাঁচেও আছেন একজন ভারতীয়—কুলদীপ যাদব। কবজির এই স্পিনারের শিকার ৩৩ ইনিংসে ৪৮ উইকেট।

২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডেতে দাপট দেখানো এসব ক্রিকেটাররা ভারতে বিশ্বকাপে কেমন করেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন