৬৫১ দিন টেস্টে ফিফটি নেই বাবরের, দুর্দশা কাটবে কবে
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট উঁচিয়ে ধরতে বাবর আজম বোধ হয় ভুলেই গেছেন! এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে সর্বশেষ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এরপর তো সময় কম হয়নি। দিনের হিসাবে ৬৫১ দিন।
কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সুযোগ এসেছিল। সেই সুযোগটাও কাজে লাগাতে পারেননি। মুলতানের ব্যাটিং–স্বর্গে দিনের একেবারে শেষ দিকে ক্রিস ওকসের বলে আউট হয়েছেন ৩০ রান করে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাবরের খেলা শেষ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংসটি ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। করাচিতে করেছিলেন ১৬১ রান। এরপর যে কী হলো! সেই ইনিংসের পর এই সংস্করণে বাবর খেলেছেন ১৭ ইনিংস।
যেখানে তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস ৪১ রানের, অস্ট্রেলিয়া সফরে। এই ১৭ ইনিংসে বাবরের গড় মাত্র ২১.২৩। টেস্ট ক্যারিয়ারে এত দীর্ঘ সময়ে কখনোই ব্যাট না উঁচিয়ে থাকেননি বাবর। এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে টানা ৭ ইনিংসে ফিফটি পাননি। কোথায় ৭ ইনিংস, কোথায় ১৭!
ফিফটির খরায় ভোগা বাবর অবশ্য এই খারাপ সময়েও বেশির ভাগ ম্যাচেই ভালো শুরু পেয়েছেন। এই ১৭ ইনিংসের মধ্যে ১২ ইনিংসেই ২০ রানের বেশি করেছেন বাবর। অর্থাৎ তিনি শুরুটা পাচ্ছেন। তবে সেটা ধরতে রাখতে পারছেন না। তবে এমন খারাপ সময় কাটানোর পরও টেস্টে বাবরের গড় ৪৪.৩৫। এই বাজে সময়ের আগে টেস্টে বাবরের গড় ছিল প্রায় ৫০।
বাবরের বর্তমান গড়ের যেকোনো ব্যাটসম্যানকেই আসলে নির্দ্বিধায় ভালো বলা যায়। আর তাঁর এমন ভালো গড়ের মূল কারণে ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়টা।
২০১৯ সালের শুরু থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত টেস্টে বাবরের গড় ছিল প্রায় ৬০। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় বাবরের গড় ৫০-এর বেশি—৫২.৫০।
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাবর ব্যাটিং করেছেন ৪৮ গড়ে, শ্রীলঙ্কার মাটিতে তো প্রায় ৭০ আর দেশের মাটিতে বাবর ব্যাটিং করেছেন ৭৫ গড়ে। এই সময়টায় বাবরের দারুণ পারফরম্যান্সের কারণেই মূলত বিরাট কোহলি, জো রুটদের সঙ্গে তাঁর তুলনার কথা উঠেছিল। তবে এখন বোধ হয় সে তুলনাটাই আর আসবে না!
ফর্মে ফেরার জন্য ইংল্যান্ড সিরিজে বাবর আরও সুযোগ পাবেন। তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের পরের টেস্টটিও মুলতানে, শেষ টেস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে। অর্থাৎ আগামী দুই টেস্টেও মোটামুটি ব্যাটিং–স্বর্গেই ব্যাট করবেন বাবর। সুযোগটা শুধু পারলেই হয়!