কোটা সংস্কার আন্দোলন: শিক্ষার্থীদের পাশে আছেন ক্রীড়াঙ্গনের তারকারাও

দুই তরুণ ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয় ও তানজিদ হাসানের মাঝে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।ইনস্টাগ্রাম

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও প্রাণহানির ঘটনায় মর্মাহত ক্রীড়াঙ্গনের তারকারাও। সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চান তাঁরা। এ তালিকায় আছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহিদ হৃদয়, শরীফুল ইসলাম, তানজিদ হাসান, আর্চার রোমান সানাসহ অনেকেই।

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয়। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া হৃদয় গত পরশু তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘সবকিছু থেকে দূরে আছি, তাই অনেক কিছুই দেখা হয়নি….আমার প্রাণের ঢাকা ইউনিভার্সিটি, আর রক্তাক্ত না হোক।’

এরপরই ফেসবুকে এ বিষয়ে পোস্ট দেন পেসার শরীফুল। দুজনেই এ মুহূর্তে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করছেন।

আরও পড়ুন

কোটা সংস্কার আন্দোলনে আর কোনো সহিংসতা দেখতে চান না, এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মুশফিক লিখেছেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে আমি আমার ভাইবোনদের ওপর আর কোনো সহিংসতা দেখতে চাই না। আমার শিক্ষকেরা, যাঁরা অতুলনীয় সাহস দেখিয়ে তাঁদের ছাত্রছাত্রীদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা।’

তাসকিন ও মিরাজ তাঁদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একই ভাষায় লিখেছেন, ‘শিক্ষাই যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তবে শিক্ষার্থীরা হলো হৃৎপিণ্ড। আমি চাই না আর রক্ত ঝরুক, খালি হোক কোনো মায়ের কোল।’

ক্রিকেটারদের মধ্যে আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈমও শিক্ষার্থীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। আফিফ লিখেছেন, ‘দেশটা আমাদের সবার। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী, অশান্তিতে নয়। আমার কোনো ভাইবোনের রক্ত আর না ঝরুক। যৌক্তিকভাবে চলমান সংকট নিরসন হোক।’

নাঈম লিখেছেন, ‘ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের লাল–সবুজের পতাকা আমার ভাইবোনদের রক্তে আর রক্তিম না হোক। যৌক্তিক সমাধানের মাধ্যমে চলমান সংকট নিরসন হোক, তারুণ্য তার প্রাণ ও উদ্যম ফিরে পাক।’

বুধবার রাত সাড়ে নটার পর বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আপনারা জানেন, বড় ভাইয়ের অসুস্থতায় আমার পরিবারের একটা কঠিন সময় যাচ্ছে। আমিও দেশের বাইরেই আছি। তবে দেশে যা হচ্ছে, তা জেনে মনটা আরও অস্থির হয়ে উঠেছে। কোনো রক্তপাত, কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই কোনো সংঘাত নয়, আলোচনায় সমাধান হোক। এই অস্থিরতা দ্রুত কেটে যাক। দেশ ও দেশের মানুষ ভালো থাকুক।’

এর কিছুক্ষণ পর লিটন দাসও একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে পোস্ট দেন, ‘কোথাও কোন রক্তপাত, কোন মৃত্যুই কেউ চায় না। দেশের তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই আর কোন ভাইবোনদের উপর সহিংসতা দেখতে চাই না। চলমান সংকটের যৌক্তিকভাবে সমাধান হোক। দেশটা আমাদের সবার।’

এ ছাড়া আর্চার রোমানা সানাও ফেসবুকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়ে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন।

আরও পড়ুন