ধর্মকে ব্যবহার করে বাজে পারফরম্যান্স ঢাকতে চান রিজওয়ানরা, অভিযোগ শেহজাদের

আহমেদ শেহজাদ (বাঁয়ে) ও মোহাম্মদ রিজওয়ানইনস্টাগ্রাম ও আইসিসি

ধর্মকে ব্যবহার করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো পাকিস্তান ক্রিকেটাররা তাঁদের বাজে পারফরম্যান্সকে ঢাকার চেষ্টা করছেন, এমন অভিযোগ তুলেছেন আহমেদ শেহজাদ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে রিজওয়ানের বলা একটি কথার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। তাতে রিজওয়ান বলেছেন, ‘আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষ দুটি জিনিসের শুভেচ্ছাদূত। যদি সে মুসলিম হয়ে থাকে, তাহলে বিশ্বের যেখানেই যাক না কেন, সে ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে। দ্বিতীয়ত, সে পাকিস্তানের শুভেচ্ছাদূত। লোকে কী বলল, আমাদের তাতে কিছু যায় আসে না।’

রিজওয়ান অবশ্য এটাও বলেন, যে সমালোচনা হচ্ছে—সেটি তাঁদের প্রাপ্য। কেউ সমালোচনা সহ্য করতে না পারলে, সামনে সফল হতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ২০২২ সালের রানার্সআপ পাকিস্তান এবার প্রথম পর্ব পেরিয়ে সুপার এইটে যেতে ব্যর্থ হয়।

আরও পড়ুন

তবে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রিজওয়ানের ওই কথার সূত্র ধরে লম্বা একটি পোস্ট দেন শেহজাদ। তিনি বলেন, ‘ধর্মকে ব্যবহার করে এবং অযথা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কয়েকজন খেলোয়াড় বিশ্বকাপে তাদের বাজে পারফরম্যান্স ঢাকতে চাইছে, যেটি সত্যিই হতাশার। যখন তারা মাঠে অভিনয়ের কথা স্বীকার করে, ফিটনেসের ব্যাপারে মিথ্যা বলে, তখন ধর্ম কোথায় থাকে? ধর্ম কি অন্যদের ধোঁকা দিতে এবং মাঠে মিথ্যা বলতে শেখায়?’

বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে রিজওয়ান
এএফপি

যাঁরা প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি, তাঁদের দল থেকে বাদ দেওয়ার কথাও বলেন শেহজাদ, ‘তোমাকে মাঠে পারফর্ম করতে টাকা দেওয়া হয় আর তুমি দলের মধ্যে দলাদলিতে অংশ নাও। ধর্ম আমাদের দায়িত্ব পালনের শিক্ষা দেয়, আমাদের ভোগান্তি নিয়ে মিথ্যা বলা শেখায় না। এসব খেলোয়াড়ের কয়েকজন মুখপাত্র চায় তাদের আরেকটি সুযোগ দেওয়া হোক। কিন্তু কেন? এটা পাকিস্তান দল, তাদের ঘরের দল নয়, যেখানে খেলবে। আরেকটি সুযোগ চাইলে তারা নিজেদের একটা দল বানিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে পারে। কিন্তু পাকিস্তান দলে নয়।’

আরও পড়ুন

বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর ‘সার্জারি’ বা অস্ত্রোপচারের কথা উল্লেখ করেছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। সে প্রসঙ্গে শেহজাদের বক্তব্য, ‘যে বড় সার্জারির প্রতিজ্ঞা পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি করেছেন, সেটি আমরা তাঁকে ভুলতে দেব না। পাকিস্তান দলের কয়েকজন খেলোয়াড় এখন চেয়ারম্যানের ওই কথা নিয়ে হাসাহাসিও করছে। কারণ, তাদের কিছু যায় আসে না। তবে আমরা নিশ্চিত করব, যাতে সমর্থকেরা এর উত্তর পায়, এসব খেলোয়াড়ের বিপক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আমরা একটা অবস্থান নিয়েছি এবং সরে আসব না, যতক্ষণ না পাকিস্তান দল সঠিক পথে ফিরে আসে।’

২০১৯ সালে পাকিস্তান জাতীয় দলে সর্বশেষ খেলা শেহজাদকে ফেরানোর ব্যাপারে মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা আওয়াজ উঠেছিল। তবে সর্বশেষ পিএসএলেও দল পাননি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করা এ ব্যাটসম্যান। এরপর পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ থেকে অবসরও নেন তিনি।