শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন মুশফিক
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মুশফিকুর রহিমকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। গতকাল ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে পাওয়া আঙুলের চোটে ছিটকে গেছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। বিসিবি জানিয়েছে, মুশফিকের জায়গায় কাকে নেওয়া হবে, সেটি দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।
চট্টগ্রামে ৪ উইকেটে জেতা ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের বল ধরতে গিয়ে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে চোট পান মুশফিক। সে সময় ফিজিওর শরণাপন্ন হতে হয়েছিল তাঁকে। ব্যথা যে বেশ ভালোই পেয়েছেন, তা চোখেমুখেই স্পষ্ট ছিল। অবশ্য ম্যাজিক স্প্রের পর টেপ পেঁচিয়ে কিপিং চালিয়ে যান। পরে ব্যাটিংয়েও দলের জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ৩৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন, সপ্তম উইকেটে রিশাদ হোসেনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৫৯ রানের জুটিরও অংশ ছিলেন।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মুশফিকের ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম জানান, ম্যাচের পর ঢাকায় এক্স-রেতে মুশফিকের আঙুলের হাড়ের জোড়ায় চিড় ধরা পড়েছে। এ চোটের কারণে তিন-চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে মুশফিককে। এর ফলে ২২ মার্চ শুরু টেস্ট সিরিজে তাঁকে পাওয়া যাবে না।
গতকাল শেষ ওয়ানডের পরপরই মুশফিককে রেখেই টেস্ট দল ঘোষণা করা হয়। অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা দুই পেসার নাহিদ রানা ও মুশফিক হাসানকে ডাকা হয় সেখানে। সিলেটে প্রথম টেস্টের পর ৩০ মার্চ চট্টগ্রামে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া মুশফিক এখন খেলেন শুধু টেস্ট ও ওয়ানডে। তবে তাঁর টেস্ট মিস করা মোটেও নিয়মিত ঘটনা নয়। ২০০৫ সালে অভিষেক হলেও ২০০৮ সালে টেস্ট দলে নিয়মিত হন, এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ৭টি টেস্ট মিস করেছেন তিনি।
সর্বশেষ ২০২২ সালে বাংলাদেশের কোনো টেস্টে ছিলেন না মুশফিক। সেবার হজ করবেন বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান তাঁর, ৮৮ ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৩৮.০৯ গড়ে করেছেন ৫৬৭৬ রান। এ সিরিজে বাংলাদেশ পাচ্ছে না টেস্টে সর্বোচ্চ আরও দুই রানসংগ্রাহক তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকেও। সাকিব বিশ্রামে আছেন, বিশ্বকাপ থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে তামিম।
এমনিতে শ্রীলঙ্কা মুশফিকের অন্যতম প্রিয় প্রতিপক্ষ। ক্যারিয়ার গড় ৩৮.০৯ হলেও লঙ্কানদের বিপক্ষে গড় ৫৩.৮৪। তাদের বিপক্ষেই বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটিও করেছিলেন তিনি।