ওপেনিং নিয়ে হাথুরুসিংহের নতুন চিন্তা
লিটন দাস তো আছেনই। বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে তানজিদ হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৭ ও ৭৪ রানের দুটি ইনিংস। আবার এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস উদ্বোধনে নেমে অপরাজিত ১১২ রান করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
আগামীকাল ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের আগে প্রশ্ন আসতেই পারে—লিটন দাসের সঙ্গে উদ্বোধনে নামবেন কে?
আজ ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও সে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। তাঁর উত্তরটা ছিল এমন, ‘যেটা আপনি বললেন, আমাদের হাতে কিছু বিকল্প আছে। আগামীকাল আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভালো জায়গায় থাকব।’ তবে সিদ্ধান্তটা নির্ভর করবে বাংলাদেশ দলের টসের সিদ্ধান্তের ওপর, সে আভাসও দিয়েছেন প্রধান কোচ, ‘আগে ব্যাট করলে কে নামলে ভালো হবে, আর পরে ব্যাটিং করলে কে, সেটা কালই দেখতে পাবেন।’
এ ছাড়া বাংলাদেশ দলের সমন্বয় কেমন হবে, তা অনেকটাই অনুমেয়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল গত জুলাই মাসেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। একই সফরে ছিল একটি টেস্ট ও দুটি টি-টোয়েন্টিও। কদিন আগে শেষ হওয়া এশিয়া কাপেও আফগানদের বিপক্ষে খেলেছেন সাকিবরা। প্রতিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা আছে বাংলাদেশ দলের। আফগানদের হারাতে কী করণীয়, সেটাও জানা আছে।
তার অনেকটাই অবশ্য নির্ভর করবে উইকেটের ওপর। ধর্মশালার উইকেটের প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহেকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, ‘এক দিনের খেলার জন্য দারুণ উইকেট। দেখে মনে হয়েছে উইকেট যথেষ্ট শক্ত, সুন্দর ঘাস আছে। খুব ভালো স্পোর্টিং উইকেট মনে হয়েছে। বড় রান প্রত্যাশা করছি এখানে। তবে দলের সমন্বয়টা কেমন হবে, সে সিদ্ধান্তটা আমরা কাল সকালে নিতে চাই। সকালে আরও একবার উইকেট দেখতে চাই। কারণ, কিউরেটর বলেছেন, আজ তাঁরা উইকেট নিয়ে আরও কিছু কাজ করবেন।’
তবে উইকেট যেমনই হোক, আফগানদের বিপক্ষে গতি হবে বাংলাদেশের প্রধান অস্ত্র। তবে এ প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু বললেন না হাথুরুসিংহে, ‘উইকেটের ওপর নির্ভর করবে। ম্যাচ কোন দিকে গড়ায়, সেটাও দেখতে হবে। আমাদের বোলিং শক্তি মাথা খাটিয়ে ব্যবহার করতে চাই। আমরা প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশন মাথায় রেখে একটা পরিকল্পনা করে রাখি ঠিকই। কিন্তু বাকিটা অধিনায়কের দায়িত্ব, সে সিদ্ধান্ত নেয় কীভাবে বোলারদের ব্যবহার করতে হবে।’