২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ইংল্যান্ডে জুয়ার প্রতিষ্ঠান, মাদকদ্রব্যের প্রচার করতে হবে না হাসান আলীদের

ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে এবার ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে খেলছেন হাসান আলীছবি : টুইটার

ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা একসময় বিদেশি ক্রিকেটারদের কাছে অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। জহির আব্বাস, ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুসদের মতো পাকিস্তানি রথী-মহারথীরা ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলে নিজেদের আরও ওপরে নিয়ে গেছেন।

এবারও পাকিস্তান থেকে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার কাউন্টি ক্লাবগুলোয় নাম লিখিয়েছেন। হাসান আলী, মোহাম্মদ আব্বাস, আজহার আলী, হায়দার আলী ও সৌদ শাকিলরা খেলছেন কাউন্টি ক্রিকেটে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষে যাওয়ার কথা শাহিন শাহ আফ্রিদি-শাদাব খানেরও।

তবে ক্রিকেট বাণিজ্যিকীকরণের কারণে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের একটা সমস্যায় পড়তে যাচ্ছিলেন। হাসান, আজহারদের অংশ নিতে হতো বিতর্কিত পণ্যের প্রচারে। এর মধ্যে রয়েছে জুয়ার প্রতিষ্ঠান, অ্যালকোহল, সারোগেট (গর্ভ ভাড়া করা) ওয়েবসাইট, শুয়োরের মাংস, এমনকি পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট।

আরও পড়ুন

ইংল্যান্ডে এসব বিজ্ঞাপন স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও ইসলামি অনুশাসন মেনে চলা পাকিস্তানে নিষিদ্ধ। পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরাও ধর্মীয় নিয়মকানুন মেনে চলেন। কিন্তু কাউন্টি ক্লাবগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় বিতর্কিত পণ্যের প্রচারে ‘না’ বলার সুযোগ ছিল না তাঁদের। সেটা করলে আবার নিজ দেশে সমালোচিত হতে হতো।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা আজহার আলী খেলছেন উস্টারশায়ারে
ছবি :টুইটার

সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে কাউন্টি খেলতে যাওয়া পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের এই দোটানা থেকে পরিত্রাণ দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ইসিবি জানিয়েছে, হাসান-আজহারদের জুয়ার প্রতিষ্ঠান, মাদকদ্রব্যের প্রচার করতে হবে না। সূত্রের বরাতে বিষয়টি জানিয়েছে পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল এক্সপ্রেস নিউজ।

ইংল্যান্ডে খেলতে যাওয়া এক ক্রিকেটার সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, কাউন্টি ক্রিকেটে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কোনোরকম আঘাত দেওয়া হয়নি। নিষিদ্ধ পণ্যের প্রচারে কেউ তাঁকে জোরজবরদস্তিও করেননি। রমজানে বরং সুযোগ-সুবিধা আরও বেশি ছিল।

আরও পড়ুন

সম্প্রতি পাকিস্তানে বিতর্কিত পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। সর্বশেষ পিএসএলে একটি গর্ভ ভাড়া করা প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল। তবে বিতর্ক এড়াতে মুলতান সুলতানসের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ফাইনালে ওই প্রতিষ্ঠানের লোগো স্টিকার দিয়ে ঢেকে রেখে খেলেন।