এই বছরও ২০১৯ ফেরানোর স্বপ্ন দেখছেন আর্চার
একের পর এক চোটে প্রায় দুই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটসহ খেলতে পারেননি দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে জফরা আর্চার এখন অনেকটা প্রস্তুত। চোটের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার পথেই আছেন এই পেসার। ২৭ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা আর্চারের। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে উন্মুখ থাকা এই পেসার এ বছরও ২০১৯ সালের মতো সাফল্য পেতে মরিয়া।
২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন আর্চার। সে বছরই ইংল্যান্ডকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন, ছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ২০১৯ সালেই অ্যাশেজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন আর্চার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ টেস্ট খেলে নিয়েছিলেন ২২ উইকেট। এ বছরও ২০১৯ সালের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ আছে। ইংল্যান্ডের এই পেসার দুই জায়গাতেই জ্বলে উঠতে চান। আর্চারের বিশ্বাস, তিনি পুরোপুরি ফিট হয়ে গেলে তাঁকে কোনো কিছুই থামাতে পারবে না।
আর্চার বলেছেন, ‘আশা করছি, এ বছরটাও ২০১৯ সালের মতো হবে। আমরা আবারও একই বছরে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ পেতে যাচ্ছি। পেছনে ফিরে দেখার কোনো কারণই নেই। চোটের সঙ্গে লড়াই শেষে এত দূর এসেছি। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমি ৮০ শতাংশ ফিট। আমি জানি, যখনই আমি পুরোপুর ফিট হয়ে যাব, খুব বেশি কিছু আমাকে থামাতে পারবে না। এটা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।’
এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ-২০–তে এমআই কেপটাউনের হয়ে মাঠে ফিরেছেন। মাঠে নেমেই গতির ঝড় তুলেছেন এই ফাস্ট বোলার। ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৮ উইকেট। প্রায় দুই বছর পর মাঠে ফিরে উচ্ছ্বসিত আর্চার, ‘চোটে পড়ার পর কয়েক সপ্তাহ আগে প্রথমবারের মতো আবার ক্রিকেট খেলেছি, আমার মধ্যে এখনো সেই আবেগের ঢেউ আছে। আশা করছি, আগামী দুই দিনে ফিটনেস আরও একধাপ উপরে নিয়ে যেতে পারব। অনেক দিন পর ক্রিকেটটা খেলে ভালোই লাগছে। শরীরের কথা খুব বেশি চিন্তা করছি না। এই ভাবনা আমার জন্য ইতিবাচক ছিল।’
আর্চার জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন ২০২১ সালের মার্চে ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। লম্বা সময় ধরে কনুইয়ের সমস্যায় ভুগছিলেন আর্চার। এই চোট থেকে মুক্তি পেতে দুবার অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। এরপর তাঁর মাঠে ফেরার পথে বাধা হয়ে আসে পিঠের নিচের অংশের হাড়ে হালকা চিড়, যা তাঁকে ২০২২ সালের পুরো মৌসুম থেকেই ছিটকে দেয়।