রোহিতের চোখের জল বৃথা যেতে দেননি কোহলি
২০০৭ থেকে ২০২২—দেড় দশকে অষ্টমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সব কটি আসরে খেলেছেন, হাতে গোনা এমন কজনের মধ্যে আছেন রোহিত শর্মা। বলতে গেলে, ভারতের সব আনন্দ–বেদনার সাক্ষী তিনি।
তবে রোহিতকে আগের সাত বিশ্বকাপে দেখা গেছে শুধু ব্যাটসম্যানের ভূমিকায়। ২০০৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মহেন্দ্র সিং ধোনি আর ২০২১ সালে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে খেলেছেন তিনি।
ধোনি-যুগ শেষে কোহলি-অধ্যায়টাও পার করে ফেলেছে ভারত। এখন সেই রোহিতেরই জমানা। দলের নেতৃত্ব ভারটা গত বছরই স্থায়ীভাবে পেয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা।
তবে বিশ্বকাপে আজই প্রথমবার রোহিতের অধিনায়কত্বে খেলেছে ভারত। বিশ্ব আসরে তাঁর নেতৃত্বের অভিষেকটা আবার হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে দিয়ে। মঞ্চটাও কত বড়—১ লাখ ধারণক্ষমতার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি)।
এমন দিনে, এমন উপলক্ষে আবেগ ধরে রাখা যায় নাকি? আবেগ সংবরণ করতে পারেননি রোহিতও। জাতীয় সংগীতের শেষলগ্নে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন ভারতের অধিনায়ক। তাঁর মুখের অভিব্যক্তি ভাষায় বোঝানো দুষ্কর। সেই মুহূর্তটা স্রেফ অনুভূতির।
বাংলাদেশের মতো ভারতের জাতীয় সংগীতও লিখেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সংগীতের প্রতিটি কথায় শিহরণ জাগানিয়া অনুভূতি হতে বাধ্য। যেটা হয়েছে রোহিতের ক্ষেত্রেও। তাঁর সেই আবেগতাড়িত মুহূর্ত ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
রোহিত অবশ্য ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেননি। হারিস রউফের বলে স্লিপে ধরা পড়ার আগে করতে পেরেছেন ৪ রান। তবে অধিনায়কের চোখের জল বৃথা যেতে দেননি বিরাট কোহলি। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ৫৩ বলে ৮২ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়ে ভারতকে জিতিয়েছেন কোহলি। শেষ ওভারে পেন্ডুলামের মতো যেভাবে দুলেছে ম্যাচটা, যে স্নায়ুচাপ গেছে খেলোয়াড়দের ওপর দিয়ে, দর্শকেরা যে রোমাঞ্চের সাক্ষী হয়েছেন, তাতে অনায়াসে এই ম্যাচটাকে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচও বলে দেওয়া যায়।