বাবরের বাদ পড়ার সমালোচনা করে দল থেকেই বাদ পড়ার উপক্রম ফখরের

ফখর জামান ও বাবর আজম যখন একসঙ্গে ব্যাটিংয়েএএফপি

পাকিস্তান দলে ফখর জামানের ভূমিকা কিছুটা অন্য রকম। পাকিস্তানের টপ অর্ডার যেখানে সেকেলে ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত, সেখানে ফখর আক্রমণ করেন প্রথম বল থেকেই। দ্রুতগতির রান তোলার দায়িত্ব মূলত তিনিই পালন করেন।

সেই হিসাবে পাকিস্তান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার এই ফখর। তবে অস্ট্রেলিয়া সফরে এই ফখরকে বাদ দিয়েই দল ঘোষণা করতে পারে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ জানিয়েছে এ তথ্য।

আরও পড়ুন

ফখর দল থেকে বাদ পড়তে পারেন দুটি কারণে। হাঁটুর চোটের সঙ্গে তাঁর প্রতিবাদী চরিত্র বাদ পড়ার ক্ষেত্রে নিয়ামক হতে পারে। ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, সম্প্রতি ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি ফখর। তাঁকে ৮ মিনিটে ২ কিলোমিটার দৌড়াতে বলা হয়েছিল, যা তিনি করতে পারেননি।

যদিও এই চোট নিয়ে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন। নির্বাচক আকিব জাভেদ তাঁকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ফিটনেস ইস্যুকে কিছুটা শিথিল করেছেন। তবে সম্প্রতি বাবর আজম ইস্যুতে তাঁর মন্তব্যে শীর্ষ বেশ কয়েকজন বোর্ড কর্মকর্তা অখুশি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টেস্টের দলে বাবরকে রাখা হয়নি। তাঁকে বাদ দেওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বোর্ডের সমালোচনা করেছিলেন ফখর। বাবরকে বাদ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই ফখর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘প্রতিবাদ’ জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘বাবর আজমকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে শুনছি, এটা উদ্বেগজনক। ভারত তো বিরাট কোহলিকে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের খারাপ সময়ের জন্য বেঞ্চে বসায়নি। ওই সময় কোহলির গড় ছিল যথাক্রমে ১৯.৩৩, ২৮.২১ এবং ২৬.৫০।’

পিসিবি ফখরের এই সমালোচনা নিতে পারেনি। তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। অর্থাৎ সমালোচনা করার জন্য পাকিস্তানি এ ওপেনারকে দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নোটিশ। আগামীকালের মধ্যে যার জবাব দিতে হবে তাঁকে। এ ছাড়া কানেকশন ক্যাম্প চলার সময়ে এক পিসিবি পরিচালকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেটিও ভালোভাবে নেয়নি বোর্ড।

আরও পড়ুন

সব মিলিয়ে কয়েক দিন আগে সাদা বলের অধিনায়কত্বের দৌড়ে থাকা ফখরের দলে জায়গাও এখন নিশ্চিত নয়। ওয়ানডেতে অবশ্য ফখরের ফর্ম খারাপ নয়। পাকিস্তান তাদের সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে।

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ফখর
এএফপি

সেই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ফখর। বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলেন ৮১। এই দুই জয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফখরের সময়টা ভালো কাটেনি। বিশ্বকাপে তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ১৩ রানের।

আরও পড়ুন