তামিমের প্রথম ফিফটিতে খুলনারও প্রথম জয়
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শুরুতে বোলিং পরিকল্পনাটা মোটামুটি সবারই জানা থাকে। যেহেতু খুলনার ওপেনার তামিম ইকবাল, একজন অফ স্পিনার এক প্রান্ত থেকে ইনিংসের উদ্বোধন করবেন। কিন্তু আজ রংপুর রাইডার্সের ছিল পাকিস্তান দলের ফাস্ট বোলার হারিস রউফ। চাইলে তামিমের সামনে এই গতি তারকাকেও বোলিংয়ে আনা যেত। কিন্তু চোটে পড়া নুরুল হাসানের পরিবর্তে রংপুরের অধিনায়কত্ব করা শোয়েব মালিক বেছে নেন শেখ মেহেদী হাসানকে।
তামিমের তাতে সমস্যা হয়নি। মেহেদীর করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই জায়গা বানিয়ে ট্রেডমার্ক ‘এক্সট্রা কাভার লফটেড ড্রাইভে’ ছক্কা মারেন তামিম। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ফাঁকা গ্যালারি থেকে তখন ‘উই লাভ তামিম’ লেখা ব্যানার নিয়ে আসা ১০-১২ জন দর্শকের চিৎকার শোনা গিয়েছে। এরপর তামিম আর থামেননি। এবারের বিপিএলের প্রথম ফিফটি করেছেন। তাতে রংপুরের ১২৯ রানের লক্ষ্য ৯ উইকেট হাতে রেখে পার হয়েছে খুলনা। এবারের বিপিএলে খুলনার এটি প্রথম জয়।
চট্টগ্রামের উইকেটে ১২৯ রান বড় রান নয়। তবে দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ নেওয়াজ ও হারিস যোগ দেওয়ায় রংপুরের বোলিং শক্তি বেড়েছে। দুজনকে জায়গা দিতে আগের ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া পেসার রবিউল ইসলামকে বাদ দিতে হয়। তবে রান রেটের চাপ না থাকায় খুলনাকে থামানো যায়নি।
তামিমের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। ওপেনিংয়ে মুনিম শাহরিয়ারের সঙ্গে ৪১ রান যোগ করেন। মুনিম ২১ বলে ২১ রান করে আউট হলেও তিনে নামা মাহমুদুল হাসান আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি। তামিম দ্রুত রান তুলেছেন। আর এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদুল সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন সময় উপযোগী ব্যাটিং করে। ৪২ বল খেলে তিনি ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৭ বলে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৪টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তামিমের ইনিংসে। দুজনের ৮৯ রানের জুটি খুলনাকে ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে।
খুলনার বোলারদেরও কৃতিত্ব দিতে হয়। পাওয়ার প্লে’তে নাহিদুল ইসলাম দারুণ বোলিং করেছেন। বাকি কাজটা করেছেন দুই পাকিস্তানি পেসার আমাদ বাট ও ওয়াহাব রিয়াজ। দুজন মিলে রংপুরের ৭ উইকেট নিয়েছেন। আমাদ ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ওয়াহাব ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছে মেহেদী।