আইপিএলের মেগা নিলাম জেদ্দায়, থাকছেন বাংলাদেশের ১৩ ক্রিকেটার
২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলাম যে ভারতে হচ্ছে না, সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। তবে বিদেশের কোন শহরে আয়োজন করা হবে, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
যদিও সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ অথবা বন্দরনগরী জেদ্দা, ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এমনকি সিঙ্গাপুরের নামও শোনা যাচ্ছিল।
সংশয় কাটিয়ে অবশেষে ভেন্যুর নাম ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে মেগা নিলামের দিনক্ষণও। ২৪ ও ২৫ নভেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় হবে ক্রিকেটার হাঁকডাকের সবচেয়ে বড় এ আয়োজন।
নিলামের জন্য নিবন্ধিত ১ হাজার ৫৮৪ ক্রিকেটারের মধ্যে ১ হাজার ১৬৫ জন ভারতীয়। ৪০৯ জন বিদেশি ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছেন ১৬টি দেশ থেকে। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৩ জন। তবে খেলোয়াড়দের নাম এখনো জানানো হয়নি।
২২ নভেম্বর পার্থে অস্ট্রেলিয়া–ভারতের প্রথম টেস্ট শুরু হবে। এর অর্থ, মেগা নিলাম হবে পার্থ টেস্টের তৃতীয় ও চতুর্থ দিন। নিলাম সামনে রেখে ধরে রাখা খেলোয়াড়ের তালিকা জমা দিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বিসিসিআই। আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে এবার ধরে রেখেছে ৪৬ জন খেলোয়াড়। নিলাম থেকে কেনা যাবে সর্বোচ্চ ২০৪ জন, এর মধ্যে বিদেশি কিনতে হবে ৭০ জন।
আইপিএলের মেগা নিলামে বিদেশি খেলোয়াড়
নিলামের জন্য বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় নাম নিবন্ধন করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে—৯১ জন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড থেকে যথাক্রমে ৭৬ ও ৫২ জন। আইসিসি সহযোগী দেশগুলো থেকে ৩০ জন খেলোয়াড় নাম জমা দিয়েছেন। সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে নেদারল্যান্ডস থেকে সর্বোচ্চ ১২ জন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০, কানাডার ৪, স্কটল্যান্ডের ২ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইতালির ১ জন করে থাকছেন।
সাধারণত প্রতি তিন বা চার বছর পরপর আইপিএলের মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এবার অবশ্য দুই বছর পরই হচ্ছে সেটি। বড় পরিসরের আগের চারটি (২০১১, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২২) নিলাম ভারতেই হয়েছিল। তবে প্রথমবার সৌদিতে হতে চলায় বিসিসিআইয়ের খরচ অনেক বাড়বে।
তবে সৌদিতে আইপিএল নিলাম আয়োজন করার সবচেয়ে বড় কারণ ক্রিকেটের পেছনে দেশটির বড় অঙ্কের বিনিয়োগের পরিকল্পনা। বিসিসিআইয়েরও ইচ্ছা ছিল মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কর্মকাণ্ড আরও প্রসারিত করা এবং ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়া। তাই জেদ্দায় আইপিএলের মেগা নিলামে বিসিসিআইকে বাড়তি খরচ করতে হলেও ভবিষ্যতের জন্য তা ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।