হৃদয়ের ফিফটিতে ১৫০ পেরোল বাংলাদেশ
শুরুতে হোঁচট খাওয়ার পর তাওহিদ হৃদয়ের ৪৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংসের সৌজন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। প্রথম ১২ ওভারে ৭১ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ, পরের ৮ ওভারে উঠেছে ৮২ রান।
হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ স্টেডিয়ামে চারপাশ খোলা, টেলিভিশন সম্প্রচারেই টের পাওয়া যাচ্ছিল বাতাসের তোড়। পাশের রাস্তা থেকে ভেসে আসা গাড়ির শব্দও স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটাও সুবিধার ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ, যে উইকেটে আগে ফিল্ডিং করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুলও। দ্বিতীয় ওভারে চার মেরে শুরু করেন সৌম্য সরকার, যদিও অন্য প্রান্তে ফর্ম খুঁজে ফেরা লিটন দাস ভুগছিলেন শুরু থেকেই।
ব্যক্তিগত ৮ রানে দুবার জীবন পান লিটন। আলী খানের বলে তাঁর সহজতম ক্যাচ ফেলেন উইকেটকিপার ও অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। জীবন পাওয়া লিটন পরের ওভারে পেসার সৌরভ নেত্রবালকারকে টেনে ছক্কা মারেন সাইটস্ক্রিন বরাবর। এরপর লিটন হতে পারতেন রানআউট।
দুবার পাওয়া জীবন কাজে লাগাতে পারেননি লিটন, শেষ পর্যন্ত নতুন বোলার জেসি সিংয়ের ভেতরের দিকে ঢোকা বল মিস করে হন এলবিডব্লিউ। ১৫ বলে ১৪ রান করে থামেন তিনি। পরের ওভারে তাঁকে অনুসরণ করেন সৌম্য। আরেক প্রান্তে প্রথমবার আসা অফ স্পিনার স্টিভেন টেলরকে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন তিনি। ৩৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক নাজমুল ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে হৃদয়ের দুটি জুটিতে ৩৯ বলে ওঠে মাত্র ৩৪ রান। নাজমুল টেলরের বলে স্টাম্পিং হন ১১ বলে ৩ রান করে, ১২ বলে ৬ রান করা সাকিব রানআউট সিঙ্গেল চুরি করতে গিয়ে। এরপরই জুটি গড়ছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয়।
১৩তম ওভারে জেসি সিংয়ের বলে দুটি ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়ানোর আভাস দেন হৃদয়। ৪১ রানে দাঁড়িয়ে অবশ্য জীবনও পান, বাঁহাতি স্পিনার হারমিত সিংয়ের বলে ক্যাচ তুলেও বেঁচে যান নো হওয়াতে।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে হৃদয়ের জুটিতে ওঠে ৪৭ বলে ৬৭ রান। নেত্রবালকারকে টেনে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ, ২২ বলে ৩১ রান করে। হৃদয় আউট হন ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে।