১৩৭ রানের লিড নিয়ে আরও সামনে তাকাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা

সপ্তম উইকেটে রেকর্ড ১১৯ রানের জুটি গড়েছেন কাইল ভেরেইনা ও উইয়ান মুল্ডারশামসুল হক

মুল্ডারকে স্লিপে সাদমান ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে পরের বলেই উড়িয়ে দিলেন কেশব মহারাজের অফ স্টাম্প। মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশের বোলারদের সাফল্য বলতে হাসান মাহমুদের ওই ২ উইকেটই।

ইনিংসের ৬৫তম ওভারের শেষ দুই বলে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটসম্যানকে পরপর ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাই জাগিয়েছিলেন হাসান। কিন্তু পরের ওভারে এসে প্রথম বলে নতুন ব্যাটসম্যান ডেন পিটকে সামনে পেয়েও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি এই পেসার।

তার আগে রেকর্ড জুটি গড়েছেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুল্ডার ও ভেরেইনা। তাদের ১১৯ রান টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ৮০ রানের জুটিতেও ছিলেন মুল্ডার। ২০২২ সালে পোর্ট এলিজাবেথে কেশব মহারাজকে নিয়ে ৮০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে আজ প্রথম দিনের তুলনায় ব্যাটিং কিছুটা সহজ মনে হচ্ছে। তবে সেটা মনে হওয়ার একটা বড় কারণ দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা বুঝে ফেলেছেন এই উইকেটে ব্যাটিংটা আসলে কীভাবে করতে হবে। নইলে স্পিনাররা টার্ন, বাউন্স আজও পেয়েছেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের সাবধানতা এবং বুঝে খেলার কারণেই সেগুলো তাদের জন্য বিপদের কারণ হয়নি।

কেশব মহারাজকে ফেরানোর পর সতীর্থদের সঙ্গে হাসান মাহমুদের উদ্‌যাপন
প্রথম আলো

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ১০৬ রানের পর ৩৪ রানের লিড নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা আজ প্রথম সেশনে ওই ২ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ১০৩ রান। ৮ উইকেটে ২৪৩ রান নিয়ে তাদের লিড এখন ১৩৭ রানের। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা এখন তাকিয়ে আরও দুরে।

দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। চতুর্থ ওভারে হাসান মাহমুদের প্রথম দুই বলে দুই বাউন্ডারি মেরে ১৫০ রান পার করে প্রোটিয়ারা। টেস্টে নিজের প্রথম ফিফটি করে ৫৪ রানে আউট হওয়া মুল্ডারের ফিফটিতে অবশ্য অবদান আছে বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়েরও। নাঈম হাসানের বলে শর্ট লেগে তাঁর ক্যাচ ছেড়েছেন মুমিনুল হক। মুল্ডারের রান তখন ৪৭।

ভেরেইনা অবশ্য ৭৭ রানে অপরাজিত থেকে আরও বড় কিছুর দিকেই তাকিয়ে এখন। এই উইকেটে স্পিনারদের কীভাবে খেলতে হয়, সেটাই তিনি দেখালেন প্রথম সেশনের ব্যাটিংয়ে। আগের দিন ৫ উইকেট পাওয়া তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, মিরাজদের উইকেট তো দেনইনি, উল্টো স্পিনের বিপক্ষে সুইপ, রিভার্স সুইপগুলো খেলেছেন নির্ভুলভাবে।

স্পিনারদের স্বর্গ শেরেবাংলার উইকেটেও তাই আজ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্পিনারদের কোনো অর্জন নেই।

আরও পড়ুন