অবশেষে স্ত্রী আয়েশার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ধাওয়ানের
স্ত্রী আয়েশা মুখার্জির সঙ্গে শিখর ধাওয়ানের সম্পর্কটা শেষ পর্যন্ত ছিন্ন হয়েই গেল। গতকাল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের পারিবারিক আদালত ভারতীয় এই ক্রিকেটারের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। স্ত্রী আয়েশার বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন ধাওয়ান, যার বিপক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আয়েশা লড়াই করেননি।
২০১২ সালের অক্টোবরে ধাওয়ানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আয়েশার। বেশ কিছুদিন ধরেই দুজনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। ধাওয়ানের অভিযোগ ছিল, স্ত্রী তাঁকে মানসিক নির্যাতন করেন। একমাত্র সন্তানকেও দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে থাকতে দেন না। তাঁদের সন্তান কোথায় থাকবে, তা নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি আদালত।
তবে ধাওয়ান চাইলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। যেহেতু তাঁর ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে, চাইলে নিয়মিত ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন তিনি। এ ছাড়া স্কুলে ছুটি চলার সময় তাঁদের সন্তান যেন ভারতে এসে ধাওয়ান আর তাঁর পরিবারের সঙ্গে নির্বিঘ্নে থাকতে পারে, সে ব্যাপারে আয়েশা যেন যাবতীয় সাহায্য করতে পারেন, আদালত সেই নির্দেশ দিয়েছেন।
অপেশাদার বক্সার আয়েশা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকেন। শিখরের জীবনে আসার আগে সেখানে অস্ট্রেলিয়ান এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তাঁর দুটি কন্যাসন্তানও আছে। সেখানে বিচ্ছেদের পর শিখরের সঙ্গে জীবনের জুটি বেঁধেছিলেন আয়েশা।
এর আগে ২০২১ সালে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ধাওয়ানের সঙ্গে আয়েশা বিচ্ছেদের কথা জানান। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘কিছু শব্দ কত শক্তিশালী এবং প্রাসঙ্গিক হতে পারে। প্রথমবার বিচ্ছেদের সময় খুব ভীত ছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমি ব্যর্থ হয়েছি এবং ভুল কিছু করেছি সে সময়। নিজেকে স্বার্থপর মনে হচ্ছিল। এখন ভেবে দেখুন, দ্বিতীয়বার একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হলো।’
ভারতের হয়ে ৩৪ টেস্ট, ১৬৭ ওয়ানডে ও ৬৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ধাওয়ান। আইপিএলে তিনি ম্যাচ খেলেছেন ২১৭টি।