সিপিএল শিরোপা জিতে রেকর্ড ৪৪ বছর বয়সী তাহিরের
পুরস্কার বিতরণীতে কথা বলার শেষে কেঁদেই ফেললেন ইমরান তাহির। তাঁর ধন্যবাদের তালিকাটাও বেশ দীর্ঘ হলো। রবিচন্দ্রন অশ্বিন নাকি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বলেছিলেন, টুর্নামেন্ট জিতবে তাহিরের গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। তাঁকেও আলাদা করে ধন্যবাদ দিয়েছেন গায়ানার এই অধিনায়ক।
সিপিএলে এর আগে পাঁচবার ফাইনাল খেললেও শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছিল গায়ানাকে। ষষ্ঠবারে এসে শিরোপার মুখ দেখল তারা। সেটিও ৪৪ বছর বয়সী এক অধিনায়কের হাত ধরে! অথচ তাঁকে এবার দায়িত্ব দেওয়ার সময় হাস্যরসের শিকারও হতে হয়েছে। তাহির নিজেই বলেছেন, ‘এ প্রতিযোগিতায় আসার আগে সবাই আমাকে নিয়ে মজা করছিল যে আমি অধিনায়ক হয়েছি। আমার মনে হয়, সেগুলো আমাকে উজ্জীবিত করেছে। এর ফলে তাদেরকে আসলে ধন্যবাদই জানাতে চাই।’
তা তাহির জানাতেই পারেন। সমালোচকেরাও তো সাহায্যই করেন! অবশ্য ফাইনাল শুরুর সময়ই একটা ইতিহাসও হয়ে গেছে তাহিরের। আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বা লিগের ফাইনালে অধিনায়কত্বের রেকর্ড এখন তাঁর। শিরোপা জয় সে উপলক্ষকে যেন পরিপূর্ণতা দিয়েছে।
আজ ম্যাচ শুরুর সময় তাহিরের বয়স ছিল ৪৪ বছর ১৮১ দিন। তাহির টপকে গেছেন গ্যারেথ বাটিকে। ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের ফাইনালে নটিংহামশায়ারের বিপক্ষে সারেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ব্যাটি, সে দিন তাঁর বয়স ছিল ৪২ বছর ৩৫৭ দিন। মহেন্দ্র সিং ধোনি, মিসবাহ-উল-হক ও রাহুল দ্রাবিড়—এ তালিকা বেশ সমৃদ্ধই। তাহির ছাড়াও এ তালিকায় থাকা মিসবাহ ও ধোনি শিরোপা জিতেছিলেন।
সব মিলিয়ে সবচেয়ে বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বা লিগের ফাইনাল খেলার রেকর্ডটি লুক্সেমবার্গের টনি হোয়াইটম্যানের। ২০২০ সালে কনটিনেন্টাল কাপে লুক্সেমবার্গের হয়ে রোমানিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫২ বছর ১০৪ দিন বয়সী হোয়াইটম্যান।
এমনিতে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি বয়সে খেলার রেকর্ড তুরস্কের ওসমান গোকেরের। ২০১৯ সালে রোমানিয়ার বিপক্ষে কনটিনেন্টাল কাপে খেলার দিন তাঁর বয়স ছিল ৫৯ বছর ১৮১ দিন। আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার ব্র্যাড হগের। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে এ বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার খেলতে নেমেছিলেন ৪৩ বছর ৪৫ দিন বয়সে।