ঘটনাবহুল প্রথম সেশনে নেই দুই ওপেনার

মুমিনুল–সাকিবের দ্বিতীয় উইকেট জুটি এখনো অবিচ্ছিন্নছবি: শামসুল হক

চট্টগ্রামে শুরুতে উইকেটে ছিল অসম বাউন্স, বল হচ্ছিল নিচু। ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল সেটিই। মিরপুরে প্রথম সেশনেই চ্যালেঞ্জের দেখা পেলেন ব্যাটসম্যানরা। পেসারদের বাড়তি বাউন্স যেমন আছে, তেমনি স্পিনাররা টার্নের সঙ্গে পেয়েছেন বাউন্সের দেখা। প্রথম সেশনে ৪ বলের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৮২ রান। দলে ফেরা মুমিনুল হকের সঙ্গে টিকে আছেন চারে আসা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মুমিনুল অপরাজিত ২৩ রানে, ১৬ রানে ব্যাটিং করছিলেন সাকিব। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৪৩ রানে।

টসে জিতে অনুমিতভাবেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। শুরুটা খুব একটা দৃঢ় হয়নি, তবে নাজমুল হোসেন-জাকির হাসানের ওপেনিং জুটি টেকে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা। প্রথম ওভারে সিরাজকে চার মেরে শুরু করেছিলেন নাজমুল। এরপর সিরাজের বলেই আউটসাইড-এজড হলেও চার পান আবার। নবম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন ১২ বছর পর টেস্ট খেলতে নামা জয়দেব উনাদকাট, তাঁর বলে নাজমুল লিডিং-এজড হলেও সেটি পড়ে নো ম্যানস ল্যান্ডেই।

আগের ম্যাচে শতরান করা জাকির আজ ইনিংস বড় করতে পারেননি
ছবি: শামসুল হক

শুরু থেকেই তিন-চারটি স্লিপ নিয়ে বোলিং করে গেছেন ভারতীয় পেসাররা। সফরকারীরা প্রথম ব্রেকথ্রুর দেখা পায় ১৫তম ওভারে, উনাদকাটের বাড়তি বাউন্সের বলে আউটসাইড-এজড হয়ে গালিতে ধরা পড়েন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জাকির। এ ওপেনার অবশ্য জীবন পেয়েছিলেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। উমেশ যাদবের লেগ স্টাম্পের লেংথ বলে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ তুলেছিলেন, ডাইভ দিয়েও সেটি নিতে পারেননি তখন সিরাজ।

প্রথম সেশনে ভারতের সাফল্য অল্প সময়ের মধ্যে দুই ওপেনারকে ফেরানো
ছবি: শামসুল হক

ভারতকে দ্বিতীয় উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি একেবারেই। জাকির ফেরার পরের ওভারেই অশ্বিনকে প্যাড-আপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন নাজমুল। রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে উইকেটে ছিল আম্পায়ার্স কল। উইকেটের ধরনে নিজেকে অবশ্য দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন বাংলাদেশ ওপেনার।

নাজমুল ফেরার পর চারে আসেন সাকিব, ফলে বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই ছিলেন বাঁহাতি। বাংলাদেশ অধিনায়ক ব্যাটিং করেছেন আক্রমণাত্মক মেজাজেই। অশ্বিনকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে গিয়ে চার মারার পর মিডউইকেট দিয়ে মারেন ইনিংসের প্রথম ছক্কা। মধ্যাহ্নবিরতির ঠিক আগে স্টাম্পিংয়ের সুযোগও দিয়েছিলেন, তবে অশ্বিনের বড় টার্নের বল নিতে পারেননি উইকেটকিপার ঋষভ পন্ত।

ফর্ম খুঁজে ফেরা মুমিনুলের প্রথম বাউন্ডারি শটটি ছিল দারুণ—অশ্বিনকে কাভার ড্রাইভ। পরের ওভারে উনাদকাটকে ক্লিপ করে মারেন আরেকটি। পরের চার দিয়ে দুই অঙ্কে পৌঁছান মুমিনুল, আগের ১০ ইনিংস যিনি ফিরেছিলেন এক অঙ্কেই। পরে অশ্বিনকে কাট করে মারেন আরেকটি চার, যদিও এর মাঝে একবার তাঁর আউটসাইড-এজ যায় কিপার ও স্লিপের মাঝ দিয়ে, একবার ইনসাইড-এজও হয়েছিল। পরে অবশ্য অশ্বিন ও অক্ষরকে কাট করে মারেন দুটি চার।